Ajker Patrika

ছাত্রদল নেতার রগ কাটার ঘটনায় জেলার সাধারণ সম্পাদকসহ ৪ জনকে বহিষ্কার

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬: ৩৪
ছাত্রদল নেতার রগ কাটার ঘটনায় জেলার সাধারণ সম্পাদকসহ ৪ জনকে বহিষ্কার

নেত্রকোনা পৌর ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান বাপ্পীর হাত-পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে গুরুতর জখমের ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরীসহ চার নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন মাসের জন্য অনিকের সাংগঠনিক পদ স্থগিত, সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম সোহাগ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনকে অস্থায়ীভাবে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার এবং সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনজুল হককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

গতকাল শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

আজ শনিবার জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সারওয়ার আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মশিউর রহমান বাপ্পীর হাত-পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার অনন্তপুর এলাকায় একটি ওরসে বাপ্পীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা বাপ্পীর হাত, পায়ের রগ কেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন রাতে তাঁকে ঢাকার হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। 

সেখানে দুই সপ্তাহ নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন থাকার পর বাপ্পীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা শেষে গত বুধবার তাঁকে নেত্রকোনা শহরের কুড়পাড় এলাকায় বাসায় নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আছেন তিনি। 

তবে হামলার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাপ্পী তাঁর ওপর হামলাকারীদের নাম-পরিচয় বলেন। এতে নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরী, সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন ও সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনজুল হকসহ আরও ১৫-২০ জন তাঁর ওপর হামলা চালায় বলে জানায় বাপ্পী। 

বাপ্পীর ওপর হামলার ঘটনায় ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর মামা মো. জাকারিয়া বাদী হয়ে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ রনি মিয়া নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন। হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন সময় মানববন্ধন, বিক্ষোভ, স্মারকলিপিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন বাপ্পীর সমর্থকেরা। 

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, ছাত্রদল নেতার ওপর হামলার ঘটনার করা মালায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে। তবে তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত