নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আধপোড়া বাক্সটার ভেতরে সবই ছাই। পাশে কয়েকটা ব্রাশ, দুটি কালির কৌটা আর কয়েকটা বাটাল। জুতা-স্যান্ডেল মেরামত কিংবা কালি করার জন্য এগুলো নিয়েই শনিবার সকালে এক ঘণ্টা ধরে বসে আছেন প্রদীপ চন্দ্র দাস। কিন্তু একজনও আসেননি প্রদীপের দোকানে। উপার্জন না থাকায় গত ৬ থেকে ধারদেনা করে চলার পর জুতা সেলাইয়ের পোড়া বাক্স নিয়ে কাজের অপেক্ষায় আছেন প্রদীপ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের পর আজ শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো কাজে বসেছেন প্রদীপ। বিনোদপুর বাজারে ৩০ বছর ধরেই মুচির কাজ করেন তিনি। তবে এমন পরিস্থিতি জীবনে আর কখনো দেখেননি বলে জানালেন তিনি। বললেন, ‘আগে হয়তো মারামারি লাগিছে, কেউ ছুটায়ে দিল। মিটি গেল। এবার তা না। আমি কুনু ভালোত নাই, মুন্দোত নাই, তা-ও আমার দোকানও পুইড়ি ছাই কইরি দিল।’
প্রদীপ বলেন, ‘ছাত্ররা সব পুড়ায় দিল। ঘটনা হলো বাসের সাথে। বাসের হেলপারেক পাঁচ-সাতজন মিল্যা মাইরছে। দোকানদারেরা ছুটায় দিছে। ছাত্ররা তখুন রাগ হয়্যা গেছে। পুলিশ-টুলিশ আইস্যা সব থামায় দিল। আধা ঘণ্টার পর হলেত থাইক্যা ছাত্ররা সব লিয়্যা আইস্যা ধাম ধাম কইরি পুড়াইয়া দিল। দুকানে যে কডাই মাল থাক, কেহু হটাতে (সরাতে) পারেনি।’
বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বুধপাড়া এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ চন্দ্র দাস। ১১ মার্চ রাতের সংঘর্ষে তাঁর বাক্স পুড়ে ছাই করে দেওয়া হলে তিনি কাজেই বসতে পারেননি ছয় দিন। দিন এনে দিন খাওয়া মানুষটির হাতে যে টাকা ছিল, তা এই কয়দিনেই শেষ। ধার-দেনাও করেছেন। পেটে টান পড়ায় শুক্রবার থেকে কাজের জন্য বসছেন। কিন্তু এখনো কাজ মিলছে না।
প্রদীপ বলেন, ‘কাইলক্যা একটু দোকান খুলিছিলাম। সকালে একটু, বিকেলে একটু। কাজ-কাম সেরকম হয়নি। ১৬০ টাকা হয়েছে। আইজ ৯ ডার আগিই খুলিছি, এখন ১০ডা বাজে। সাহিতই হয়নি। বাড়িত বাড়িআলী (স্ত্রী) আছে, ব্যাটা আর বেটি (ছেলে-মেয়ে) আছে। খাইতে তো হবে। কাইলকার ১৬০ টাকায় আইজ সকালে এক হালি ডিম, এক কেজি আলু আর এক কেজি চাইল কিনিছি। আইজ কাজ হবে কি না জানি না। আমরা দিন খাটি দিন খাই, এইডি দিয়েই সংসার। আইজ যুতি কাজকাম হয় তাহিলে ভালো। সংসারডা চলবি। না হোলি না।’
প্রদীপ চন্দ্র তাঁর ছোট্ট ব্যবসার ক্ষয়ক্ষতির হিসাবটাও এরই মধ্যে করেছেন। বললেন, ‘খরিদ্দাররা জুতা-স্যান্ডেল দিয়া যায়। ওগলা ছিল বাক্সতে। বেরাশ, বাটাল, হাতুড়ি, ফর্মা, সুচ, কালি, কালির কৌটা, কিরিমও ছিল। দেখতিই তো পাছেন, সব পুড়াইয়া শেষ। স্যান্ডেল-ম্যান্ডেল দিয়্যা না হোলি ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি। এই ক্ষতি আমি পূরণ করি কীভাবে?’
প্রদীপের সবই পুড়ে ছাই হওয়ায় এলাকার একজন কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে দিয়েছেন। তাই দিয়েই কাজ শুরু করেছেন। টলমলে চোখে প্রদীপ চন্দ্র বললেন, ‘এই বেরাশ-মেরাশগুলা নতুন। এগলা মানুষে সব কিনি দিয়া গেল। এখানকার একটা মানুষ মধু, ও কিনি দিয়া গেল। কালি-টালি দিয়ে গেল। বলল, “বসো, কাজ করো। ” এই তো কাজ শুরু করনু। এখুন সরকারের থিনে কিছু আমাদেরকে দিলে ভালো হতো। উপকার হতো।’
গত ১১ মার্চ রাতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় বিনোদপুর বাজারের উত্তর পাশের বেশ কিছু দোকানপাট জালিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় আরও বেশ কিছু দোকানপাট। ভাঙচুর চালানো দোকানপাটগুলো এক সপ্তাহ পর শনিবার থেকে গুছিয়ে তোলার কাজ করতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের। তবে পুড়িয়ে ফেলা দোকানের মালিকদের বিনোদপুর বাজারে দেখা যায়নি। আর ক্ষতি না হওয়া দোকানগুলো শনিবার খোলা দেখা গেছে।
আধপোড়া বাক্সটার ভেতরে সবই ছাই। পাশে কয়েকটা ব্রাশ, দুটি কালির কৌটা আর কয়েকটা বাটাল। জুতা-স্যান্ডেল মেরামত কিংবা কালি করার জন্য এগুলো নিয়েই শনিবার সকালে এক ঘণ্টা ধরে বসে আছেন প্রদীপ চন্দ্র দাস। কিন্তু একজনও আসেননি প্রদীপের দোকানে। উপার্জন না থাকায় গত ৬ থেকে ধারদেনা করে চলার পর জুতা সেলাইয়ের পোড়া বাক্স নিয়ে কাজের অপেক্ষায় আছেন প্রদীপ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের পর আজ শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো কাজে বসেছেন প্রদীপ। বিনোদপুর বাজারে ৩০ বছর ধরেই মুচির কাজ করেন তিনি। তবে এমন পরিস্থিতি জীবনে আর কখনো দেখেননি বলে জানালেন তিনি। বললেন, ‘আগে হয়তো মারামারি লাগিছে, কেউ ছুটায়ে দিল। মিটি গেল। এবার তা না। আমি কুনু ভালোত নাই, মুন্দোত নাই, তা-ও আমার দোকানও পুইড়ি ছাই কইরি দিল।’
প্রদীপ বলেন, ‘ছাত্ররা সব পুড়ায় দিল। ঘটনা হলো বাসের সাথে। বাসের হেলপারেক পাঁচ-সাতজন মিল্যা মাইরছে। দোকানদারেরা ছুটায় দিছে। ছাত্ররা তখুন রাগ হয়্যা গেছে। পুলিশ-টুলিশ আইস্যা সব থামায় দিল। আধা ঘণ্টার পর হলেত থাইক্যা ছাত্ররা সব লিয়্যা আইস্যা ধাম ধাম কইরি পুড়াইয়া দিল। দুকানে যে কডাই মাল থাক, কেহু হটাতে (সরাতে) পারেনি।’
বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বুধপাড়া এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ চন্দ্র দাস। ১১ মার্চ রাতের সংঘর্ষে তাঁর বাক্স পুড়ে ছাই করে দেওয়া হলে তিনি কাজেই বসতে পারেননি ছয় দিন। দিন এনে দিন খাওয়া মানুষটির হাতে যে টাকা ছিল, তা এই কয়দিনেই শেষ। ধার-দেনাও করেছেন। পেটে টান পড়ায় শুক্রবার থেকে কাজের জন্য বসছেন। কিন্তু এখনো কাজ মিলছে না।
প্রদীপ বলেন, ‘কাইলক্যা একটু দোকান খুলিছিলাম। সকালে একটু, বিকেলে একটু। কাজ-কাম সেরকম হয়নি। ১৬০ টাকা হয়েছে। আইজ ৯ ডার আগিই খুলিছি, এখন ১০ডা বাজে। সাহিতই হয়নি। বাড়িত বাড়িআলী (স্ত্রী) আছে, ব্যাটা আর বেটি (ছেলে-মেয়ে) আছে। খাইতে তো হবে। কাইলকার ১৬০ টাকায় আইজ সকালে এক হালি ডিম, এক কেজি আলু আর এক কেজি চাইল কিনিছি। আইজ কাজ হবে কি না জানি না। আমরা দিন খাটি দিন খাই, এইডি দিয়েই সংসার। আইজ যুতি কাজকাম হয় তাহিলে ভালো। সংসারডা চলবি। না হোলি না।’
প্রদীপ চন্দ্র তাঁর ছোট্ট ব্যবসার ক্ষয়ক্ষতির হিসাবটাও এরই মধ্যে করেছেন। বললেন, ‘খরিদ্দাররা জুতা-স্যান্ডেল দিয়া যায়। ওগলা ছিল বাক্সতে। বেরাশ, বাটাল, হাতুড়ি, ফর্মা, সুচ, কালি, কালির কৌটা, কিরিমও ছিল। দেখতিই তো পাছেন, সব পুড়াইয়া শেষ। স্যান্ডেল-ম্যান্ডেল দিয়্যা না হোলি ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি। এই ক্ষতি আমি পূরণ করি কীভাবে?’
প্রদীপের সবই পুড়ে ছাই হওয়ায় এলাকার একজন কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে দিয়েছেন। তাই দিয়েই কাজ শুরু করেছেন। টলমলে চোখে প্রদীপ চন্দ্র বললেন, ‘এই বেরাশ-মেরাশগুলা নতুন। এগলা মানুষে সব কিনি দিয়া গেল। এখানকার একটা মানুষ মধু, ও কিনি দিয়া গেল। কালি-টালি দিয়ে গেল। বলল, “বসো, কাজ করো। ” এই তো কাজ শুরু করনু। এখুন সরকারের থিনে কিছু আমাদেরকে দিলে ভালো হতো। উপকার হতো।’
গত ১১ মার্চ রাতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় বিনোদপুর বাজারের উত্তর পাশের বেশ কিছু দোকানপাট জালিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় আরও বেশ কিছু দোকানপাট। ভাঙচুর চালানো দোকানপাটগুলো এক সপ্তাহ পর শনিবার থেকে গুছিয়ে তোলার কাজ করতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের। তবে পুড়িয়ে ফেলা দোকানের মালিকদের বিনোদপুর বাজারে দেখা যায়নি। আর ক্ষতি না হওয়া দোকানগুলো শনিবার খোলা দেখা গেছে।
রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি। ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের কথা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেযশোর টেকনিক্যাল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কলেজকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বানিয়ে নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতি করার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ১৪ বছর ধরে কর্মস্থলে না গিয়ে একই সঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন। স্ত্রীকে হিসাব সহকারী পদে নিয়োগ দিয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে
৭ ঘণ্টা আগে২ মার্চকে ‘জাতীয় পতাকা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ২ মার্চ পতাকা দিবস ঘোষণার দাবিতে ‘হৃদয়ে পতাকা ২ মার্চ’ আয়োজিত প্রতিবাদী সমাবেশে তিনি এই আহ্বা
৮ ঘণ্টা আগেদেশের বিশিষ্ট সম্পাদক এবং প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর সম্প্রতি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রেস উইং।
৮ ঘণ্টা আগে