রাব্বিউল হাসান, কালাই (জয়পুরহাট)
দিন দিন বেড়েই চলছে নিত্যপণ্যের মূল্য। পবিত্র রমজান মাসে আবারও বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম। রমজান মাসে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১৫-২০ টাকা। আবার বাজারে সরবরাহ নেই বোতলজাত সয়াবিন তেলের।
এ ছাড়া সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে প্রতি কেজি ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা বেশিতে। এতে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন কালাই উপজেলার মধ্য ও নিম্ন আয়ের হাজারো খেটে খাওয়া মানুষ।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘মিল মালিক এবং ডেলিভারি অর্ডার (ডিও) ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে তেলের বাজার ঊর্ধ্বগামী। পাইকারি বাজারে তেলের দাম বেশি ধরায় খুচরা বাজারে বেশি দামে তেল বিক্রি করতে হচ্ছে। আবার বাজারে সরবরাহ নেই বোতলজাত তেল। এতে চাপ পড়েছে খোলা সয়াবিন তেলে।’
ক্রেতারা বলছেন, ‘সরকারি দামে তেল শুধু পত্রিকা, টেলিভিশনে দেখি। কিন্তু বাস্তবে তেল কিনতে আসলে সেই হিসাব আর মেলে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে শ্রীলঙ্কার মতো হতে সময় লাগবে না। আয় রোজগার বাড়ছে না কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে।’
আজ শনিবার সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি নির্ধারিত মূল্যের থেকে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা বেশিতে। খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০-১৮৬ টাকায় আর কেজি ১৯৫-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাম ওয়েল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৫৫-১৬০ টাকা এবং কেজি ১৭০-১৭৫ টাকা। সরবরাহ না থাকায় বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৮০ টাকায়। সরিষার তেল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকায়।
অথচ এক সপ্তাহ আগেও খোলা সয়াবিন তেলে বেড়েছিল ১০ টাকা। তখন খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হয়েছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা, প্রতি কেজি ১৮০ টাকা। পাম ওয়েল বিক্রি হয়েছে প্রতি লিটার ১৫০ টাকা এবং কেজি ১৬৬ টাকা।
যেখানে সরকার নির্ধারিত মূল্য ভোজ্যতেলের দাম থাকার কথা ছিল খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ১৩৬ টাকা, পাম ওয়েল ১৩০ টাকা এবং বোতলজাত তেল প্রতি লিটার ১৬০ টাকা। সেখানে সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকেও বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা বেশিতে।
কালাই হাটে ভোজ্যতেল কিনতে আসা কালাই পৌর বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘রমজানেই চারবার বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম। সরকার নির্ধারিত দামের থেকেও ৫০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। আয় রোজগার বাড়েনি কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। শুধু সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ে, আমাদের বাড়ে না।’
ভোজ্যতেল কিনতে এসেছেন অটো ভ্যান চালক রবিউল ইসলাম। পরিবারে ৬ জন সদস্য। তাঁর আয়েই চলে সংসার। তিনি বলেন, ‘সারা দিনে কামাই করি ২৫০-৩০০ টাকা। যা কামাই করি চাল, তেল কিনতেই শেষ। প্রতিদিন যে হারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এখন ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে থাকাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।’
কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টুকটুক তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রমজান মাস উপলক্ষে বাজার তদারকি অব্যাহত রয়েছে। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেশি নেওয়া হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জয়পুরহাট জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফজলে এলাহী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু জয়পুরহাটে ভোজ্যতেল উৎপন্ন হয় না। সে জন্য ভোজ্যতেল ক্রয় করে আনতে হয়। ক্রয়ের মূল্যের সঙ্গে বিক্রয় মূল্য অসামঞ্জস্য হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দিন দিন বেড়েই চলছে নিত্যপণ্যের মূল্য। পবিত্র রমজান মাসে আবারও বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম। রমজান মাসে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১৫-২০ টাকা। আবার বাজারে সরবরাহ নেই বোতলজাত সয়াবিন তেলের।
