সাদ্দাম হোসেন, বগুড়া থেকে
অপরাজিতা ফুলের চা তৈরি করে সাড়া ফেলেছেন রওনাক হোসেন মুরাদ নামে এক চা বিক্রেতা। এ চা পান করতে প্রতিদিন দোকানটিতে আসছেন নানা বয়সের চাপ্রেমীরা। নীল আর বেগুনি রঙের এ চা বিক্রি হয় বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।
বগুড়া শহরের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের উত্তর পাশে ছিলিমপুর এলাকায় এই অপরাজিতার চায়ের জন্যই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দোকানটি। দোকানের নাম ‘টুকিটাকি’। প্রতিদিন শুধু এই অপরাজিতা ফুলের চা বিক্রি হয় ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার। অবশ্য চায়ের নামে পরিচিত হলেও এই পানীয়তে কিন্তু কোনো চা পাতা ব্যবহার করা হয় না।
চা বানাতে বানাতেই ৫৬ বছর বয়সী রওনাক হোসেন মুরাদ শোনালেন তাঁর গল্প। তিনি বলেন, সাধারণ স্বাদের চা দিয়ে ছোট্ট একটা দোকান চালু করেছিলাম। বছর দু-এক আগে ছোট মেয়ে ইউটিউব দেখে এ ফুলের চায়ের কথা জানায়। পরে ইউটিউবে ভিডিও দেখে চা বানানো রপ্ত করি। এরপর দোকান ও বাড়ির পাশে রোপণ করি অপরাজিতা ফুলের গাছ। প্রথম প্রথম এ চা খেতে আগ্রহী হননি ক্রেতারা। পরে যখন এক-দুই কাপ করে বিক্রি শুরু হয় তখন অনেকে এ চা পান করতে শুরু করেন। এখন ভিড় বেড়েছে শৌখিন চা-পিপাসুদের।
চা কীভাবে বানান জানতে চাইলে রওনাক হোসেন বলেন, প্রথমে দোকানের পাশে লাগানো অপরাজিতা গাছ থেকে একটি একটি ফুল ছেঁড়া হয়। এরপর ফুল তুলে নিয়ে বৃন্ত থেকে পাপড়ি আলাদা করে ভালোমতো ধুয়ে গরম পানিতে জ্বাল দেওয়ার ব্যবস্থা করি। পাপড়ি যত সেদ্ধ হবে ততই গাঢ় হবে রং। পরে ছেঁকে পাপড়ি ফেলে দিয়ে পানি ঢালা হয় চায়ের কাপে। হালকা বেগুনি রঙের এ গরম পানিতে চিনি মেশাতেই হয়ে যায় অপরাজিতা ফুলের চা! কয়েক মিনিটেই প্রস্তুত। তবে হালকা বেগুনি রঙের পানিতে লেবু চিপে দিলে এই চা রং বদলে গাঢ় নীল হয়।
রওনাক হোসেন জানান, চা বিক্রি ছাড়া অন্য কোনো পেশা টানেনি তাঁকে। প্রতি কাপ চায়ের দাম ১০টাকা। দোকানের সব খরচ বাদ দিয়ে মাসে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা আয় হয়। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তাঁর সংসার।
চা খেতে আসা রফিক তালুকদার বলেন, মুরাদ চাচার ব্যতিক্রমী চা অনেক মজার। তাই এখানে চা খেতে এসেছি।
জিল্লুর নামের আরেক ক্রেতা বলেন, গাঢ় নীল রঙের অপরাজিতা ফুলের চা বন্ধুদের সঙ্গে পান করতে এসেছি। অন্য জায়গা থেকে এখনকার চায়ের আলাদা টেস্ট আছে।
অপরাজিতা চায়ের ভেষজ গুণ সম্পর্কে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক জিপি সাহা বলেন, মানসিক অবসাদ, রক্ত জমাট বাধা, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা প্রতিরোধের পাশাপাশি অপরাজিতার নীল রঙের চায়ে রয়েছে অনেক ভেষজ গুণ। হৃদ্যন্ত্রের সুরক্ষায়, চর্বি কমাতে, মেদ ঝরাতে, ওজন নিয়ন্ত্রণ ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও এটি অনেক কার্যকরী। জাপান, চীনসহ বিভিন্ন উন্নত রাষ্ট্রের মানুষ এই চা পান করেন বলে জানান জিপি সাহা।
অপরাজিতা ফুলের চা তৈরি করে সাড়া ফেলেছেন রওনাক হোসেন মুরাদ নামে এক চা বিক্রেতা। এ চা পান করতে প্রতিদিন দোকানটিতে আসছেন নানা বয়সের চাপ্রেমীরা। নীল আর বেগুনি রঙের এ চা বিক্রি হয় বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।
বগুড়া শহরের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের উত্তর পাশে ছিলিমপুর এলাকায় এই অপরাজিতার চায়ের জন্যই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দোকানটি। দোকানের নাম ‘টুকিটাকি’। প্রতিদিন শুধু এই অপরাজিতা ফুলের চা বিক্রি হয় ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার। অবশ্য চায়ের নামে পরিচিত হলেও এই পানীয়তে কিন্তু কোনো চা পাতা ব্যবহার করা হয় না।
