দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
স্বামী নেই। একমাত্র ছেলে রয়েছে, সে-ও থাকে আলাদা। নুন আনতে পান্তা ফুরায়। আয়-রোজগার বলতে দিনমজুরি ও ইঁদুরের গর্ত থেকে সংগ্রহ করা ধান। এই ধান বিক্রির টাকা দিয়ে চলে বছরের প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস।
আটান্ন বছর বয়সী আয়মনা বেওয়া রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌর এলাকার শালঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। প্রতি বছর আমন ধান কাটা শেষ হলেও নেমে পড়েন ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান কুড়াতে। সাপ-পোকামাকড়ের ভয় না পেয়েই ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান সংগ্রহ করেন।
উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে আমন ধান কাটছেন কৃষকেরা। কাটা ধান শুকানো হচ্ছে রোদে।
ধানসহ খড় শুকিয়ে গেলে জমি থেকে সেই ধান নেওয়া হচ্ছে ঘরে। আয়মনা বেওয়ার কাজ এখন শুরু, আর আয়মনার বসে থাকার সময় নেই। আগামী ছয় মাসের খোরাক গুছিয়ে তুলতে হবে ঘরে। আর সেই খোরাক তুলতে হবে ইঁদুরের গর্ত থেকেই। খুন্তি কোদাল, চালন, বস্তা নিয়ে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছুটছেন এ মাঠ থেকে ও-মাঠে। খুঁজে ফিরছেন ইঁদুরের গর্ত।
দরিদ্র আয়মনা বেওয়া বলেন, স্বামী নেই। ছেলেও আলাদা। নিজে কাজ করি, নিজে খাই। প্রতিদিন সকালে মানুষের বাড়িতে কাজে যাই। আর আমন ধানের মৌসুম এলে কাজ শেষ করে বিকেলে মাঠে গিয়ে ইঁদুরের গর্ত খুঁজি। গর্ত থেকে রাত পর্যন্ত ধান কুড়াতে থাকি। ইঁদুরের গর্ত থেকে কুড়ানো ধানে আমার বছরের অর্ধেক পার হয়ে যায়। এ ছাড়াও এ ধান দিয়েই শীতের পিঠাও খাওয়া হয়। আর বছরের বাকি অর্ধেক দিনমজুর কাজ করেই চলে একার সংসার।
ইঁদুরের গর্তে সাপ পোকা-মাকড়ের ভয় পায় কি-না জানতে চাইলে আয়মনা বেওয়া জানান, পেটের খিদেই সব ভয় উড়ে যায় তার।
দুর্গাপুর পৌর এলাকার শালঘরিয়া গ্রামের কৃষক রেন্টু মিয়া বলেন, ধান কাটার পর মাটিতে পড়া থাকা ধান অনেকেই সংগ্রহ করেন। ইঁদুরের গর্ত থেকেও সংগ্রহ করেন। এতে আমরা বাধা দিই না।
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা পারভীন লাবনী বলেন, খেতে এভাবে ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান সংগ্রহ করা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। তবুও অনেকে পেটের তাগিদে এ কাজ করে থাকেন।
লাবনী বলেন, ইঁদুরের গর্তে সাপ ও বিষাক্ত পোকামাকড় থাকতে পারে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সতর্ক ও নিরাপদ না থাকলে বিপদ হতে পারে।
স্বামী নেই। একমাত্র ছেলে রয়েছে, সে-ও থাকে আলাদা। নুন আনতে পান্তা ফুরায়। আয়-রোজগার বলতে দিনমজুরি ও ইঁদুরের গর্ত থেকে সংগ্রহ করা ধান। এই ধান বিক্রির টাকা দিয়ে চলে বছরের প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস।
আটান্ন বছর বয়সী আয়মনা বেওয়া রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌর এলাকার শালঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। প্রতি বছর আমন ধান কাটা শেষ হলেও নেমে পড়েন ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান কুড়াতে। সাপ-পোকামাকড়ের ভয় না পেয়েই ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান সংগ্রহ করেন।
উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে আমন ধান কাটছেন কৃষকেরা। কাটা ধান শুকানো হচ্ছে রোদে।
ধানসহ খড় শুকিয়ে গেলে জমি থেকে সেই ধান নেওয়া হচ্ছে ঘরে। আয়মনা বেওয়ার কাজ এখন শুরু, আর আয়মনার বসে থাকার সময় নেই। আগামী ছয় মাসের খোরাক গুছিয়ে তুলতে হবে ঘরে। আর সেই খোরাক তুলতে হবে ইঁদুরের গর্ত থেকেই। খুন্তি কোদাল, চালন, বস্তা নিয়ে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছুটছেন এ মাঠ থেকে ও-মাঠে। খুঁজে ফিরছেন ইঁদুরের গর্ত।
দরিদ্র আয়মনা বেওয়া বলেন, স্বামী নেই। ছেলেও আলাদা। নিজে কাজ করি, নিজে খাই। প্রতিদিন সকালে মানুষের বাড়িতে কাজে যাই। আর আমন ধানের মৌসুম এলে কাজ শেষ করে বিকেলে মাঠে গিয়ে ইঁদুরের গর্ত খুঁজি। গর্ত থেকে রাত পর্যন্ত ধান কুড়াতে থাকি। ইঁদুরের গর্ত থেকে কুড়ানো ধানে আমার বছরের অর্ধেক পার হয়ে যায়। এ ছাড়াও এ ধান দিয়েই শীতের পিঠাও খাওয়া হয়। আর বছরের বাকি অর্ধেক দিনমজুর কাজ করেই চলে একার সংসার।
ইঁদুরের গর্তে সাপ পোকা-মাকড়ের ভয় পায় কি-না জানতে চাইলে আয়মনা বেওয়া জানান, পেটের খিদেই সব ভয় উড়ে যায় তার।
দুর্গাপুর পৌর এলাকার শালঘরিয়া গ্রামের কৃষক রেন্টু মিয়া বলেন, ধান কাটার পর মাটিতে পড়া থাকা ধান অনেকেই সংগ্রহ করেন। ইঁদুরের গর্ত থেকেও সংগ্রহ করেন। এতে আমরা বাধা দিই না।
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা পারভীন লাবনী বলেন, খেতে এভাবে ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান সংগ্রহ করা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। তবুও অনেকে পেটের তাগিদে এ কাজ করে থাকেন।
লাবনী বলেন, ইঁদুরের গর্তে সাপ ও বিষাক্ত পোকামাকড় থাকতে পারে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সতর্ক ও নিরাপদ না থাকলে বিপদ হতে পারে।
হাওরের বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কাজের জন্য নীতিমালা অনুযায়ী জরিপ, গণশুনানি, প্রকল্প স্থান নির্ধারণ, প্রাক্কলন তৈরি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
৭ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুরের জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় রাত নামতেই শুরু হয় পদ্মা নদীর বালু লুটের মহোৎসব। প্রতিদিন প্রায় ৫০টি খননযন্ত্র (ড্রেজার) সক্রিয় থাকে ভোর পর্যন্ত। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে পদ্মা সেতু রক্ষা বাঁধসহ দুই উপজেলার ডান তীর রক্ষা বাঁধ। প্রশাসন বলছে, আটক-জরিমানা করেও অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের থামানো যাচ্ছে না।
৭ ঘণ্টা আগেবৃষ্টি দেখে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের আলুচাষিরা। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলায় ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়তে দেখা যায়। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরও বলছে, ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনার রয়েছে। কৃষকেরা বলছেন, ভারী বৃষ্টি হলে আলুর জমির অনেক ক্ষতি হবে। আলুখেতে অতিরিক্ত পান
৭ ঘণ্টা আগেমায়ের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিয়েছেন টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বড়চওনা গ্রামের প্রবাসী আয়নাল হক। বৃদ্ধ মাকে বিদেশে ঘুরিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বাড়ি এনেছেন তিনি। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাকে হেলিকপ্টারে নিয়ে উপজেলার বড়চওনা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগে