মো. মনিরুজ্জামান ফারুক, ভাঙ্গুড়া (পাবনা)
‘ও বউ ধান ভানে রে
ঢেঁকিতে পাড় দিয়া
ঢেঁকি নাচে বউ নাচে
হেলিয়া দুলিয়া ও বউ ধান ভানে রে......।’
এই গানের মধ্যে গ্রাম-বাংলায় ধান ভানার ঐতিহ্যবাহী অনুষঙ্গ ঢেঁকির সঙ্গে গ্রামীণ নারীর মিশে থাকার গভীরতা কিছুটা হলেও ফুটে উঠেছে। গম, চিড়া, হলুদ, মরিচ গুঁড়া করতে প্রাচীনকাল থেকেই ঢেঁকির ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে আধুনিক যন্ত্রের আগমনে গ্রাম-বাংলার এই ঐতিহ্য প্রায় বিলুপ্তির পথে। বেশির ভাগ এলাকায় ঢেঁকি দেখা যায় না বলে নতুন প্রজন্মের কাছে অনেকটা গল্পের উপাদান হয়ে গেছে।
ঢেঁকি মূলত পা-চালিত সরঞ্জাম। লম্বা একটি গাছকে মোটামুটি ১২ থেকে ১৫ ফুট লম্বা করে কেটে ঢেঁকি বানানো হয়। মাঝখানে ছিদ্র করে আরেকটি গোলাকার কাঠ ঢুকিয়ে দুপাশে দুই খাঁড়া কাঠে আটকে দেওয়া হয়। এর একপাশে পা দিয়ে চাপ দিতে হয়। অন্যপাশে একটি খুঁটির মতো অংশ থাকে। এই খুঁটি গর্তে থাকা শস্যদানার খোসা ছাড়ানো ও গুঁড়া করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
প্রবীণেরা বলছেন, পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার গ্রামাঞ্চলের মানুষ ধান ভানার জন্য একসময় ঢেঁকির ওপর নির্ভরশীল ছিল। তখন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ঢেঁকি ছিল। ঢেঁকির জন্য থাকত আলাদা ঢেঁকিঘর। গ্রামের বধূরা ভোররাত থেকেই ধান ভানা শুরু করত। ঢেঁকির ঢাঁকুর-ঢেঁকুর শব্দে বাড়ির অন্য সবার ঘুম ভাঙত। নারীরা ঢেঁকিতে পাড় দিত আর ধান ভানত। ঢেঁকিতে কে কত পাড় দিতে পারে, সেই প্রতিযোগিতাও চলত। গ্রামীণ বধূদের আলতারাঙা পায়ের স্পর্শে ঢেঁকিও যেন নেচে-গেয়ে উঠত!
প্রতিবছর নবান্ন উৎসবে গ্রামগুলোতে ঢেঁকিতে পাড় দিয়ে চাল গুঁড়ো করা উৎসবে রূপ নিত। ঢেঁকিতে ভানা আটা দিয়ে ভাপা, পাটিসাপটাসহ নানা ধরনের পিঠা-পুলি তৈরি করা হতো। তবে, ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রায় গ্রামে এখনো কিছু ঢেঁকির দেখা মিললেও এর ব্যবহার কমে গেছে। মানুষ এখন কষ্ট করে ঢেঁকিতে পাড় দিয়ে ধান, গম ভানে না। ঢেঁকির বদলে রাইস মিল থেকে ভানিয়ে নিয়ে আসে। তবে এখনো কিছু মানুষ আছে, যারা ঢেঁকিতে আটা ভানিয়ে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুস্থির কুমার সরকার বলেন, ঢেঁকিতে ছাঁটাই করা চালের ভাত খেতে খুব সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর হলেও ঢেঁকির ব্যবহার কমে যাওয়ায় মানুষ এখন আর ঢেঁকিতে ধান ভানে না।
সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক সোহায়েল সাচ্চু বলেন, গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য ঢেঁকির আর তেমন দেখা মেলে না। তবে তাঁদের বাড়িতে এখনো একটি ঢেঁকি আছে। গৃহস্থসহ পাড়া-প্রতিবেশীরা পিঠা তৈরির জন্য সিদ্ধ চাল এই ঢেঁকিতে ভানিয়ে নিয়ে যান।
এক গৃহবধূ সাদিয়া আফরিন বলেন, এখন আর কেউই ঢেঁকি দিয়ে ভাতের চাল ভানে না। শুধু পিঠা তৈরির জন্য সিদ্ধ চাল ভানানো হয় ঢেঁকিতে।
‘ও বউ ধান ভানে রে
ঢেঁকিতে পাড় দিয়া
ঢেঁকি নাচে বউ নাচে
হেলিয়া দুলিয়া ও বউ ধান ভানে রে......।’
এই গানের মধ্যে গ্রাম-বাংলায় ধান ভানার ঐতিহ্যবাহী অনুষঙ্গ ঢেঁকির সঙ্গে গ্রামীণ নারীর মিশে থাকার গভীরতা কিছুটা হলেও ফুটে উঠেছে। গম, চিড়া, হলুদ, মরিচ গুঁড়া করতে প্রাচীনকাল থেকেই ঢেঁকির ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে আধুনিক যন্ত্রের আগমনে গ্রাম-বাংলার এই ঐতিহ্য প্রায় বিলুপ্তির পথে। বেশির ভাগ এলাকায় ঢেঁকি দেখা যায় না বলে নতুন প্রজন্মের কাছে অনেকটা গল্পের উপাদান হয়ে গেছে।
ঢেঁকি মূলত পা-চালিত সরঞ্জাম। লম্বা একটি গাছকে মোটামুটি ১২ থেকে ১৫ ফুট লম্বা করে কেটে ঢেঁকি বানানো হয়। মাঝখানে ছিদ্র করে আরেকটি গোলাকার কাঠ ঢুকিয়ে দুপাশে দুই খাঁড়া কাঠে আটকে দেওয়া হয়। এর একপাশে পা দিয়ে চাপ দিতে হয়। অন্যপাশে একটি খুঁটির মতো অংশ থাকে। এই খুঁটি গর্তে থাকা শস্যদানার খোসা ছাড়ানো ও গুঁড়া করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
প্রবীণেরা বলছেন, পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার গ্রামাঞ্চলের মানুষ ধান ভানার জন্য একসময় ঢেঁকির ওপর নির্ভরশীল ছিল। তখন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ঢেঁকি ছিল। ঢেঁকির জন্য থাকত আলাদা ঢেঁকিঘর। গ্রামের বধূরা ভোররাত থেকেই ধান ভানা শুরু করত। ঢেঁকির ঢাঁকুর-ঢেঁকুর শব্দে বাড়ির অন্য সবার ঘুম ভাঙত। নারীরা ঢেঁকিতে পাড় দিত আর ধান ভানত। ঢেঁকিতে কে কত পাড় দিতে পারে, সেই প্রতিযোগিতাও চলত। গ্রামীণ বধূদের আলতারাঙা পায়ের স্পর্শে ঢেঁকিও যেন নেচে-গেয়ে উঠত!
প্রতিবছর নবান্ন উৎসবে গ্রামগুলোতে ঢেঁকিতে পাড় দিয়ে চাল গুঁড়ো করা উৎসবে রূপ নিত। ঢেঁকিতে ভানা আটা দিয়ে ভাপা, পাটিসাপটাসহ নানা ধরনের পিঠা-পুলি তৈরি করা হতো। তবে, ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রায় গ্রামে এখনো কিছু ঢেঁকির দেখা মিললেও এর ব্যবহার কমে গেছে। মানুষ এখন কষ্ট করে ঢেঁকিতে পাড় দিয়ে ধান, গম ভানে না। ঢেঁকির বদলে রাইস মিল থেকে ভানিয়ে নিয়ে আসে। তবে এখনো কিছু মানুষ আছে, যারা ঢেঁকিতে আটা ভানিয়ে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুস্থির কুমার সরকার বলেন, ঢেঁকিতে ছাঁটাই করা চালের ভাত খেতে খুব সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর হলেও ঢেঁকির ব্যবহার কমে যাওয়ায় মানুষ এখন আর ঢেঁকিতে ধান ভানে না।
সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক সোহায়েল সাচ্চু বলেন, গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য ঢেঁকির আর তেমন দেখা মেলে না। তবে তাঁদের বাড়িতে এখনো একটি ঢেঁকি আছে। গৃহস্থসহ পাড়া-প্রতিবেশীরা পিঠা তৈরির জন্য সিদ্ধ চাল এই ঢেঁকিতে ভানিয়ে নিয়ে যান।
এক গৃহবধূ সাদিয়া আফরিন বলেন, এখন আর কেউই ঢেঁকি দিয়ে ভাতের চাল ভানে না। শুধু পিঠা তৈরির জন্য সিদ্ধ চাল ভানানো হয় ঢেঁকিতে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহকারী প্রক্টর ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল হককে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে...
২১ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) পিকনিকের দোতলা বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং তাঁর জীবন নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যে ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’। নিয়োগ দেওয়া হয় ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর উদ্দিন খান মামুনকে (মুনতাসীর মামুন)।
১ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারে মাকে কুপিয়ে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন ছেলে হোসাইন মোহাম্মদ আবিদ (২৮)। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বড়ুয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নেশার টাকা না পেয়ে মাকে আবিদ হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত আনোয়ারা বেগম মেরী (৫৫) ওই এলাকার নিয়াজ আহমেদের স্ত্রী
১ ঘণ্টা আগে