এ ছাড়া সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে প্রতি কেজি ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা বেশিতে। এতে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন কালাই উপজেলার মধ্য ও নিম্ন আয়ের হাজারো খেটে খাওয়া মানুষ।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘মিল মালিক এবং ডেলিভারি অর্ডার (ডিও) ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে তেলের বাজার ঊর্ধ্বগামী। পাইকারি বাজারে তেলের দাম বেশি ধরায় খুচরা বাজারে বেশি দামে তেল বিক্রি করতে হচ্ছে। আবার বাজারে সরবরাহ নেই বোতলজাত তেল। এতে চাপ পড়েছে খোলা সয়াবিন তেলে।’
ক্রেতারা বলছেন, ‘সরকারি দামে তেল শুধু পত্রিকা, টেলিভিশনে দেখি। কিন্তু বাস্তবে তেল কিনতে আসলে সেই হিসাব আর মেলে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে শ্রীলঙ্কার মতো হতে সময় লাগবে না। আয় রোজগার বাড়ছে না কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে।’
আজ শনিবার সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি নির্ধারিত মূল্যের থেকে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা বেশিতে। খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০-১৮৬ টাকায় আর কেজি ১৯৫-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাম ওয়েল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৫৫-১৬০ টাকা এবং কেজি ১৭০-১৭৫ টাকা। সরবরাহ না থাকায় বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৮০ টাকায়। সরিষার তেল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকায়।
অথচ এক সপ্তাহ আগেও খোলা সয়াবিন তেলে বেড়েছিল ১০ টাকা। তখন খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হয়েছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা, প্রতি কেজি ১৮০ টাকা। পাম ওয়েল বিক্রি হয়েছে প্রতি লিটার ১৫০ টাকা এবং কেজি ১৬৬ টাকা।
যেখানে সরকার নির্ধারিত মূল্য ভোজ্যতেলের দাম থাকার কথা ছিল খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ১৩৬ টাকা, পাম ওয়েল ১৩০ টাকা এবং বোতলজাত তেল প্রতি লিটার ১৬০ টাকা। সেখানে সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকেও বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা বেশিতে।
কালাই হাটে ভোজ্যতেল কিনতে আসা কালাই পৌর বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘রমজানেই চারবার বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম। সরকার নির্ধারিত দামের থেকেও ৫০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। আয় রোজগার বাড়েনি কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। শুধু সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ে, আমাদের বাড়ে না।’
ভোজ্যতেল কিনতে এসেছেন অটো ভ্যান চালক রবিউল ইসলাম। পরিবারে ৬ জন সদস্য। তাঁর আয়েই চলে সংসার। তিনি বলেন, ‘সারা দিনে কামাই করি ২৫০-৩০০ টাকা। যা কামাই করি চাল, তেল কিনতেই শেষ। প্রতিদিন যে হারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এখন ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে থাকাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।’
কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টুকটুক তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রমজান মাস উপলক্ষে বাজার তদারকি অব্যাহত রয়েছে। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেশি নেওয়া হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জয়পুরহাট জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফজলে এলাহী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু জয়পুরহাটে ভোজ্যতেল উৎপন্ন হয় না। সে জন্য ভোজ্যতেল ক্রয় করে আনতে হয়। ক্রয়ের মূল্যের সঙ্গে বিক্রয় মূল্য অসামঞ্জস্য হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঝিনাইদহ সদরের নতুন বাড়ি এলাকায় দুই ট্রাকের সংঘর্ষে আল আমিন (২৫) নামের এক ট্রাকচালকের নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরও ৩ জন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাজেদুল লস্কর (৩২) নামের এক ব্যক্তির লাঠির আঘাতে তার চাচাতো ভাই আপেল লস্করের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি লস্কর পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সাজেদুল লস্করকে আটক করেছে পুলিশ। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আউয়াল কবির বিষয়টি নিশ
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখাইজুড়ি নদী একসময় প্রবহমান ছিল। এতে এলাকার মানুষ গোসল দিত, মাছ ধরত ও হাঁস পালন করত। সেই নদী দখল করে বাঁশ ও জালের বেড়া দিয়ে ছোট ছোট ঘের তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ এলাকার একটি রেস্তোরাঁর কর্মী তোফাজ্জল হোসেন। অর্থের অভাবে লেখাপড়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাঁর। ১৩ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন রেস্তোরাঁয়।
১ ঘণ্টা আগে