Ajker Patrika

লাভজনক হওয়ায় ড্রাগন চাষে ঝুঁকছেন শেরপুরের কৃষকেরা

শেরপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ৪৭
লাভজনক হওয়ায় ড্রাগন চাষে ঝুঁকছেন শেরপুরের কৃষকেরা

ভালো ফলন ও লাভজনক হওয়ায় ড্রাগন চাষে ঝুঁকছেন শেরপুরের কৃষকেরা। এরই মধ্যে ড্রাগন চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বীও হয়েছেন জেলার অনেক কৃষক। ড্রাগন চাষে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করছে জেলা কৃষি বিভাগ। 

জানা যায়, দুই দশক আগেও ড্রাগন ফল দেশে আমদানি করা হতো। বাংলাদেশে এই ফলের চাষাবাদ শুরু হয় ২০০৭ সালের দিকে। ২০১২ সালে নকলা-নালিতাবাড়ীর সংসদ সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর নির্দেশে জামালপুর হর্টিকালচার সেন্টার থেকে নকলা উপজেলার ৩২০ জন প্রান্তিক কৃষককে ড্রাগন ফলের কাটিং চারা সরবরাহ করা হয়। ওই কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ বিনা খরচে প্রয়োজনীয় সব উপকরণও বিতরণ করা হয়। এই প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে নকলা উপজেলার বানের্শ্বদী ইউনিয়নের মোজারবাজার, পোলাদেশী, বাওসা, চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের রামপুর, বাছুরআলগা এলাকার অর্ধশতাধিক কৃষক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ড্রাগনের আবাদ করে লাভবান হন। তাঁদের দেখাদেখি এখন জেলার অন্য উপজেলাগুলোতেও বাণিজ্যিকভাবে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত লাল বারী-১ জাতের ড্রাগনের চাষাবাদ শুরু করেছেন অনেকেই। 

শেরপুরের নকলা ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় চাষকৃত বারী-১ জাতের ড্রাগন ফলের বাগাননকলা উপজেলার নারায়ণখোলার সাইলামপুরের আজিজুল হক বাড়ির আঙিনায় শতাধিক গাছের একটি বাগান করেন। শহরের পাইকারদের কাছ থেকে ফল বিক্রির চাহিদা পেলেও স্থানীয়ভাবে বাজার তৈরির জন্য এলাকাতেই ড্রাগন বিক্রি করছেন। আজিজুল হক বলেন, তাঁর বাগানে দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ফল আসা শুরু করেছে। চলতি মৌসুমে তিনি ৩৫ হাজার টাকার ফল বিক্রি করে ফেলেছেন। বাগানে এখনো অনেক ফল রয়েছে। লাভও ভালো হচ্ছে। আজিজুল হককে দেখে স্থানীয় শাহজাহান আলী, সিরাজুল হকসহ অন্যরাও শুরু করেছেন ড্রাগন চাষ। অনেকেই বসতবাড়ির আঙিনা ও অনাবাদি জমিতে ড্রাগন চাষ করেছেন। 

অনেকেই খামার শুরু করেছেন। ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের কালাকুড়া গ্রামের মো. আল আমিন হাজী অ্যাগ্রো ফার্ম নামে বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেছেন ড্রাগন বাগান। তাঁর বাগানে পাঁচ শতাধিক ড্রাগনগাছ রয়েছে। এ ছাড়া তিনি ড্রাগনের কাটিংকৃত চারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন। মো. আল আমিন জানান, পরিবারের জন্য বিষমুক্ত তাজা ফল নিতে অনেকেই শহর থেকে সরাসরি বাগানে আসেন। ড্রাগনের সঙ্গে সবাই পরিচিত না হলেও স্থানীয়ভাবে এর চাহিদা রয়েছে। সুস্বাদু ও লোভনীয় এই ফল স্বাদ ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। ড্রাগন ফলের অনেক ভেষজ ও ঔষধি গুণ রয়েছে। ড্রাগন ফল কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এটি হৃদযন্ত্র ভালো রাখতেও সহায়ক। 

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মোহিত কুমার দে আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিদেশি ফল ড্রাগন ভিটামিন সি, মিনারেল ও আঁশসমৃদ্ধ। কিছুদিন আগেও শেরপুরে এটি সীমিত আকারে চাষ হয়েছে। বর্তমানে জেলার পাঁচটি উপজেলাতেই ব্যাপকভাবে ড্রাগন ফল চাষ হচ্ছে। উৎপাদন খরচ তুলনামূলক কম হওয়ায় এতে বেশ লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। আধুনিক ও পুষ্টিকর এই ফলের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকেরাও ঝুঁকছে। আগামী কয়েক বছরে জেলার অন্যান্য ফলের মধ্যে ড্রাগনও বড় একটা স্থান দখল করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হেডফোন কানে রেললাইনে যুবক, ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত

ফেনী প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে আবদুল্লাহ আল নাহিদ (২২) নামের এক যুবক মারা গেছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের সদর উপজেলার উত্তর শিবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নাহিদ সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের দেওয়ানগঞ্জ এলাকার দেবীপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।  

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামগামী সাগরিকা ট্রেনটি উত্তর শিবপুর এলাকা অতিক্রম করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে ফেনী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দীপক দেওয়ান বলেন, নিহত যুবক হেডফোন কানে রেললাইনে হাঁটছিলেন। পরে চট্টগ্রামগামী ট্রেনটি তাঁকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে রেললাইনের এক পাশে ছিটকে পড়েন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গণঅধিকার পরিষদ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
হাফিজুল ইসলাম হাফিজ। ছবি: সংগৃহীত
হাফিজুল ইসলাম হাফিজ। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনা নদীর পাড়ে একটি ড্রেজার থেকে হাফিজুল ইসলাম হাফিজ (৩০) নামের গণঅধিকার পরিষদের এক সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের পাড়ামোহনপুর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নিহত হাফিজুল ইসলাম ওই উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের বাঐখোলা গ্রামের মৃত কমল মুন্সীর ছেলে। তিনি গণঅধিকার পরিষদের একজন সদস্য ছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর আড়কান্দি ও পাড়ামোহনপুরসহ আশপাশের এলাকায় নদীতীর সংরক্ষণ বাঁধের পাশে বালুর ব্যবসা চলছিল। হাফিজুল ইসলামও ওই কাজে যুক্ত ছিলেন। রোববার রাতে একটি ড্রেজারের বাল্কহেডের ইঞ্জিন অংশে চার সহযোগীর সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি হলে এনায়েতপুর থানা-পুলিশ ও চৌহালী নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় বাসিন্দা জামাল প্রামাণিক জানান, নদীভাঙনে বসতভিটা হারানোর পর হাফিজুল ইসলাম ঢাকায় চাকরি করতেন। কয়েক মাস আগে এলাকায় ফিরে এসে তিনি বালুর ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি নিজেকে গণঅধিকার পরিষদের একজন সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতেন।

এ বিষয়ে চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফিরোজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কাজ করার পরেও ডিস্টার্ব করতে আসলে ১, ২, ৩, ৪ করে দেব: জিএস আম্মার

রাবি প্রতিনিধি  
ফেসবুক পোস্ট। ছবি: সংগৃহীত
ফেসবুক পোস্ট। ছবি: সংগৃহীত

‘রাকসু সাধারণ সম্পাদকের যা কাজ, আমি তার সবটুকুই করছি কি না, তা একবার দেখে যান। কাজ করার পরেও যদি ডিস্টার্ব করতে আসেন, তবে ১,২, ৩,৪ করে দেব’ বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মার।

আজ সোমবার রাবি শাখা ছাত্রদলের এক নেতার বক্তব্যের জবাবে সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পোস্টে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের পক্ষে থাকা শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যদি ক্যাম্পাসে ঢোকে, তবে তাদের জোহা চত্বরে বেঁধে রাখব।

এতে রেগে গেল ক্যাম্পাসের ছাত্রদল আর বিএনপি! ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ একই ভাষায় বিবৃতি দিল। এমনকি বিএনপিপন্থী শিক্ষকেরা ভিসির কাছে নালিশ দিলেন যে, তারা নাকি ক্যাম্পাসে আসতে ভয় পাচ্ছেন। আমি বললাম, আওয়ামী লীগের কথা, আর ভয় পাচ্ছে বিএনপির শিক্ষকেরা!’

রাকসু জিএস ছাত্রদলকে ‘চাচা’ ও ‘চান্দাভাই’ আখ্যা দিয়ে লেখেন, ‘আরেকটি বিষয়ে আসি ছাত্রদলের আহ্বায়ক ভিসির চেয়ারসহ তাকে পদ্মা নদীতে ফেলে দিতে চেয়েছিলেন; আমার কথার চেয়ে কি সেটি বেশি বড় ছিল?

‘তখন বিএনপির ‘‘চেতনাবাজদের’’ বিবৃতি কোথায় ছিল? ছাত্রদলের এক ‘‘চাচা’’ আজ ঘোষণা দিলেন ৩০ মিনিটে তালা মেরে দেবেন। বলি চাচা শোনেন, মন দিয়ে শুনবেন! ২০০৭ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত কুকুর-বিড়ালের মতো এই ক্যাম্পাসে পড়ে থেকে ক্যাম্পাসের বোঝা হব না। একদিন থাকলেও থাকার মতোই থাকব। একেকজন ১০ থেকে ১২ বছর ক্যাম্পাসে থেকে কী জনকল্যাণ করছেন, তা একটু ভেবে দেখবেন।’

আম্মার আরও লেখেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রাকসু সাধারণ সম্পাদকের যা কাজ, আমি তার সবটুকুই করছি কি না তা একবার দেখে যান। কাজ করার পরেও যদি ডিস্টার্ব করতে আসেন, তবে ১,২, ৩,৪ করে দেব। সবচেয়ে বড় কথা, কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ অছাত্রকে যেন রাকসুর আশপাশে না দেখি। তাদের জন্য ‘‘রুয়া’’ আছে, রাকসুতে কাজ নেই। আমি আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের উৎখাতে কাজ করব, সাহস থাকলে এসো চান্দাভাই।’

এর আগে শাখা ছাত্রদলের মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সংগঠনটির সিনিয়র সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল আপনার মতো ‘‘ফুটেজখোর’’ সালাহউদ্দিন আম্মারকে মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যবধানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিতে সক্ষম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢামেকে তরুণীর লাশ ফেলে পালালেন ‘স্বামী’

ঢামেক প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অজ্ঞাতনামা এক তরুণীর মরদেহ ফেলে কৌশলে পালিয়ে গেছেন স্বামী পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি। নিহত তরুণীর বয়স আনুমানিক ২০ বছর এবং তাঁর থুতনিতে কালো দাগ পাওয়া গেছে।

আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ঘটনাটি ঘটে।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বেসরকারি ট্রলিম্যান মো. হাসান ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে এক ব্যক্তি ওই তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তিনি নিজেকে তরুণীর স্বামী বলে পরিচয় দেন এবং তাঁকে ট্রলিতে তুলে জরুরি বিভাগের সামনে রাখেন।

ট্রলিম্যান আরও জানান, রোগীকে ভেতরে নেওয়ার কথা বললে ওই ব্যক্তি জানান, তাঁর একজন পরিচিত আসছেন, তিনি এলে ভেতরে নেওয়া হবে। এরপর প্রায় দুই ঘণ্টা হাসপাতালের বাইরে ট্রলিতে রেখেই অপেক্ষা করেন তিনি। রাত সোয়া ৮টার দিকে কৌশলে তরুণীকে ট্রলিতে রেখেই সেখান থেকে পালিয়ে যান ওই ব্যক্তি। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা তরুণীকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, তরুণীর বয়স আনুমানিক ২০ বছর। তাঁর থুতনিকে কালো দাগ রয়েছে। যে ব্যক্তি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন, তিনি কৌশলে ওই তরুণীকে রেখে পালিয়ে গেছেন। ওই তরুণীর মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত