Ajker Patrika

গলা কেটে হত্যার পর মুখ পুড়িয়ে দেওয়া ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৪, ১৫: ১৯
গলা কেটে হত্যার পর মুখ পুড়িয়ে দেওয়া ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে গলা কেটে হত্যার পর এক ব্যক্তির মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার অজ্ঞাত অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

জেলা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (অ্যাডমিন) অভিরঞ্জন দেব জানান, জেলা পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক এমদাদুল হকের নেতৃত্বে একটি দল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করেছে। 

অভিরঞ্জন দেব জানান, অজ্ঞাত লাশের ব্যক্তি হচ্ছেন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কাশীপুর-বিশ্বাসপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদ ও ছায়রা খাতুন দম্পতির ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম। জাতীয় পরিচয়পত্রে সাইফুলের জন্ম তারিখ হলো ১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর। 

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মোহনগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের সামনের ডিঙাপোঁতা হাওর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তখন তাঁর নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। 

মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘হাওরের জমিতে কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় লোকজন এক যুবকের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তা উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে গলা কেটে হত্যার পর পরনের কাপড় খুলে আগুন দিয়ে মুখমণ্ডল পুড়িয়ে দেয় হত্যাকারীরা। মূলত পরিচয় লুকানোর জন্যই হত্যাকারীরা এ কাজ করেছে।’ 

আপাতত ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড মনে করছেন ওসি দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) সাহেব আলী পাঠান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বারহাট্টা সার্কেল) সুমন চন্দ্র দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।’ 

পিবিআইয়ের পুলিশ কর্মকর্তা অভিরঞ্জন দেব বলেন, ‘লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পিবিআইয়ের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়। তখন থেকেই এই হত্যার রহস্য উন্মোচনে থানা-পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই ছায়া তদন্তে নামে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত