Ajker Patrika

বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের অনুষ্ঠানে হট্টগোল, এক নেতা ছুরিকাহত

বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের অনুষ্ঠানে হট্টগোল, এক নেতা ছুরিকাহত

বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। মারধর করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকেও। 

আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের নবাববাড়ি রোডে অবস্থিত জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ছুরিকাহত যুবদল নেতা মেফতা আল রশিদ মিল্টন শহর যুবদলের সদস্য। তিনি শহরের কাটনারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয়ভাবে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। 

মারধরের শিকার রবিউল ইসলাম শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। 

জানা গেছে, স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‍্যালি ও সমাবেশের আয়োজন করে সংগঠনটির জেলা শাখা। এ কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবক দলসহ যুবদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

বিকেলে র‍্যালি শেষে সমাবেশ চলছিল। এ সময় সমাপনী বক্তব্য দিচ্ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েল। তাঁর বক্তব্যকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় হট্টগোল। মাজেদুরের বক্তব্যের একপর্যায়ে সমাবেশ থেকে একজন বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে বলেন তাঁকে। এ সময় মাজেদুর রহমান জুয়েল বলে ওঠেন, পেছন থেকে তাঁকে কনুই দিয়ে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। তখনই শুরু হয় হট্টগোল। এরপরই যুবদল নেতা মেফতা আল রশিদ মিল্টন ছুরিকাঘাতের শিকার হন। একই সঙ্গে মারধরের শিকার হন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রবিউল। 

ছুরিকাহত মেফতা আল রশিদ মিল্টন বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাজেদুর রহমানের বক্তব্য চলাকালীন হঠাৎ করেই হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। ওই সময় মাজেদুর রহমান জুয়েলের সমর্থিত নেতাকর্মী যুবদলের এক কর্মীকে মারধর করছিলেন। তাঁদের বাধা দিতে গেলে আমাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।’ 

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক দল আহ্বায়ক জুয়েল বক্তব্য দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে তিনি (জুয়েল) বলে ওঠেন, তাঁকে কেউ ধাক্কা দিয়েছে। এরপরই সমাবেশে হট্টগোল শুরু হয়। এ সময় যুবদল নেতা মিল্টনের পায়ে ছুরিকাঘাত করা হয়।’ দু’পক্ষের হট্টগোল থামাতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে জানান তিনি। 

এ ব্যাপারে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েল বলেন, অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় কোনো কারণ ছাড়াই জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সরকার মুকুল কনুই দিয়ে তাঁর পাঁজরে গুঁতো দেন। পরবর্তীতে তিনি সরকার মুকুলের কাছে তাঁকে গুঁতো দেওয়ার কারণ জানতে চান। এরপরই হট্টগোল শুরু হয় এবং তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। 

সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় শুরু হয় হট্টগোল, সেখানে ছুরিকাহত হন এক নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকাঅপরদিকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সরকার মুকুল অভিযোগ করে বলেন, ‘পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক সমাবেশে হট্টগোল সৃষ্টি করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জুয়েল। এ কোন্দল নতুন নয়, দীর্ঘ দিন ধরেই চলে আসছে। জুয়েলের লোকজন অস্ত্র নিয়ে অনুষ্ঠানে এসেছিলেন।’ 

তিনি আরও বলেন, জুয়েলকে তিনি ধাক্কা দেননি। হট্টগোল সৃষ্টি করার লক্ষ্যে উদ্দেশ্যমূলকভাবে জুয়েল বক্তব্যে ওই কথা বলেন। দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জুয়েল এসব করছেন। 

জানতে চাইলে বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) শাহিনুজ্জামান বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একজন ছুরিকাহত হয়েছেন। তবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত