Ajker Patrika

ডিবি পরিচয়ে বাসা থেকে যুবককে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ২১: ৫০
ডিবি পরিচয়ে বাসা থেকে যুবককে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে এক যুবককে (২৫) বাসা থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের পাঁচকাটা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে একটি মাইক্রোবাসে তাঁকে তুলে নেওয়া হয়। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। 

নিখোঁজ মুফতি মুনিরুল ইসলাম পাঁচকাটা গ্রামের মো. জাকির হোসেনের ছেলে। তিনি ফেনী জেলায় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন। পরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি মাদ্রাসা থেকে মুফতি পাস করেন। পরে টঙ্গী এলাকায় একটি মাদ্রাসায় বেশ কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। 
 
এরপর ঢাকার একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বছরখানেক চাকরি করেন। চাকরি ছেড়ে এক বছর আগে গ্রামে চলে যান। সেখানে ওয়াজ মাহফিল করতেন। পাশাপাশি রাসায়নিক সার নিয়ে গবেষণা করতেন। 

মুনিরুলের বাবা জাকির হোসেন জানান, গতকাল ভোরে চারজন লোক এসে ঘরের দরজায় নক করেন। দরজা খুললে তাঁরা গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয় দেন। ঘরে ঢুকে মুনিরুলকে ধরে বাইরে থাকা একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসের কাছে নিয়ে যান। তাঁরা জানান, মুনিরুলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তাঁর কাছ থেকে কিছু তথ্য জানা হবে। তথ্য জেনেই ছেড়ে দেওয়া হবে। 

কিন্তু গাড়ির কাছে নিয়েই তাঁকে তুলে নিয়ে চলে যান। তবে মুনিরুলকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এটা তাঁরা জানাননি। এ সময় তাঁরা মনিরুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও নিয়ে যান। 

জাকির হোসেন আরও বলেন, ‘মুনিরুলকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় ওই চারজন তাঁদের পরিচয়পত্র দেখিয়েছেন। তাঁদের হাতে পিস্তল ও হাতকড়া ছিল। বুধবার বিকেল থেকে তাঁরা আমাদের বাড়ির আশপাশে ও বাজারে ঘুরেছেন। সবাই তাঁদের দেখেছে, আমিও দেখেছি। তখন তো বিষয়টি কেউ বুঝতে পারিনি।’ 

এ বিষয়ে নাজিরপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সমর আলী বলেন, ‘সকালে ঘটনা শুনে গ্রামের লোকজন জড়ো হয়। পরে মুনিরুলের বাবা জাকির হোসেনকে নিয়ে থানায় গেলাম। পুলিশ এ বিষয়ে কিছুই জানে না বলল। ওই পরিবারের সবাই আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে।’

কলমাকান্দা থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, ‘মুনিরুলকে কারা নিয়ে গেছে এটা আমাদের জানা নেই। এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে গেলে তো অবশ্যই পরিচয়পত্র দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা। আমরা খোঁজ করে দেখব। পরিবারের লোকজনও খুঁজে দেখুক।’ 

বিষয়টি অবহিত করলে জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. লুৎফুর রহমান বলেন, ‘আসলে কী হয়েছে এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আরও কয়েকজন এ বিষয়ে আমার কাছে জানতে চেয়েছে। এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। তাই কিছু বলতে পারছি না। খোঁজ নিয়ে দেখি কী হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ভিসা নীতি দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে: বলছেন কূটনীতিকেরা

ফাইনালে ভারতের ‘যম’কে খেলানো নিয়ে দোটানায় নিউজিল্যান্ড

বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল ও এনসিপি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিলুপ্তের সিদ্ধান্ত হয়নি, নাহিদের মন্তব্যের জবাবে উমামা

আ.লীগ নেতার গ্রেপ্তার নিয়ে রাজশাহীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত