নওগাঁ প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় নিখোঁজ হন ফায়ার ফাইটার রবিউল ইসলাম রবি (২৭)। তাঁর সন্ধানে আজ সোমবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে যান তাঁর বাবা খাদেমুল ইসলাম। রবির পরিবার বলছে, সেখানে গিয়ে খাদেমুল ইসলাম জানতে পেরেছেন তাঁর নিখোঁজ ছেলে মারা গেছেন।
এদিকে, খবর পেয়ে হাসপাতালে একজনের মরদেহের পিঠের দাগ দেখে ছেলের মরদেহ হিসেবে ধারণা করেছেন রবির বাবা খাদেমুল ইসলাম ও ছোট ভাই রনি। তবে সেই শরীরের ৭০ ভাগ অংশই ঝলসানো এবং মুখ দেখে নিশ্চিত হতে পারেননি তাঁরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানিয়েছে, মরদেহটি রবিউলের কি না, তা নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। তারপরই পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
ফায়ার ফাইটার রবিউল ইসলাম রবি নওগাঁ শহরের চক পাথুরিয়া পূর্বপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। দেড় বছর আগে ফায়ার সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। প্রশিক্ষণ শেষে কর্মস্থল সীতাকুণ্ডে যোগ দেন। গত ঈদে ছুটি নিয়ে বাড়ি গিয়েছিলেন। ছুটি শেষে আবারও কর্মস্থলে ফিরে যান। সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ছিলেন তিনিও।
আজ সোমবার সকালে ফায়ার সার্ভিস কর্মী রবিউল ইসলামের বাড়িতে সরেজমিনে দেখা যায়, তাঁর পরিবারে মাতম চলছে। পরিবারের সদস্যদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে আকাশ-বাতাস। এ ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা যেন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। পরিবারের সদস্যরা রবিকে ফিরে পাওয়ার আশায় পথ চেয়ে আছেন। জীবিত হোক বা মৃত রবি আবার বাড়িতে ফিরবেন সেই আশায় আত্মীয়স্বজনেরা তাঁর বাড়িতে ভিড় করছেন। রবির মা একটু পর পর জ্ঞান হারাচ্ছেন। জ্ঞান ফিরে আসার পর আবার শুরু করেন গগনবিদারী আর্তনাদ।
কান্না জড়ানো কণ্ঠে রবিউলের মা ফাইমা বেগম বলছেন, ‘রবির মুখ থেকে আর মা ডাক শুনতে পাব কি না, জানি না, আমার ছেলে বোধ হয় আমাকে আর কোনো দিনও মা বলে ডাকবে না। ছেলের মুখটা আমার আর দেখা হলো না।’
কাঁদতে কাঁদতে মূর্ছা যাচ্ছেন বারবার। তাঁকে সুস্থ করার কাজে ব্যস্ত বাড়ির অন্য স্বজনেরা। ছোট বোন রিমঝিমও একাধারে কেঁদেই চলেছেন। এ দৃশ্য দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না প্রতিবেশীরাও।
রবিউলের ছোট ভাই রনি হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘ভাইয়ের খোঁজে বাবার সাথে আমিও ঢাকায় এসেছি। গতকাল প্রথমে সীতাকুণ্ডে ফায়ার স্টেশনে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে জানানো হয়েছে গুরুতর আহত কয়েকজনকে ঢাকাতে রেফার্ড করা হয়েছে। তারপর রাতে সীতাকুণ্ড থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে জানতে পারি একজন ফায়ার সার্ভিস কর্মী মারা গেছেন। তারপর মরদেহের মুখ দেখে চিনতে না পারলেও পিঠের একটি কালো দাগ দেখে আমরা শনাক্ত করি এইটা আমার ভাই রবিউল।’
রনি আরও বলেন, ‘মরদেহ শনাক্ত করার পর বাবা সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা মরদেহ শনাক্ত করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে ডিএনএ পরীক্ষার পর মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’
ফায়ারম্যান রবিউলের চাচা খলিলুর রহমান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা তাঁর সন্ধান নিশ্চিত করতে পারিনি। তবে আমার ভাই খাদেমুল ইসলাম ঢাকার বার্ন ইনস্টিটিউটে গিয়েছে সেখানে পিঠের একটি দাগ দেখে শনাক্ত করেছে যে এটাই আমাদের রবিউল। এখন ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে তারপরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মরদেহ হস্তান্তর করবে। সরকার যেন এ ব্যাপারে আমাদের সাহায্য করে এই কামনা করছি।’
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ নূরে আলম দুলাল বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের সময় রবিউল নিখোঁজ হয়। তারপর থেকে রবিউলকে শনাক্ত করতে পারিনি। এখন রবিউলের বাবা যে মরদেহ দেখে বলছে মরদেহটি রবিউলের, সে ক্ষেত্রে ডিএনএ পরীক্ষা করার পর জানা যাবে মরদেহটি আসলে কার! তবে আমাদের তথ্য অনুযায়ী রবিউল নিখোঁজ রয়েছে।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় নিখোঁজ হন ফায়ার ফাইটার রবিউল ইসলাম রবি (২৭)। তাঁর সন্ধানে আজ সোমবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে যান তাঁর বাবা খাদেমুল ইসলাম। রবির পরিবার বলছে, সেখানে গিয়ে খাদেমুল ইসলাম জানতে পেরেছেন তাঁর নিখোঁজ ছেলে মারা গেছেন।
এদিকে, খবর পেয়ে হাসপাতালে একজনের মরদেহের পিঠের দাগ দেখে ছেলের মরদেহ হিসেবে ধারণা করেছেন রবির বাবা খাদেমুল ইসলাম ও ছোট ভাই রনি। তবে সেই শরীরের ৭০ ভাগ অংশই ঝলসানো এবং মুখ দেখে নিশ্চিত হতে পারেননি তাঁরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানিয়েছে, মরদেহটি রবিউলের কি না, তা নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। তারপরই পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
ফায়ার ফাইটার রবিউল ইসলাম রবি নওগাঁ শহরের চক পাথুরিয়া পূর্বপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। দেড় বছর আগে ফায়ার সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। প্রশিক্ষণ শেষে কর্মস্থল সীতাকুণ্ডে যোগ দেন। গত ঈদে ছুটি নিয়ে বাড়ি গিয়েছিলেন। ছুটি শেষে আবারও কর্মস্থলে ফিরে যান। সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ছিলেন তিনিও।
আজ সোমবার সকালে ফায়ার সার্ভিস কর্মী রবিউল ইসলামের বাড়িতে সরেজমিনে দেখা যায়, তাঁর পরিবারে মাতম চলছে। পরিবারের সদস্যদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে আকাশ-বাতাস। এ ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা যেন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। পরিবারের সদস্যরা রবিকে ফিরে পাওয়ার আশায় পথ চেয়ে আছেন। জীবিত হোক বা মৃত রবি আবার বাড়িতে ফিরবেন সেই আশায় আত্মীয়স্বজনেরা তাঁর বাড়িতে ভিড় করছেন। রবির মা একটু পর পর জ্ঞান হারাচ্ছেন। জ্ঞান ফিরে আসার পর আবার শুরু করেন গগনবিদারী আর্তনাদ।
কান্না জড়ানো কণ্ঠে রবিউলের মা ফাইমা বেগম বলছেন, ‘রবির মুখ থেকে আর মা ডাক শুনতে পাব কি না, জানি না, আমার ছেলে বোধ হয় আমাকে আর কোনো দিনও মা বলে ডাকবে না। ছেলের মুখটা আমার আর দেখা হলো না।’
কাঁদতে কাঁদতে মূর্ছা যাচ্ছেন বারবার। তাঁকে সুস্থ করার কাজে ব্যস্ত বাড়ির অন্য স্বজনেরা। ছোট বোন রিমঝিমও একাধারে কেঁদেই চলেছেন। এ দৃশ্য দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না প্রতিবেশীরাও।
রবিউলের ছোট ভাই রনি হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘ভাইয়ের খোঁজে বাবার সাথে আমিও ঢাকায় এসেছি। গতকাল প্রথমে সীতাকুণ্ডে ফায়ার স্টেশনে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে জানানো হয়েছে গুরুতর আহত কয়েকজনকে ঢাকাতে রেফার্ড করা হয়েছে। তারপর রাতে সীতাকুণ্ড থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে জানতে পারি একজন ফায়ার সার্ভিস কর্মী মারা গেছেন। তারপর মরদেহের মুখ দেখে চিনতে না পারলেও পিঠের একটি কালো দাগ দেখে আমরা শনাক্ত করি এইটা আমার ভাই রবিউল।’
রনি আরও বলেন, ‘মরদেহ শনাক্ত করার পর বাবা সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা মরদেহ শনাক্ত করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে ডিএনএ পরীক্ষার পর মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’
ফায়ারম্যান রবিউলের চাচা খলিলুর রহমান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা তাঁর সন্ধান নিশ্চিত করতে পারিনি। তবে আমার ভাই খাদেমুল ইসলাম ঢাকার বার্ন ইনস্টিটিউটে গিয়েছে সেখানে পিঠের একটি দাগ দেখে শনাক্ত করেছে যে এটাই আমাদের রবিউল। এখন ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে তারপরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মরদেহ হস্তান্তর করবে। সরকার যেন এ ব্যাপারে আমাদের সাহায্য করে এই কামনা করছি।’
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ নূরে আলম দুলাল বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের সময় রবিউল নিখোঁজ হয়। তারপর থেকে রবিউলকে শনাক্ত করতে পারিনি। এখন রবিউলের বাবা যে মরদেহ দেখে বলছে মরদেহটি রবিউলের, সে ক্ষেত্রে ডিএনএ পরীক্ষা করার পর জানা যাবে মরদেহটি আসলে কার! তবে আমাদের তথ্য অনুযায়ী রবিউল নিখোঁজ রয়েছে।’
ঝিনাইদহ সদরের নতুন বাড়ি এলাকায় দুই ট্রাকের সংঘর্ষে আল আমিন (২৫) নামের এক ট্রাকচালকের নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরও ৩ জন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১০ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাজেদুল লস্কর (৩২) নামের এক ব্যক্তির লাঠির আঘাতে তার চাচাতো ভাই আপেল লস্করের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি লস্কর পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সাজেদুল লস্করকে আটক করেছে পুলিশ। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আউয়াল কবির বিষয়টি নিশ
৩২ মিনিট আগেময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখাইজুড়ি নদী একসময় প্রবহমান ছিল। এতে এলাকার মানুষ গোসল দিত, মাছ ধরত ও হাঁস পালন করত। সেই নদী দখল করে বাঁশ ও জালের বেড়া দিয়ে ছোট ছোট ঘের তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
৩৭ মিনিট আগেকুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ এলাকার একটি রেস্তোরাঁর কর্মী তোফাজ্জল হোসেন। অর্থের অভাবে লেখাপড়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাঁর। ১৩ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন রেস্তোরাঁয়।
৪০ মিনিট আগে