জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা-ভাঙচুর করেছে একদল দুর্বৃত্ত। একই সঙ্গে তারা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে (অফিসে) হামলা চালিয়ে দুটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শহরের সরদারপাড়া এলাকায় এম এ রশিদ হাসপাতাল ও স্টেশন রোডে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিকে হামলার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আগামীকাল শনিবার জেলা শহর ও ছয় উপজেলায় ক্লিনিক মালিক সমিতির পক্ষ থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জামালপুর সদর থানায় মামলা করেছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের জানিয়েছে, গতকাল হাসপাতালটির দুজন কর্মচারী বাইরে থেকে খাবার নিয়ে আসছিলেন। পথে দুটি মোটরসাইকেলকে ওভারটেক করে চলে আসেন। এর জেরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে দুর্বৃত্তরা একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে এসে আগ্নেয়াস্ত্রসহ এম এ রশিদ হাসপাতালে ঢুকে হামলা-ভাঙচুর চালায়।
এ সময় তারা কর্মচারীদের মারধর করে। হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীদের কক্ষ, অভ্যর্থনা ডেস্ক, বিভিন্ন কাউন্টার, ফার্মেসি, জরুরি বিভাগ, সিটি স্ক্যান, এক্স-রেসহ বিভিন্ন কক্ষে ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় চারজন কর্মচারী আহত হন। হামলার ঘটনায় রোগী, চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে সবাইকে ভয়ভীতি দেখায়।
হাসপাতাল ভাঙচুর শেষে দুর্বৃত্তরা শহরের স্টেশন রোডে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে যায়। এ সময় বন্ধ থাকা দলীয় কার্যালয়ে হামলা এবং দুটি ফাঁকা গুলি করে। এ সময় বিএনপির নেতাদের নাম ধরে গালিগালাজ করে হামলাকারীরা। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী ও জেলা বিএনপির নেতারা ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়।
এম এ রশিদ হাসপাতালে পরিচালক ডা. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল রাতে হাসপাতালের দুজন কর্মচারী খাবার কিনে নিয়ে আসার সময় তাঁদের সামনে দুই মোটরসাইকেল দেখতে পান। একপর্যায়ে তাদের মোটরসাইকেলকে পাশ কাটিয়ে হাসপাতালে চলে আসেন। এই ক্ষোভে তারা একটি মাইক্রোবাস এবং মোটারসাইকেলে এসে হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর করে।
তিনি বলেন, ‘তাদের একজনের হাতে দুটি পিস্তল ছিল। সে কর্মচারীদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। তারা বেশ কয়েকটি কাচের দরজা ভাঙচুর করেছে। এই ঘটনায় জামালপুর সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ১০–১৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।’
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা হাসপাতালে ভাঙচুরের পর আমাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। এতে কার্যালয়ের শাটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় তারা দুটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে।’
এই নেতা আরও বলেন, হামলাকারীরা যদি বিএনপির নামধারী হয়ে থাকে, বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে—এমন কর্মকাণ্ডে বিএনপি চুপ করে বসে থাকবে—এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। তা ছাড়া তারা যদি বিএনপির কেউ হয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সাল মো. আতিক বলেন, হামলার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মামলা করেছে। হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে।
জামালপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা-ভাঙচুর করেছে একদল দুর্বৃত্ত। একই সঙ্গে তারা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে (অফিসে) হামলা চালিয়ে দুটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শহরের সরদারপাড়া এলাকায় এম এ রশিদ হাসপাতাল ও স্টেশন রোডে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিকে হামলার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আগামীকাল শনিবার জেলা শহর ও ছয় উপজেলায় ক্লিনিক মালিক সমিতির পক্ষ থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জামালপুর সদর থানায় মামলা করেছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের জানিয়েছে, গতকাল হাসপাতালটির দুজন কর্মচারী বাইরে থেকে খাবার নিয়ে আসছিলেন। পথে দুটি মোটরসাইকেলকে ওভারটেক করে চলে আসেন। এর জেরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে দুর্বৃত্তরা একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে এসে আগ্নেয়াস্ত্রসহ এম এ রশিদ হাসপাতালে ঢুকে হামলা-ভাঙচুর চালায়।
এ সময় তারা কর্মচারীদের মারধর করে। হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীদের কক্ষ, অভ্যর্থনা ডেস্ক, বিভিন্ন কাউন্টার, ফার্মেসি, জরুরি বিভাগ, সিটি স্ক্যান, এক্স-রেসহ বিভিন্ন কক্ষে ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় চারজন কর্মচারী আহত হন। হামলার ঘটনায় রোগী, চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে সবাইকে ভয়ভীতি দেখায়।
হাসপাতাল ভাঙচুর শেষে দুর্বৃত্তরা শহরের স্টেশন রোডে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে যায়। এ সময় বন্ধ থাকা দলীয় কার্যালয়ে হামলা এবং দুটি ফাঁকা গুলি করে। এ সময় বিএনপির নেতাদের নাম ধরে গালিগালাজ করে হামলাকারীরা। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী ও জেলা বিএনপির নেতারা ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়।
এম এ রশিদ হাসপাতালে পরিচালক ডা. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল রাতে হাসপাতালের দুজন কর্মচারী খাবার কিনে নিয়ে আসার সময় তাঁদের সামনে দুই মোটরসাইকেল দেখতে পান। একপর্যায়ে তাদের মোটরসাইকেলকে পাশ কাটিয়ে হাসপাতালে চলে আসেন। এই ক্ষোভে তারা একটি মাইক্রোবাস এবং মোটারসাইকেলে এসে হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর করে।
তিনি বলেন, ‘তাদের একজনের হাতে দুটি পিস্তল ছিল। সে কর্মচারীদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। তারা বেশ কয়েকটি কাচের দরজা ভাঙচুর করেছে। এই ঘটনায় জামালপুর সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ১০–১৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।’
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা হাসপাতালে ভাঙচুরের পর আমাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। এতে কার্যালয়ের শাটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় তারা দুটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে।’
এই নেতা আরও বলেন, হামলাকারীরা যদি বিএনপির নামধারী হয়ে থাকে, বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে—এমন কর্মকাণ্ডে বিএনপি চুপ করে বসে থাকবে—এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। তা ছাড়া তারা যদি বিএনপির কেউ হয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সাল মো. আতিক বলেন, হামলার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মামলা করেছে। হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে।
গাজীপুরের শ্রীপুরে পোশাক কারখানার শ্রমিক শাহরিয়ারকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মামলা করেছেন নিহতের বাবা অলিদ মিয়া। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) নিহত শাহরিয়ারের মামা রনী মিয়াকে আসামি করে তিনি মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে
১৬ মিনিট আগেসিলেটের লাখো মানুষের জীবন জীবিকার স্বার্থে পাথর কোয়ারী থেকে পাথর উত্তোলনের দাবিতে সিলেটে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ ক্ষুদ্র পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের উদ্যোগে তাদের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম আদালত এলাকায় হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহতের ঘটনায় ৩ দিন পেরোলেও হত্যা মামলা করেনি পরিবার। এ বিষয়ে পুলিশের কাছেও কোনো তথ্য নেই
১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রামের রৌমারীতে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন আয়োজিত ‘কৃষক সমাবেশে’ হামলার ঘটনা ঘটেছে। জামায়াত-শিবির পরিচয়ে কয়েকজন যুবক এ হামলা করেন বলে অভিযোগ আয়োজকদের। শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। তবে জামায়াত হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
১ ঘণ্টা আগে