শেরপুর প্রতিনিধি
স্ত্রীর জন্য হয়তো ‘একমুঠো ভালোবাসা’ বুক পকেটে ভরে ঈদের ছুটিতে ঢাকা ছেড়েছিলেন মো. মনিরুজ্জামান। সন্তানদের জন্য নিয়েছিলেন ‘স্নেহমাখা আদর’। সেসব পেয়ে স্ত্রী–সন্তানেরা নিশ্চয় খুশি হয়েছে। মনিরুজ্জামান তাদের খুশি দেখে নীরবে চোখ মুছেছেন কিনা জানা যায়নি। কিন্তু তাঁর বড্ড তাড়া ছিল, কাজে ফেরার তাড়া। তাই তো ঈদের এক দিন পরই ফিরে যান ইট-পাথরের শহরে। ট্রেনে চড়ে শেরপুর থেকে ঢাকায় ফিরলেন যখন, তখন হয়তো তাঁর গায়ে লেগে ছিল স্ত্রী-সন্তানদের গায়ের গন্ধ। সঙ্গে ছিল বৃদ্ধ বাবা-মায়ের দেওয়া দোয়া। শেষ বিদায়ের সময় এ সবই সঙ্গে নিয়েছেন তিনি। মনিরুজ্জামান শেষ বিদায় নিয়েছেন। কারণ ট্রেন থেকে নেমে অল্প দূরে গিয়েই খুন হন তিনি।
ট্রাফিক পুলিশের সদস্য মনিরুজ্জামানের নিহত হওয়ার খবরে তাঁর গ্রামের বাড়ি শেরপুরের শ্রীবরদীতে চলছে মাতম। মাত্র এক দিন আগে ঈদের ছুটি শেষে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যোগদানে যাওয়ার পথে তাঁর এমন নির্মম মৃত্যু পরিবারের স্বজনসহ কেউ মেনে নিতে পারছেন না। তাঁদের একটাই চাওয়া—দ্রুত জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা। তাঁর মৃত্যুতে পুরো এলাকায়ই যেন শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া তালুকদারবাড়ির বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কাশেম তালুকদার ও মোরছেদা বেগম দম্পতির আট সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন মো. মনিরুজ্জামান। মনিরুজ্জামানের দুই ছেলে রয়েছে। পরিবারের দেওয়া তথ্যমতে, ২০০২ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন মনিরুজ্জামান।
গতকাল শনিবার ভোরে ফার্মগেটের সেজান পয়েন্ট মার্কেটের সামনে মনিরুজ্জামান খুন হন। পরে পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করেন। ট্রাফিক পুলিশ সদস্য নিহতের বিষয়টি ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, তিনি কীভাবে খুন হয়েছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ছিনতাইকারীদের হাতে তিনি নিহত হয়েছেন। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
গতকাল বিকেলে সরেজমিনে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছেলের শোকে বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবা মো. আবুল কাশেম তালুকদার, মা মোরছেদা বেগম ও স্ত্রী রুমি বেগম আহাজারি করে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। মনিরুজ্জামানের অবুঝ দুই শিশু আব্দুল্লাহ ও রহমানকে কোলে নিয়ে কান্নাকাটি করছেন স্বজনেরা।
মনিরুজ্জামানের বাবা মো. আবুল কাশেম তালুকদার বলেন, ‘আমার ছেলে ২১ বছর যাবৎ পুলিশে কর্মরত। ঈদের ছুটিতে সে বাড়ি এসেছিল। গতকাল রাতে একসঙ্গে খাবার খেয়ে আমার কাছ থেকে দোয়া নিয়ে সে ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে রওনা দেয়। সকালে শুনি সে আর নাই। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছেলে হত্যার বিচার চাই।’
মনিরুজ্জামানের মা মোরছেদা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলের স্ত্রী ও দুইটা সন্তান আছে। খুব কষ্ট করে সে নতুন একটা হাফ বিল্ডিং বাড়ি করেছে। ওই বাড়িতেও পোলাডা উঠতে পারল না। সরকারি চাকরিজীবীকেও তারা কেমন করে মেরে ফেলল। আমার বাবাটারে যারা মারছে তাদের বিচার চাই।’
মনিরুজ্জামানের ছোট ভাই মো. রনি বলেন, ‘আমার ভাই পুলিশে চাকরি করতেন। ২১-২২ বছর ধরে সততার সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন। কাল রাতে ঈদ শেষ করে আমাদের সবার সঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন ভাই। ভোরে খবর পেলাম ছিনতাইকারীরা আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা চেয়ারম্যান এ ডি এম শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান যদি এভাবে মারা যায়, এটা খুবই কষ্টের বিষয়। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। উপজেলার একজন সুযোগ্য পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর জন্য আমরা শোকাহত। আমরা চাই এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হোক এবং অপরাধীরা দ্রুত আইনের আওতায় আসুক।’
এদিকে আজ রোববার সকালে বাড়ির সামনে পারিবারিক কবরস্থানে মনিরুজ্জামানের লাশ দাফন করা হয়েছে।
স্ত্রীর জন্য হয়তো ‘একমুঠো ভালোবাসা’ বুক পকেটে ভরে ঈদের ছুটিতে ঢাকা ছেড়েছিলেন মো. মনিরুজ্জামান। সন্তানদের জন্য নিয়েছিলেন ‘স্নেহমাখা আদর’। সেসব পেয়ে স্ত্রী–সন্তানেরা নিশ্চয় খুশি হয়েছে। মনিরুজ্জামান তাদের খুশি দেখে নীরবে চোখ মুছেছেন কিনা জানা যায়নি। কিন্তু তাঁর বড্ড তাড়া ছিল, কাজে ফেরার তাড়া। তাই তো ঈদের এক দিন পরই ফিরে যান ইট-পাথরের শহরে। ট্রেনে চড়ে শেরপুর থেকে ঢাকায় ফিরলেন যখন, তখন হয়তো তাঁর গায়ে লেগে ছিল স্ত্রী-সন্তানদের গায়ের গন্ধ। সঙ্গে ছিল বৃদ্ধ বাবা-মায়ের দেওয়া দোয়া। শেষ বিদায়ের সময় এ সবই সঙ্গে নিয়েছেন তিনি। মনিরুজ্জামান শেষ বিদায় নিয়েছেন। কারণ ট্রেন থেকে নেমে অল্প দূরে গিয়েই খুন হন তিনি।
ট্রাফিক পুলিশের সদস্য মনিরুজ্জামানের নিহত হওয়ার খবরে তাঁর গ্রামের বাড়ি শেরপুরের শ্রীবরদীতে চলছে মাতম। মাত্র এক দিন আগে ঈদের ছুটি শেষে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যোগদানে যাওয়ার পথে তাঁর এমন নির্মম মৃত্যু পরিবারের স্বজনসহ কেউ মেনে নিতে পারছেন না। তাঁদের একটাই চাওয়া—দ্রুত জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা। তাঁর মৃত্যুতে পুরো এলাকায়ই যেন শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া তালুকদারবাড়ির বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কাশেম তালুকদার ও মোরছেদা বেগম দম্পতির আট সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন মো. মনিরুজ্জামান। মনিরুজ্জামানের দুই ছেলে রয়েছে। পরিবারের দেওয়া তথ্যমতে, ২০০২ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন মনিরুজ্জামান।
গতকাল শনিবার ভোরে ফার্মগেটের সেজান পয়েন্ট মার্কেটের সামনে মনিরুজ্জামান খুন হন। পরে পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করেন। ট্রাফিক পুলিশ সদস্য নিহতের বিষয়টি ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, তিনি কীভাবে খুন হয়েছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ছিনতাইকারীদের হাতে তিনি নিহত হয়েছেন। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
গতকাল বিকেলে সরেজমিনে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছেলের শোকে বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবা মো. আবুল কাশেম তালুকদার, মা মোরছেদা বেগম ও স্ত্রী রুমি বেগম আহাজারি করে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। মনিরুজ্জামানের অবুঝ দুই শিশু আব্দুল্লাহ ও রহমানকে কোলে নিয়ে কান্নাকাটি করছেন স্বজনেরা।
মনিরুজ্জামানের বাবা মো. আবুল কাশেম তালুকদার বলেন, ‘আমার ছেলে ২১ বছর যাবৎ পুলিশে কর্মরত। ঈদের ছুটিতে সে বাড়ি এসেছিল। গতকাল রাতে একসঙ্গে খাবার খেয়ে আমার কাছ থেকে দোয়া নিয়ে সে ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে রওনা দেয়। সকালে শুনি সে আর নাই। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছেলে হত্যার বিচার চাই।’
মনিরুজ্জামানের মা মোরছেদা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলের স্ত্রী ও দুইটা সন্তান আছে। খুব কষ্ট করে সে নতুন একটা হাফ বিল্ডিং বাড়ি করেছে। ওই বাড়িতেও পোলাডা উঠতে পারল না। সরকারি চাকরিজীবীকেও তারা কেমন করে মেরে ফেলল। আমার বাবাটারে যারা মারছে তাদের বিচার চাই।’
মনিরুজ্জামানের ছোট ভাই মো. রনি বলেন, ‘আমার ভাই পুলিশে চাকরি করতেন। ২১-২২ বছর ধরে সততার সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন। কাল রাতে ঈদ শেষ করে আমাদের সবার সঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন ভাই। ভোরে খবর পেলাম ছিনতাইকারীরা আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা চেয়ারম্যান এ ডি এম শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান যদি এভাবে মারা যায়, এটা খুবই কষ্টের বিষয়। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। উপজেলার একজন সুযোগ্য পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর জন্য আমরা শোকাহত। আমরা চাই এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হোক এবং অপরাধীরা দ্রুত আইনের আওতায় আসুক।’
এদিকে আজ রোববার সকালে বাড়ির সামনে পারিবারিক কবরস্থানে মনিরুজ্জামানের লাশ দাফন করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যাত্রাবাড়ী থানার ২টি হত্যা মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাংবাদিক দম্পতি শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপাকে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
৬ মিনিট আগেক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর গুলশানের বাসায় তল্লাশির নামে তছনছ, ভাঙচুর ও লুটপাটের চেষ্টার ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়েছে। ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকারই ‘তল্লাশি’ করতে জনগণকে উসকানি দিয়েছে।
১৫ মিনিট আগেযশোর জেলার প্রথম নারী পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার রওনক জাহান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে...
২৭ মিনিট আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে এক তরুণীকে (১৯) দলবদ্ধ ধর্ষণ এবং ঘটনার ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় করা মামলায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত দুজন হলেন টঙ্গী পূর্ব থানার মরকুন মাস্টারপাড়া...
৩২ মিনিট আগে