নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জানে আলমের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে সালাহউদ্দিন বিশ্বাস নামের একজন আইনজীবী বাদী হয়ে রাজশাহীর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ও জ্যেষ্ঠ দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন। আইনজীবী সালাহউদ্দিন বিশ্বাসের বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলায়।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আইনজীবী সালাহউদ্দিন বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনস্বার্থে তিনি এই মামলা করেছেন। তাঁর পক্ষে আইনজীবী রায়হান কবীর মামলা ফাইলিং করেছেন। আদালতের বিচারক আবদুর রহিম মামলাটি দুদককে তদন্ত করতে দিয়েছেন।
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি আইনজীবী সালাহউদ্দিন বিশ্বাস ইউএনও জানে আলমের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। একটি খাস পুকুর ভরাটের অভিযোগে পরিবেশ আইনে তিনি মামলাটি করেন। আদালত ওই মামলাটি পরিবেশ অধিদপ্তরকে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নতুন মামলার আরজিতে সালাহউদ্দিন বিশ্বাস অভিযোগ করেন, গত দুই বছরে ইউএনও জানে আলম ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে পাঁচ কোটি টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেছেন। অবৈধ টাকায় তিনি গ্রামে বিলাসবহুল বাড়ি করেছেন। জায়গা-জমি কিনেছেন। গরুর খামার করেছেন। তিনি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি নির্মাণে দুর্নীতি করেছেন। বাড়ি নির্মাণে বিভিন্ন ইটভাটা থেকে ইট ও বালুমহাল থেকে বিনা মূল্যে জোরপূর্বক বালু নেওয়া হয়েছে। আর সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। বাড়ি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে অতি নিম্নমানের সামগ্রী। আশ্রয়ণ প্রকল্পের সব ঘর নির্মাণ সম্পন্ন না হলেও তিনি সরকারিভাবে প্রকল্পের অগ্রগতি শতভাগ দেখিয়েছেন।
আরজিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের বিল-ভাউচার স্বাক্ষর করার জন্য ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেন ইউএনও। টিআর-কাবিখার উন্নয়নমূলক কাজে ১০ শতাংশ কমিশন গ্রহণ করেন। এডিপির টাকায় ভাগ-বাঁটোয়ারায় অংশ নিয়ে কমিশন নেন। এ ছাড়া আদিবাসীদের জমি কেড়ে নিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হলেও আদিবাসীদের ঘর দেওয়া হচ্ছে না। বরং ইউএনও টাকার বিনিময়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর দিয়েছেন। যার ফলে অনেক আদিবাসী টাকা না দিতে পারায় তাঁরা ঘর পাননি। তিনি পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ না পেয়ে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে বাধা দিয়েছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ইউএনও ঘুষের টাকা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে গত ৫ জানুয়ারি সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসানকে দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে খননকাজে ব্যবহৃত গাড়ির ইঞ্জিনের অধিকাংশ যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে তাতে বালু ঢুকিয়ে অকেজো করে দেওয়া হয়। শেষে গাড়ির হেলপার আল মারুফকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে ১৫ দিনের জেল এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মামলায় বলা হয়, ইউএনও অনুমতি ছাড়াই সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে গ্রামের বাড়ি যাতায়াত করেন। তিনি উপজেলা চত্বরের আমবাগানের আম টেন্ডার ছাড়াই আত্মসাৎ করেন। একইভাবে বিভিন্ন গাছ নামমাত্র দামে বিক্রি করেন। তিনি হাইকোর্টের আদেশ উপেক্ষা করে উপজেলার পাকড়ি এলাকায় হাজি মানিক উল্লাহ ওয়াকফ স্টেট সম্পত্তিতে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণে করেছেন।
একইভাবে ৮৮টি খাস পুকুর ইজারায়ও দুর্নীতি করে তিনি অবৈধ অর্থ আয় করেন। এ ছাড়া নানা সময়ে সাধারণ জনগণের সঙ্গে তিনি অমানবিক আচরণ করেন। সাধারণ লোককে মারধর, চর-থাপ্পড় এমনকি গবাদিপশুকে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনেরও অপব্যবহারও করেছেন ইউএনও।
মামলার আরজিতে আরও বলা হয়, ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলে সাজার সঙ্গে ১০ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে জরিমানা করেন। কিন্তু ধারা মোতাবেক ভ্রাম্যমাণ আদালত সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড দিতে পারেন। এসব কারণে মামলার বাদী ইউএনওর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নালিশ করেছিলেন। এর জেরে গত ১২ জানুয়ারি রাতে বাদীর প্রাইভেট কারচালক সাইফুল ইসলাম দুরুলকে ইউএনও অন্যায়ভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এনজিও ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে নানা কারণ দেখিয়ে নানাভাবে চাঁদা গ্রহণ করেন ইউএনও। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি নিয়োগে দুর্নীতি করেন। তাঁর ভয়ে কেউ অন্যায়ের প্রতিবাদ করিতে পারেন না। প্রতিবাদ করতে গেলে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার হুমকি দেন। এসব কারণে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ গ্রহণ করেনি। তাই আদালতে মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানে আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। শুধু বলব সব ভিত্তিহীন।’
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জানে আলমের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে সালাহউদ্দিন বিশ্বাস নামের একজন আইনজীবী বাদী হয়ে রাজশাহীর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ও জ্যেষ্ঠ দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন। আইনজীবী সালাহউদ্দিন বিশ্বাসের বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলায়।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আইনজীবী সালাহউদ্দিন বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনস্বার্থে তিনি এই মামলা করেছেন। তাঁর পক্ষে আইনজীবী রায়হান কবীর মামলা ফাইলিং করেছেন। আদালতের বিচারক আবদুর রহিম মামলাটি দুদককে তদন্ত করতে দিয়েছেন।
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি আইনজীবী সালাহউদ্দিন বিশ্বাস ইউএনও জানে আলমের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। একটি খাস পুকুর ভরাটের অভিযোগে পরিবেশ আইনে তিনি মামলাটি করেন। আদালত ওই মামলাটি পরিবেশ অধিদপ্তরকে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নতুন মামলার আরজিতে সালাহউদ্দিন বিশ্বাস অভিযোগ করেন, গত দুই বছরে ইউএনও জানে আলম ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে পাঁচ কোটি টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেছেন। অবৈধ টাকায় তিনি গ্রামে বিলাসবহুল বাড়ি করেছেন। জায়গা-জমি কিনেছেন। গরুর খামার করেছেন। তিনি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি নির্মাণে দুর্নীতি করেছেন। বাড়ি নির্মাণে বিভিন্ন ইটভাটা থেকে ইট ও বালুমহাল থেকে বিনা মূল্যে জোরপূর্বক বালু নেওয়া হয়েছে। আর সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। বাড়ি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে অতি নিম্নমানের সামগ্রী। আশ্রয়ণ প্রকল্পের সব ঘর নির্মাণ সম্পন্ন না হলেও তিনি সরকারিভাবে প্রকল্পের অগ্রগতি শতভাগ দেখিয়েছেন।
আরজিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের বিল-ভাউচার স্বাক্ষর করার জন্য ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেন ইউএনও। টিআর-কাবিখার উন্নয়নমূলক কাজে ১০ শতাংশ কমিশন গ্রহণ করেন। এডিপির টাকায় ভাগ-বাঁটোয়ারায় অংশ নিয়ে কমিশন নেন। এ ছাড়া আদিবাসীদের জমি কেড়ে নিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হলেও আদিবাসীদের ঘর দেওয়া হচ্ছে না। বরং ইউএনও টাকার বিনিময়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর দিয়েছেন। যার ফলে অনেক আদিবাসী টাকা না দিতে পারায় তাঁরা ঘর পাননি। তিনি পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ না পেয়ে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে বাধা দিয়েছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ইউএনও ঘুষের টাকা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে গত ৫ জানুয়ারি সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসানকে দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে খননকাজে ব্যবহৃত গাড়ির ইঞ্জিনের অধিকাংশ যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে তাতে বালু ঢুকিয়ে অকেজো করে দেওয়া হয়। শেষে গাড়ির হেলপার আল মারুফকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে ১৫ দিনের জেল এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মামলায় বলা হয়, ইউএনও অনুমতি ছাড়াই সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে গ্রামের বাড়ি যাতায়াত করেন। তিনি উপজেলা চত্বরের আমবাগানের আম টেন্ডার ছাড়াই আত্মসাৎ করেন। একইভাবে বিভিন্ন গাছ নামমাত্র দামে বিক্রি করেন। তিনি হাইকোর্টের আদেশ উপেক্ষা করে উপজেলার পাকড়ি এলাকায় হাজি মানিক উল্লাহ ওয়াকফ স্টেট সম্পত্তিতে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণে করেছেন।
একইভাবে ৮৮টি খাস পুকুর ইজারায়ও দুর্নীতি করে তিনি অবৈধ অর্থ আয় করেন। এ ছাড়া নানা সময়ে সাধারণ জনগণের সঙ্গে তিনি অমানবিক আচরণ করেন। সাধারণ লোককে মারধর, চর-থাপ্পড় এমনকি গবাদিপশুকে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনেরও অপব্যবহারও করেছেন ইউএনও।
মামলার আরজিতে আরও বলা হয়, ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলে সাজার সঙ্গে ১০ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে জরিমানা করেন। কিন্তু ধারা মোতাবেক ভ্রাম্যমাণ আদালত সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড দিতে পারেন। এসব কারণে মামলার বাদী ইউএনওর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নালিশ করেছিলেন। এর জেরে গত ১২ জানুয়ারি রাতে বাদীর প্রাইভেট কারচালক সাইফুল ইসলাম দুরুলকে ইউএনও অন্যায়ভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এনজিও ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে নানা কারণ দেখিয়ে নানাভাবে চাঁদা গ্রহণ করেন ইউএনও। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি নিয়োগে দুর্নীতি করেন। তাঁর ভয়ে কেউ অন্যায়ের প্রতিবাদ করিতে পারেন না। প্রতিবাদ করতে গেলে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার হুমকি দেন। এসব কারণে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ গ্রহণ করেনি। তাই আদালতে মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানে আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। শুধু বলব সব ভিত্তিহীন।’
ঝিনাইদহ সদরের নতুন বাড়ি এলাকায় দুই ট্রাকের সংঘর্ষে আল আমিন (২৫) নামের এক ট্রাকচালকের নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরও ৩ জন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাজেদুল লস্কর (৩২) নামের এক ব্যক্তির লাঠির আঘাতে তার চাচাতো ভাই আপেল লস্করের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি লস্কর পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সাজেদুল লস্করকে আটক করেছে পুলিশ। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আউয়াল কবির বিষয়টি নিশ
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখাইজুড়ি নদী একসময় প্রবহমান ছিল। এতে এলাকার মানুষ গোসল দিত, মাছ ধরত ও হাঁস পালন করত। সেই নদী দখল করে বাঁশ ও জালের বেড়া দিয়ে ছোট ছোট ঘের তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ এলাকার একটি রেস্তোরাঁর কর্মী তোফাজ্জল হোসেন। অর্থের অভাবে লেখাপড়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাঁর। ১৩ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন রেস্তোরাঁয়।
১ ঘণ্টা আগে