শেরপুরে ১০ দিন ধরে নিখোঁজ অটোচালকের সন্ধান দাবিতে মানববন্ধন

শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭: ২০
আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭: ৪৩

শেরপুরে ১০ দিন ধরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ নিখোঁজ চালক মো. এরশাদ আলীর (৩৫) সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্বজনেরা ও এলাকাবাসী। আজ শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নিখোঁজ অটোচালকের স্ত্রী মমেজা বেগম, ভাই মো. হাসান মিয়া ও মো. রাসেল মিয়া, মা আসমা বেগম, মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার প্রমুখ। এ সময় তাঁরা জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কাছে অটোচালক এরশাদ আলীর সন্ধান চান।

মানববন্ধনে দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন। এর আগে তাঁরা শহরের কলেজ মোড় থেকে একটি মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে পৌঁছান। 

নিখোঁজের স্বজনেরা জানান, গত ২৭ মার্চ শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের হেরুয়া বাজারীপাড়া এলাকার মো. খোরশেদের ছেলে অটোচালক এরশাদ আলী সদ্য কেনা অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। ওই ঘটনায় পরদিন ২৮ মার্চ এরশাদের স্ত্রী সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ঘটনার ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো তাঁর খোঁজ মেলেনি। 

নিহতের ভাই মো. রাসেল মিয়া বলেন, ‘গত ২৭ মার্চ আমার ভাই অটোসহ নিখোঁজ হয়। আমরা জিডি করার পর পুলিশ আমাদের জানিয়েছে যে ওর সর্বশেষ অবস্থান গৌরীপুর পর্যন্ত পাওয়া গেছে। এরপর মোবাইল ফোন বন্ধ। মোবাইল ফোনে সর্বশেষ কল ছিল সোলাইমান নামের আমাদের এলাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে। এই সোলাইমানের কাছে আমার ভাই কিছু টাকা পেত। ওই পাওনা টাকা নিয়ে নিখোঁজের দিন দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়েছে। পরে সোলাইমান আমার ভাইকে টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে গেছে। এখন সোলাইমানও পলাতক রয়েছেন। পুলিশ প্রশাসন আমাদের তেমন সহযোগিতা করছে না।’ 

নিহতের স্ত্রী মমেজা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ঘটনার দিন বিকেলে আমার হাতে বাজার দিয়ে ইফতার বানাতে বলে সে অটো নিয়ে বের হয়েছিল। এরপর সে আর ফিরে আসেনি। তাকে হারিয়ে তিন মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে আমি অসহায় হয়ে পড়েছি। আমার সন্তানগুলোর মুখের দিকে তাকিয়ে হলেও আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন আপনারা।’ 
 
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘ওই ঘটনায় অটোচালকের স্ত্রী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আমরা তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাঁকে খোঁজার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত