নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের নলডাঙ্গায় ভরা বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টির অভাবে ডোবা-নালায় পানি না থাকায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন পাটচাষিরা। এ বছর পাটে প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির প্রভাব পড়েছে। উপজেলার যুগলি খালসহ বেশ কয়েকটি খাল বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পূর্ণ খননে পর্যাপ্ত পানি সংরক্ষণ থাকায় পাট জাগ দেওয়া দিতে পাচ্ছেন চাষিরা। এ ছাড়া বন্যার পানি দ্রুত নিষ্কাশন হওয়ায় সময়মতো রবিশস্য চাষে সুবিধা এবং বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি সেচসুবিধার আওতায় এসেছে এই এলাকার শত শত হেক্টর ফসলি জমি।
নাটোর জোন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পে ৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নলডাঙ্গা উপজেলার হলুদঘর স্লুইসগেট থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার যুগলি খাল পুনর্খনন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সেনভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সেনভাগ বিল পর্যন্ত ২ কিলোমিটার ভরাট হওয়া খাল পুনর্খনন করছে বিএমডিএর নাটোর জোন কার্যালয়।
দীর্ঘদিন এই খালগুলো খনন না করায় ভরাট করে দখল অবস্থায় ছিল। ফলে খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতায় রবিশস্য উৎপাদন ব্যাহত হতো। এ পরিস্থিতিতে কৃষকদের সংকট নিরসনে খালগুলো পুনর্খ ননের উদ্যোগ নেয় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। উদ্দেশ্য ছিল ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর উন্নয়নে ভূমিকা রাখা, খননকৃত খালের পানি দিয়ে দুই ধারে ফসলি জমিতে সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা করা এবং প্রান্তিক কৃষকের আমন চাষসহ সব ধরনের ফসলি জমিতে চাষাবাদ নিশ্চিত করে কৃষকের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা। এই খালগুলো পুনর্খননে শত শত হেক্টর জমির জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার করে সেচের আওতায় আসবে ২ হাজার হেক্টর জমি। এ ছাড়া জুগলি খালসহ বেশ কয়েকটি খাল বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পুনর্খননে পর্যাপ্ত পানি সংরক্ষণ থাকায় পাট জাগে সুবিধা পাচ্ছেন চাষিরা। আর ভরাট ও দখল হওয়া খাল পুনর্খনন না করলে কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত পাট জাগ দিতে পারতেন না। ফলে চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তেন।
বামনগ্রামের চাষি মোবারক আলী বলেন, ‘বন্যার পানিতে খালগুলো ভরাট হয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছিল। আর মরা খালগুলোতে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে ফসলি জমি। এতে সময়মতো রবিশস্য চাষ করা যেত না। এখন যুগলি খাল পুনর্খনন করায় এ সমস্যা থাকবে না।’
বেলঘরিয়া শিবপুর গ্রামের চাষি মামুন আলী বলেন, ‘এবার বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ছোট ছোট ডোবা-নালায় পানি ছিল না। এতে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চরম বিপদে পড়েছিলাম। কিন্তু এই খাল খনন হওয়ায় সেখানে পাট জাগ দিয়ে আঁশ ছড়ানোর কাজ সহজে করা যাচ্ছে। এই খাল খনন আমাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।’
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নাটোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মাদ আহসানুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নাটোর জোন গত অর্থবছরে নলডাঙ্গা উপজেলার হলুদঘর থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার ও সেনভাগে আড়াই কিলোমিটার দখল ও ভরাট হওয়া খাল উদ্ধারে পুনর্খনন করা হয়েছে। খালগুলো খনন হওয়ায় কয়েক হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় এসেছে। পাশাপাশি জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। এ ছাড়া এই মৌসুমে চাষিরা তাঁদের উৎপাদিত পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন। খননকৃত এই খালে পাট জাগ দিয়ে সুফল পেয়েছেন তাঁরা।
নাটোরের নলডাঙ্গায় ভরা বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টির অভাবে ডোবা-নালায় পানি না থাকায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন পাটচাষিরা। এ বছর পাটে প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির প্রভাব পড়েছে। উপজেলার যুগলি খালসহ বেশ কয়েকটি খাল বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পূর্ণ খননে পর্যাপ্ত পানি সংরক্ষণ থাকায় পাট জাগ দেওয়া দিতে পাচ্ছেন চাষিরা। এ ছাড়া বন্যার পানি দ্রুত নিষ্কাশন হওয়ায় সময়মতো রবিশস্য চাষে সুবিধা এবং বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি সেচসুবিধার আওতায় এসেছে এই এলাকার শত শত হেক্টর ফসলি জমি।
নাটোর জোন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পে ৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নলডাঙ্গা উপজেলার হলুদঘর স্লুইসগেট থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার যুগলি খাল পুনর্খনন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সেনভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সেনভাগ বিল পর্যন্ত ২ কিলোমিটার ভরাট হওয়া খাল পুনর্খনন করছে বিএমডিএর নাটোর জোন কার্যালয়।
দীর্ঘদিন এই খালগুলো খনন না করায় ভরাট করে দখল অবস্থায় ছিল। ফলে খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতায় রবিশস্য উৎপাদন ব্যাহত হতো। এ পরিস্থিতিতে কৃষকদের সংকট নিরসনে খালগুলো পুনর্খ ননের উদ্যোগ নেয় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। উদ্দেশ্য ছিল ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর উন্নয়নে ভূমিকা রাখা, খননকৃত খালের পানি দিয়ে দুই ধারে ফসলি জমিতে সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা করা এবং প্রান্তিক কৃষকের আমন চাষসহ সব ধরনের ফসলি জমিতে চাষাবাদ নিশ্চিত করে কৃষকের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা। এই খালগুলো পুনর্খননে শত শত হেক্টর জমির জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার করে সেচের আওতায় আসবে ২ হাজার হেক্টর জমি। এ ছাড়া জুগলি খালসহ বেশ কয়েকটি খাল বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পুনর্খননে পর্যাপ্ত পানি সংরক্ষণ থাকায় পাট জাগে সুবিধা পাচ্ছেন চাষিরা। আর ভরাট ও দখল হওয়া খাল পুনর্খনন না করলে কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত পাট জাগ দিতে পারতেন না। ফলে চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তেন।
বামনগ্রামের চাষি মোবারক আলী বলেন, ‘বন্যার পানিতে খালগুলো ভরাট হয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছিল। আর মরা খালগুলোতে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে ফসলি জমি। এতে সময়মতো রবিশস্য চাষ করা যেত না। এখন যুগলি খাল পুনর্খনন করায় এ সমস্যা থাকবে না।’
বেলঘরিয়া শিবপুর গ্রামের চাষি মামুন আলী বলেন, ‘এবার বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ছোট ছোট ডোবা-নালায় পানি ছিল না। এতে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চরম বিপদে পড়েছিলাম। কিন্তু এই খাল খনন হওয়ায় সেখানে পাট জাগ দিয়ে আঁশ ছড়ানোর কাজ সহজে করা যাচ্ছে। এই খাল খনন আমাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।’
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নাটোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মাদ আহসানুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নাটোর জোন গত অর্থবছরে নলডাঙ্গা উপজেলার হলুদঘর থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার ও সেনভাগে আড়াই কিলোমিটার দখল ও ভরাট হওয়া খাল উদ্ধারে পুনর্খনন করা হয়েছে। খালগুলো খনন হওয়ায় কয়েক হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় এসেছে। পাশাপাশি জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। এ ছাড়া এই মৌসুমে চাষিরা তাঁদের উৎপাদিত পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন। খননকৃত এই খালে পাট জাগ দিয়ে সুফল পেয়েছেন তাঁরা।
বরগুনার তালতলীর জেলেরা নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল দিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলে দেদার নিধন করছেন মাছের পোনাসহ ছোট চিংড়ি। এতে ধ্বংস হচ্ছে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য। এ ক্ষেত্রে দাদন ব্যবসায়ীরা মদদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা প্রশাসনকে হাত করতে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা তোলেন। তবে সরকারি কর্মকর্তারা এ অভিযোগ...
৮ মিনিট আগেডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৮ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৮ ঘণ্টা আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৮ ঘণ্টা আগে