Ajker Patrika

ধর্মমন্ত্রীকে ‘রাজাকার’ বলা যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৪, ১২: ৫৬
ধর্মমন্ত্রীকে ‘রাজাকার’ বলা যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলাল ও তাঁর বাবাকে ‘রাজাকার’ আখ্যা দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করায় যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরীফ হাসান লেনিনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। 

আজ সোমবার বিকেলে ইসলামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন তালুকদার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন। 

শরীফ হাসান লেনিনের বাড়ি জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার বেলগাছা গ্রামে। তিনি জামালপুর-শেরপুর আসনের সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহসভাপতি হোসনে আরা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান শফির ছেলে। 

এদিকে তাঁর এই পোস্টকে ঘিরে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় এ নিয়ে তোলপাড় চলছে। তাঁর মা সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য হোসনে আরা অনেকের সঙ্গে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ছেলে লেনিনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নেই। ফেসবুকে লেনিনের পোস্ট করা মন্তব্যগুলো বড়ই দুঃখজনক।’ 

জানা গেছে, গত শনিবার ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলালের পক্ষে আইনি প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ দাখিল করেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোহন মিয়া। 

থানায় দাখিলকৃত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে রাজনৈতিক আলোচনা চলছিল। এ সময় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোহন মিয়া দেখতে পান যে, মীর শরীফ হাসান লেনিন তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডি থেকে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলালকে হেয়প্রতিপন্ন করার অভিপ্রায়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পোস্ট করা হয়েছে। 

পোস্টের সঙ্গে ধর্মমন্ত্রীর ছবি সংযুক্ত করা হয়। এ ছাড়া পোস্টে মীর শরীফ হাসান লেনিন উল্লেখ করেছে, ‘একাত্তর সালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানরা এ সময়ে আত্মহত্যা করে। বড় অভিমানে. . ! আর স্বাধীন দেশে কুখ্যাত রাজাকারের সন্তান রাজাকাররা, প্রকাশ্যে দিবালোকে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা করে বর্তমানে রাষ্ট্রের ধর্মমন্ত্রী হয়, অট্ট সুখে। সেলুকাস!!’ 

এ ছাড়া ধর্মমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে সংযুক্ত করে মীর শরিফ হাসান লেনিন লিখেছে, ‘কুখ্যাত রাজাকার হবিবর রহমান খানের কুখ্যাত রাজাকার পোলা ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি ওরফে ফহখা দুলাল।’ 

যুবলীগ নেতা মোহন মিয়া তাঁর অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করেন, উক্ত ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। 

ইসলামপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, ধর্মমন্ত্রী ও তাঁর বাবাকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট করায় মীর শরীফ হাসান লেনিনকে বিবাদী করে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। জিডি নম্বর ৭০০। তারিখ: ১৬.০৩. ২০২৪। 

উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার কাউন্সিলর মো. মোহন মিয়া বলেন, ‘সাবেক মহিলা এমপি হোসনে আরার ছেলে মীর শরীফ হাসান লেনিন ধর্মমন্ত্রী ও তাঁর বাবাকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য পোস্ট করেছে। এনিয়ে ধর্মমন্ত্রীর পক্ষে আইনি প্রতিকার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’ 

আজ সোমবার যোগাযোগ করা হলে ফেসবুক মেসেঞ্জারে মীর শরীফ হাসান লেনিন বলেন,  ‘জানতে পেরেছি আমার বিরুদ্ধে ধর্মমন্ত্রীর পক্ষে আইনি প্রতিকার চেয়ে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক থানায় অভিযোগ দিয়েছে। সাহস থাকলে ধর্মমন্ত্রী নিজে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুক। তখন দেখা যাবে, আমার কথা মিথ্যা নাকি সত্য। মূলত আমি কারও বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা কোনো কিছুই লেখিনা। তথ্য প্রমাণেরই ভিত্তিতেই লেখি।’ 

ইসলামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সমন মিয়া বলেন, ‘ধর্মমন্ত্রী ও তাঁর বাবাকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি জিডি হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এটা গুরুত্বের সঙ্গে আইনানুসারে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’ 

