অভিজিৎ সাহা, নালিতাবাড়ী (শেরপুর)
শেরপুরের গারো পাহাড়ে মানুষের বিচরণ বাড়ছে। কমছে হাতি বসবাসের স্থান, বন-জঙ্গল। যে কারণে পাহাড় থেকে হাতির পাল প্রায়ই লোকালয়ে চলে আসে। দলে হাতির সংখ্যা প্রায় অর্ধশত। লোকালয়ে আসায় নানা ঘটনায় ইতিমধ্যে অনেক হাতি প্রাণ হারিয়েছে। গত ২৮ বছরে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে জেলায় হাতি মারা গেছে ৩৩টি। একই সময়ে মানুষ মারা গেছে ৫৮ জন।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার গারো পাহাড়ে বন্য হাতির বিচরণ। ১৯৯৫ সালে ২০-২৫টি বন্য হাতির দল ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পিক পাহাড় থেকে দলছুট হয়ে এ পাহাড়ে চলে আসে। বর্তমানে যা তিনটি দলে ভাগ হয়ে প্রায় শতাধিক হাতি বিচরণ করছে গারো পাহাড়জুড়ে।
পরবর্তী সময় হাতির দলটি ভারতের কাঁটাতারের বেড়া ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাধার কারণে আবাসস্থলে ফিরে যেতে পারেনি। ধান ও কাঁঠালের মৌসুম ছাড়াও খাদ্যের সন্ধানে প্রায় প্রতি রাতেই হাতির দল জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসে। সারা বছর দলটি শেরপুরের শ্রীবরদী থেকে শুরু করে ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী হয়ে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার সীমান্ত চষে বেড়ায়।
পাহাড়ে হাতির দল খাবার না পেয়ে খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসে। এ সময় পাহাড়িদের বাড়ি-ঘরে হানা দেয়। তখন ফসল ও বাড়ি-ঘর রক্ষা করতে এলাকাবাসী মশাল জ্বালিয়ে ঢাকঢোল বাজিয়ে হইহুল্লোড় করে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। মাঝেমধ্যে ভারতীয় সীমান্ত সড়কের কালভার্টের নিচ দিয়ে হাতির দলটি সীমান্তের ওপারে চলে যায়। কয়েক দিন অবস্থান করার পর ফের গারো পাহাড়ে ফিরে আসে।
বন বিভাগের তথ্যমতে, মানুষ-হাতির দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিবছর মারা যাচ্ছে মানুষ ও হাতি। শুধু শেরপুর জেলায় ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত হাতি মরেছে ২৫টি আর মানুষ মরেছে ২৭ জন। ১৯৯৫ থেকে এ পর্যন্ত হাতির মৃত্যু হয়েছে ৩৩টি আর মানুষ মারা গেছে ৫৮ জন।
হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব কমাতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও, কোনোটাই তেমন কার্যকরী হচ্ছে না বলে দাবি এলাকাবাসীর। ২০১৪ সালে হাতি প্রতিরোধে পরীক্ষামূলকভাবে সীমান্ত এলাকায় ১৩ কিলোমিটার সৌরবিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে বেড়া দেওয়ার প্রকল্প নেয় বন বিভাগ। ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় হাতির বিচরণক্ষেত্র ও আক্রমণের সম্ভাব্য গতিপথে বেড়া নির্মাণ করা হয়।
২০১৫ সালে ঝিনাইগাতীর তাওয়াকুচি ও কর্ণঝুড়া গ্রামে ১০০ হেক্টর বনভূমিতে হাতির খাদ্য উপযোগী বাগান তৈরি করে দেওয়া হয়। হাতি প্রতিরোধে জেলার তাওয়াকুচি, ছোট গজনী, বড় গজনী, হালচাটি ও মায়াঘাসি এলাকায় ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে লেবু ও বেতকাঁটার বাগান করা হয়। হাতির অবস্থা দেখতে সীমান্তে ১৬টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া হাতি তাড়াতে বিভিন্ন সময় পাহাড়ি গ্রামগুলোতে চার্জার লাইট, টর্চলাইট ও জেনারেটর বিতরণ করা হয়েছে। বন্য হাতির ক্ষুধার কাছে সবকিছুই ভেস্তে গেছে।
পরিবেশবাদীদের অভিযোগ, গারো পাহাড়ে মানুষের অবাদ বিচরণ, বৃক্ষনিধন ইত্যাদি কারণে হাতি তাদের অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। যদি গারো পাহাড়ে হাতির অভয়ারণ্য করা যায়, তাহলে এই প্রাণীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা যাবে। এ ছাড়া তখন লোকালয়েও আসবে না হাতি ৷ ফলে কমে যাবে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব।
নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাতা এলাকার কৃষক জোসেফ সাংমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় ১৫ বছর যাবৎ হাতির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে আছি। প্রতিবছরই কষ্টের ফসল খেয়ে সাবাড় করে হাতির দল। তাণ্ডব চালায় বাড়ি-ঘরেও। প্রায় অর্ধশত হাতি এই তাণ্ডব চালাচ্ছে।’
গারো পাহাড়, বন্য প্রাণী ও নদী রক্ষা পরিষদের উপদেষ্টা বিপ্লব দে কেটু আজকের পত্রিকাকে বলেন,‘ হাতি হচ্ছে প্রকৃতির পাহারাদার। আমরা চাই হাতি ও মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত হোক। হাতির জন্য পাহাড়ে পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করা হোক।’
ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আবদুল ওয়াদুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাতির বিচরণ এলাকায় অভয়ারণ্যের সৃষ্টি করতে মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত অনুমতি পাওয়া যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে ৯৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। আরও ৩৩ লাখ টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু হাতিকে কোনোভাবে বিরক্ত করা যাবে না।’
শেরপুরের গারো পাহাড়ে মানুষের বিচরণ বাড়ছে। কমছে হাতি বসবাসের স্থান, বন-জঙ্গল। যে কারণে পাহাড় থেকে হাতির পাল প্রায়ই লোকালয়ে চলে আসে। দলে হাতির সংখ্যা প্রায় অর্ধশত। লোকালয়ে আসায় নানা ঘটনায় ইতিমধ্যে অনেক হাতি প্রাণ হারিয়েছে। গত ২৮ বছরে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে জেলায় হাতি মারা গেছে ৩৩টি। একই সময়ে মানুষ মারা গেছে ৫৮ জন।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার গারো পাহাড়ে বন্য হাতির বিচরণ। ১৯৯৫ সালে ২০-২৫টি বন্য হাতির দল ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পিক পাহাড় থেকে দলছুট হয়ে এ পাহাড়ে চলে আসে। বর্তমানে যা তিনটি দলে ভাগ হয়ে প্রায় শতাধিক হাতি বিচরণ করছে গারো পাহাড়জুড়ে।
পরবর্তী সময় হাতির দলটি ভারতের কাঁটাতারের বেড়া ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাধার কারণে আবাসস্থলে ফিরে যেতে পারেনি। ধান ও কাঁঠালের মৌসুম ছাড়াও খাদ্যের সন্ধানে প্রায় প্রতি রাতেই হাতির দল জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসে। সারা বছর দলটি শেরপুরের শ্রীবরদী থেকে শুরু করে ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী হয়ে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার সীমান্ত চষে বেড়ায়।
পাহাড়ে হাতির দল খাবার না পেয়ে খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসে। এ সময় পাহাড়িদের বাড়ি-ঘরে হানা দেয়। তখন ফসল ও বাড়ি-ঘর রক্ষা করতে এলাকাবাসী মশাল জ্বালিয়ে ঢাকঢোল বাজিয়ে হইহুল্লোড় করে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। মাঝেমধ্যে ভারতীয় সীমান্ত সড়কের কালভার্টের নিচ দিয়ে হাতির দলটি সীমান্তের ওপারে চলে যায়। কয়েক দিন অবস্থান করার পর ফের গারো পাহাড়ে ফিরে আসে।
বন বিভাগের তথ্যমতে, মানুষ-হাতির দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিবছর মারা যাচ্ছে মানুষ ও হাতি। শুধু শেরপুর জেলায় ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত হাতি মরেছে ২৫টি আর মানুষ মরেছে ২৭ জন। ১৯৯৫ থেকে এ পর্যন্ত হাতির মৃত্যু হয়েছে ৩৩টি আর মানুষ মারা গেছে ৫৮ জন।
হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব কমাতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও, কোনোটাই তেমন কার্যকরী হচ্ছে না বলে দাবি এলাকাবাসীর। ২০১৪ সালে হাতি প্রতিরোধে পরীক্ষামূলকভাবে সীমান্ত এলাকায় ১৩ কিলোমিটার সৌরবিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে বেড়া দেওয়ার প্রকল্প নেয় বন বিভাগ। ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় হাতির বিচরণক্ষেত্র ও আক্রমণের সম্ভাব্য গতিপথে বেড়া নির্মাণ করা হয়।
২০১৫ সালে ঝিনাইগাতীর তাওয়াকুচি ও কর্ণঝুড়া গ্রামে ১০০ হেক্টর বনভূমিতে হাতির খাদ্য উপযোগী বাগান তৈরি করে দেওয়া হয়। হাতি প্রতিরোধে জেলার তাওয়াকুচি, ছোট গজনী, বড় গজনী, হালচাটি ও মায়াঘাসি এলাকায় ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে লেবু ও বেতকাঁটার বাগান করা হয়। হাতির অবস্থা দেখতে সীমান্তে ১৬টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া হাতি তাড়াতে বিভিন্ন সময় পাহাড়ি গ্রামগুলোতে চার্জার লাইট, টর্চলাইট ও জেনারেটর বিতরণ করা হয়েছে। বন্য হাতির ক্ষুধার কাছে সবকিছুই ভেস্তে গেছে।
পরিবেশবাদীদের অভিযোগ, গারো পাহাড়ে মানুষের অবাদ বিচরণ, বৃক্ষনিধন ইত্যাদি কারণে হাতি তাদের অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। যদি গারো পাহাড়ে হাতির অভয়ারণ্য করা যায়, তাহলে এই প্রাণীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা যাবে। এ ছাড়া তখন লোকালয়েও আসবে না হাতি ৷ ফলে কমে যাবে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব।
নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাতা এলাকার কৃষক জোসেফ সাংমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় ১৫ বছর যাবৎ হাতির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে আছি। প্রতিবছরই কষ্টের ফসল খেয়ে সাবাড় করে হাতির দল। তাণ্ডব চালায় বাড়ি-ঘরেও। প্রায় অর্ধশত হাতি এই তাণ্ডব চালাচ্ছে।’
গারো পাহাড়, বন্য প্রাণী ও নদী রক্ষা পরিষদের উপদেষ্টা বিপ্লব দে কেটু আজকের পত্রিকাকে বলেন,‘ হাতি হচ্ছে প্রকৃতির পাহারাদার। আমরা চাই হাতি ও মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত হোক। হাতির জন্য পাহাড়ে পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করা হোক।’
ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আবদুল ওয়াদুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাতির বিচরণ এলাকায় অভয়ারণ্যের সৃষ্টি করতে মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত অনুমতি পাওয়া যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে ৯৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। আরও ৩৩ লাখ টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু হাতিকে কোনোভাবে বিরক্ত করা যাবে না।’
ঝিনাইদহ সদরের নতুন বাড়ি এলাকায় দুই ট্রাকের সংঘর্ষে আল আমিন (২৫) নামের এক ট্রাকচালকের নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরও ৩ জন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৬ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাজেদুল লস্কর (৩২) নামের এক ব্যক্তির লাঠির আঘাতে তার চাচাতো ভাই আপেল লস্করের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি লস্কর পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সাজেদুল লস্করকে আটক করেছে পুলিশ। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আউয়াল কবির বিষয়টি নিশ
৩৮ মিনিট আগেময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখাইজুড়ি নদী একসময় প্রবহমান ছিল। এতে এলাকার মানুষ গোসল দিত, মাছ ধরত ও হাঁস পালন করত। সেই নদী দখল করে বাঁশ ও জালের বেড়া দিয়ে ছোট ছোট ঘের তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
৪২ মিনিট আগেকুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ এলাকার একটি রেস্তোরাঁর কর্মী তোফাজ্জল হোসেন। অর্থের অভাবে লেখাপড়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাঁর। ১৩ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন রেস্তোরাঁয়।
১ ঘণ্টা আগে