চা বানাতে বানাতেই ৫৬ বছর বয়সী রওনাক হোসেন মুরাদ শোনালেন তাঁর গল্প। তিনি বলেন, সাধারণ স্বাদের চা দিয়ে ছোট্ট একটা দোকান চালু করেছিলাম। বছর দু-এক আগে ছোট মেয়ে ইউটিউব দেখে এ ফুলের চায়ের কথা জানায়। পরে ইউটিউবে ভিডিও দেখে চা বানানো রপ্ত করি। এরপর দোকান ও বাড়ির পাশে রোপণ করি অপরাজিতা ফুলের গাছ। প্রথম প্রথম এ চা খেতে আগ্রহী হননি ক্রেতারা। পরে যখন এক-দুই কাপ করে বিক্রি শুরু হয় তখন অনেকে এ চা পান করতে শুরু করেন। এখন ভিড় বেড়েছে শৌখিন চা-পিপাসুদের।
চা কীভাবে বানান জানতে চাইলে রওনাক হোসেন বলেন, প্রথমে দোকানের পাশে লাগানো অপরাজিতা গাছ থেকে একটি একটি ফুল ছেঁড়া হয়। এরপর ফুল তুলে নিয়ে বৃন্ত থেকে পাপড়ি আলাদা করে ভালোমতো ধুয়ে গরম পানিতে জ্বাল দেওয়ার ব্যবস্থা করি। পাপড়ি যত সেদ্ধ হবে ততই গাঢ় হবে রং। পরে ছেঁকে পাপড়ি ফেলে দিয়ে পানি ঢালা হয় চায়ের কাপে। হালকা বেগুনি রঙের এ গরম পানিতে চিনি মেশাতেই হয়ে যায় অপরাজিতা ফুলের চা! কয়েক মিনিটেই প্রস্তুত। তবে হালকা বেগুনি রঙের পানিতে লেবু চিপে দিলে এই চা রং বদলে গাঢ় নীল হয়।
রওনাক হোসেন জানান, চা বিক্রি ছাড়া অন্য কোনো পেশা টানেনি তাঁকে। প্রতি কাপ চায়ের দাম ১০টাকা। দোকানের সব খরচ বাদ দিয়ে মাসে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা আয় হয়। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তাঁর সংসার।
চা খেতে আসা রফিক তালুকদার বলেন, মুরাদ চাচার ব্যতিক্রমী চা অনেক মজার। তাই এখানে চা খেতে এসেছি।
জিল্লুর নামের আরেক ক্রেতা বলেন, গাঢ় নীল রঙের অপরাজিতা ফুলের চা বন্ধুদের সঙ্গে পান করতে এসেছি। অন্য জায়গা থেকে এখনকার চায়ের আলাদা টেস্ট আছে।
অপরাজিতা চায়ের ভেষজ গুণ সম্পর্কে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক জিপি সাহা বলেন, মানসিক অবসাদ, রক্ত জমাট বাধা, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা প্রতিরোধের পাশাপাশি অপরাজিতার নীল রঙের চায়ে রয়েছে অনেক ভেষজ গুণ। হৃদ্যন্ত্রের সুরক্ষায়, চর্বি কমাতে, মেদ ঝরাতে, ওজন নিয়ন্ত্রণ ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও এটি অনেক কার্যকরী। জাপান, চীনসহ বিভিন্ন উন্নত রাষ্ট্রের মানুষ এই চা পান করেন বলে জানান জিপি সাহা।
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে এক যুবক দৌড়ে গিয়ে কিল-ঘুষি মারেন। তা ছাড়া এ সময় তাঁকে ডিম ছুড়ে মারে ছাত্র-জনতা। তাঁকে হাতকড়া না পরানোয় ক্ষোভ দেখিয়ে পুলিশের গাড়ি আটকে দেন উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দো
২২ মিনিট আগেমাদারীপুরের কালকিনিতে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা পৌর বাস টার্মিনাল চালু হয়নি পাঁচ বছরেও। ফলে সন্ধ্যা হলে সেখানে বসে মাদকসেবী আর বখাটেদের আড্ডা। অন্যদিকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। তাঁদের ব্যস্ততম ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ওপর গাড়ি থামিয়ে ওঠানামা করতে হচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতিহত করতে সোচ্চার ছিলেন ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন দলের নেতারাও। তবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) গত চার মাসে এ ধরনের কোনো তৎপরতা ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করে ববিতে মামলা, হামলা, মারধরের শিকার..
৮ ঘণ্টা আগেফলজাতীয় পণ্যের ওপর আরোপ করা অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক আগামী চার দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন যশোরের ব্যবসায়ীরা। দাবি পূরণ না হলে তাঁরা বিদেশ থেকে ফল আমদানি বন্ধ করে দেবেন।
৮ ঘণ্টা আগে