মীর শরীফ হাসান লেনিনের মা সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহসভাপতি হোসনে আরা বলেন, ‘ধর্মমন্ত্রীসহ তাঁর পরিবারকে নিয়ে ফেসবুকে বেমানান মন্তব্য করায় ছেলে লেনিনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি। কারও বিরুদ্ধে আপত্তিকর ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করাটা বড়ই কষ্টের। আমিও তাঁর শাস্তি চাই।’ 

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলাল বলেন, ‘একজন সুস্থ মানুষ এমন বেমানান মন্তব্য করতে পারে না। ফেসবুকে লেনিনের কটুক্তির বিষয়ে বলার ভাষা নেই। মূলত আমাদের বিব্রত করতেই সে ঢালাওভাবে মনগড়া বেমানান মন্তব্য করে যাচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহে আগুন: গ্রেপ্তার ১২ আসামির ৩ দিন করে রিমান্ড

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ০৪
আদালতে তোলা হচ্ছে আসামিদের। ছবি: আজকের পত্রিকা
আদালতে তোলা হচ্ছে আসামিদের। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার ১২ আসামিকে তিন দিন করে রিমান্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ৭ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাত হোসেন গ্রেপ্তার ১২ আসামির তিন করে রিমান্ড আদেশ দেন।

রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আশিকুর রহমান (২৫), কাইয়ুম (২৫), মো. লিমন সরকার (১৯), মো. তারেক হোসেন (১৯), মো. মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিজাম উদ্দিন (২০), আলমগীর হোসেন (৩৮), মো. মিরাজ হোসেন আকন (৪৬), মো. আজমল হাসান সগীর (২৬), মো. শাহিন মিয়া (১৯) ও মো. নাজমুল (২১)।

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক শেখ মোস্তাছিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ গ্রেপ্তার ১২ আসামিকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। পরে বিচারক প্রত্যেককে তিন দিন করে রিমান্ড আদেশ দেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপুকে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত আড়াইটার দিকে অর্ধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহতের ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০-১৬০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা করেন। মামলার পর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নিখোঁজের ১৮ ঘণ্টা পর স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নিখোঁজের প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের দড়ি সোনাকান্দা এলাকা থেকে ওই স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত স্কুল ছাত্রীর নাম আকলিমা (১৩)। সে বন্দরের দড়ি সোনাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিল। নিহত আকলিমা সোনাকান্দা এলাকার মো. আলীর মেয়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরের পর থেকে আকলিমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো সন্ধান মেলেনি। আজ সকালে স্থানীয়রা দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় একটি কিশোরীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মুক্তার আশরাফ জানান, রোববার দুপুর থেকে নিখোঁজ সেই স্কুল ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মুখে কিছু আচরের চিহ্ন আছে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুয়েতে কুমিল্লার যুবকের মৃত্যু, পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যা

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
শাহজাহান রনি। ছবি: সংগৃহীত
শাহজাহান রনি। ছবি: সংগৃহীত

কুয়েতে শাহজাহান রনি (২৫) নামে কুমিল্লার এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুরে চৌদ্দগ্রাম পৌর প্রশাসকের মাধ্যমে পরিবার মৃত্যুর সংবাদটি জানতে পারে। রনি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কমলপুর গ্রামের তোফায়েল আহাম্মেদ ও নাছিমা দম্পতির একমাত্র ছেলে। তবে পরিবারের দাবি, তাদের একমাত্র সন্তানকে মীর হোসেন নামে এক ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ২৭ মাস আগে পাশের বাড়ির বাসিন্দা মীর হোসেনের মাধ্যমে কুয়েতে যান শাহজাহান রনি। সেখানে কুয়েতের সাবা আল নাসের এলাকায় মীর হোসেনের একটি ‘বাকালা’ দোকানে মাসিক বেতনে কাজ করতেন তিনি। এ সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রনির সঙ্গে মীর হোসেনের বিরোধ চলছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দেশে থাকা দুই পরিবারের মধ্যেও প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো।

পরিবারের অভিযোগ, গত ৪ ডিসেম্বরের পর থেকে রনির সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। দীর্ঘ ১৭ দিন নিখোঁজ থাকার পর রোববার প্রশাসনের মাধ্যমে তার মৃত্যুর সংবাদ পান তারা। এ সময় মীর হোসেন নানাভাবে পরিবারকে বিভ্রান্ত করেছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। তিনি রনির পরিবারকে জানিয়েছিলেন, রনি কুয়েতের জেলে আছে এবং শিগগিরই দেশে ফিরে আসবে।

নিহত রনির বাবা তোফায়েল আহাম্মেদ বলেন, ‘২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে প্রায় ১২ লাখ টাকা ব্যয় করে মীর হোসেনের মাধ্যমে তার একমাত্র ছেলেকে কুয়েতে পাঠানো হয়। সেখানে চাকরির সময় বিভিন্ন অজুহাতে মীর হোসেন রনির ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। প্রতিবাদ করলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হতো।’

তিনি আরও বলেন, গত ৩ ডিসেম্বর ভোরে রনি তার মা নাছিমা বেগমকে ফোন করে নির্যাতনের কথা জানিয়ে বলেছিল, ‘মা, মীরু আমাকে বাঁচতে দেবে না।’ ওই কথোপকথনই ছিল তার মায়ের সঙ্গে শেষ কথা। এরপর কয়েক দিন যোগাযোগ না পেয়ে কুয়েতে থাকা রনির এক বন্ধু রাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিবার। রাকিব রনির বাসায় গিয়ে খাবার টেবিলে খাবার ও এলোমেলো কাপড়চোপড় দেখতে পেলেও রনির কোনো সন্ধান পাননি।

তোফায়েল আহাম্মেদ অভিযোগ করেন, গত ১৩ ডিসেম্বর মীর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, রনি জেলে আছে এবং শিগগির দেশে ফিরবে। পরবর্তীতে আবার যোগাযোগ করলে মীর হোসেন হুমকি দিয়ে বলেন, ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে সমস্যা হবে’, এবং দাবি করেন—রনি তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছে।

চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুয়েতে অবস্থানরত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে শাহজাহান রনির মৃত্যুসংক্রান্ত একটি চিঠি পৌর প্রশাসক মো. নুরুল আমিনের সরকারি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয়। পরে পৌর নির্বাহীর মাধ্যমে পরিবারের কাছে মৃত্যুসংবাদ পৌঁছে দেওয়া হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ ডিসেম্বর কুয়েতের জাহরা মতলা এলাকায় এক দুর্ঘটনায় শাহজাহান রনির মৃত্যু হয়েছে। তবে দুর্ঘটনার ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ ছিল না।

মৃত্যুসংবাদ জানাজানি হলে পরিবারে শোকের মাতম শুরু হয়। রনির মা নাছিমা বেগম বলেন, “আমার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার আগেই বলেছিল তাকে মেরে ফেলা হবে। এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়। আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।”

এ বিষয়ে কুয়েতে অবস্থানরত অভিযুক্ত মীর হোসেন মুঠোফোনে বলেন, “আমি আড়াই বছর আগে রনিকে কুয়েতে এনে আমার দোকানে চাকরি দিয়েছিলাম। গত ৪ ডিসেম্বর সে আমাকে কিছু না জানিয়ে অন্যত্র চলে যায়। পরে পরিবারের মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর শুনি। আমি কখনো তাকে নির্যাতন করিনি, হত্যা তো দূরের কথা। পরিবারের অভিযোগ সত্য নয়। দূতাবাসের মাধ্যমে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো. নুরুল আমিন বলেন, “প্রবাসী কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব আমার সরকারি নম্বরে রনির মৃত্যুসংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়ে পরিবারকে জানাতে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী পরিবারকে অবহিত করা হয়েছে। পরিবারের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় এনসিপির শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাকে মাথায় গুলি

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪৯
জাতীয় শ্রমিক শক্তির বিভাগীয় কমিটির প্রতিনিধি মো. মোতালেব শিকদার (৪০)। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় শ্রমিক শক্তির বিভাগীয় কমিটির প্রতিনিধি মো. মোতালেব শিকদার (৪০)। ছবি: সংগৃহীত

খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তির বিভাগীয় কমিটির প্রতিনিধি মো. মোতালেব শিকদারকে (৪০) দুর্বৃত্তরা গুলি করেছে।

আজ সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা বেসরকারি গাজী মেডিকেলের সামনে তাঁকে গুলি করা হয়।

গুলিবিদ্ধ মোতালেবকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলি তাঁর মাথায় বিদ্ধ হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনিমেষ মণ্ডল বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ও হাসপাতাল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা বিস্তারিত পরে জানাব।’

বিস্তারিত আসছে...

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত