বগুড়া (শেরপুর) প্রতিনিধি
ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। বিনা মূল্যে বাড়ি পেয়ে অনেকের দিন ফিরেছে। কিন্তু ভিন্ন কথা জানালেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের তাতড়া গ্রামের বানপুকুর আশ্রয়ণের বাসিন্দারা। সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়েই তারা এখন নিঃস্ব। বিনা মূল্যের ঘর বাড়িয়েছে তাদের ঋণের বোঝা।
জানা গেছে, শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের তাতড়া গ্রামের সরকারি সম্পত্তি বানপুকুর। আর এই পুকুর পাড়েই অনেক দিন ধরে বাস করে আসছেন ১৩টি ভূমিহীন পরিবার। সম্প্রতি সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে ২৬ পরিবারের জন্য বিনা মূল্যের ঘর। প্রতিটি ঘরের জন্য সরকারি বরাদ্দ ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে ঘরের বালি ভরাটের জন্য টাকা খরচ করতে হয়েছে বরাদ্দপ্রাপ্তদের। এ জন্য কেউ বিক্রি করেছেন গরু-ছাগল, কেউবা ঘরের টিন। আবার অনেকেই এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে টানছেন কিস্তির বোঝা। টয়লেট বসানোর জন্যও অর্থ ব্যয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের। এর ওপর ঘরগুলোতে নেই বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের ব্যবস্থা। এভাবেই গলার কাঁটা হয়েছে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর।
শারীরিক প্রতিবন্ধী ভূমিহীন আমির হোসেন মণ্ডল (৫৫) স্ত্রীকে নিয়ে লক্ষ্মীকোলা গ্রামের এক ব্যক্তির পুকুর পাড়ে টিনের ঘরে বাস করতেন। তার নামে বরাদ্দ হয়েছে বান পুকুরের আশ্রয়ণের ঘর। তিনি বলেন, ‘এক দিন ইউএনও স্যার এসে বললেন ঘর পেতে হলে নিজের টাকায় ঘরের বালি ভরাট করতে হবে। কোনো উপায় না দেখে ২৫ হাজার টাকায় পুরোনো ঘরের টিন বিক্রি করেছি। এরপর পলিথিন দিয়ে ঝুপড়ি করে বসবাস করেছি। পরে লোকজন কষ্ট দেখে কাজ শেষ হওয়ার আগেই আমাকে সরকারি ঘরে তুলে দেয়।’
এখানকার বাসিন্দা বিধবা হালিমা খাতুন (৫৫) বলেন, মিস্ত্রিরা ঘরের দেয়াল তুলে তাদের চাপ দেয় ভেতরের ফাঁকা জায়গা বালি দিয়ে পূরণ করার জন্য। তা না হলে বরাদ্দ বাতিল করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। বাধ্য হয়েই সবাই ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করেছেন। এ জন্য তিনি এনজিও থেকে ঋণ করেছেন ২০ হাজর টাকা। এখন খেয়ে না খেয়ে সপ্তাহে ৬০০ টাকা কিস্তি দিচ্ছেন। তার মতো সকলেই ঋণ করে বা গবাদি-পশু, বিক্রি করেছেন বলে তিনি জানান।
এরপরেও সমস্যার অন্তত নেই তাদের। প্রায় তিন মাস আগে ঘর বুঝে দেওয়া হলেও নেই বিদ্যুতের ব্যবস্থা। ২৬টি পরিবারের জন্য টিউবওয়েল বসানো হয়েছে মাত্র ৩ টি। যদিও নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ৫টি ঘরের জন্য ১টি করে বরাদ্দ আছে। এখন পর্যন্ত কোনো বাড়িতে টয়লেট সুবিধা নেই। টয়লেটের রিং বসানোর জন্য সুবিধা ভোগীদের নিজ খরচে গর্ত খোঁড়ার চাপ দেওয়া হচ্ছে।
মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, তাদের এখানে কোনো টয়লেট নেই। কিছুদিন আগে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সবাইকে নিজ খরচে টয়লেটের জন্য গর্ত খুঁড়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ জন্য তাদের সবাইকে কমপক্ষে আরও ২ হাজার টাকা করে ব্যয় করতে হবে। এমনিতেই ঘরের বালি পূরণ করতে তারা ঋণগ্রস্ত হয়েছেন। আবারও নতুন করে ঋণ করতে হবে বলে তিনি জানান।
ঘরগুলো নির্মাণের ক্ষেত্রেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে তারা জানান। ঘরে ওঠার আগেই দেয়াল ও মেঝের পলেস্তারা উঠে গেছে। পরে সেগুলো মেরামত করা হলেও নতুন করে মেঝে ও দেওয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। এ ছাড়া ঘরের চাল ও বারন্দার টিন প্রয়োজনের তুলনায় ছোট। এ জন্য সামন্য বৃষ্টি হলেই ঘরে পানি ঢুকে বিছানা ভিজে যায়।
তোজাম্মেল হোসেন (৫৮) বলেন, ঘরে সাত ফুট ও বারান্দায় ৬ ফুট মাপের টিন দেওয়া হয়েছে। রাতে বৃষ্টি হলে বিছানা গুটিয়ে মেঝেতে বসে থাকতে হয়। বর্ষাকালে ঘরে থাকাই কঠিন হয়ে যাবে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পে যাতায়াতের রাস্তার সমস্যার কথা জানিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। মূল সড়ক থেকে সেখানে যাতায়াতের জন্য একমাত্র রাস্তা অন্যের আবাদি জমির সংকীর্ণ আইল।
মো. ইসমাইল হোসেন (৫০) বলেন, ‘এখানে কোনো মানুষ অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া খুবই কষ্টকর। কাঠের পাটাতনে করে মূল সড়কে নিতে হয়। তা ছাড়া বৃষ্টি হলে চলাচলের কোনো উপায় থাকে না।’
ঘর বরাদ্দের ক্ষেত্রেও অনিয়মের অভিযোগ করেছেন সৈকত ইসলাম (১৭) নামের এক কিশোর। তিনি বলেন, ‘এখানে আমাদের দুটি ঘর ছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়, আমার বাবা ও আমাকে একটি করে বাড়ি দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী আমি টাকা খরচ করে বালি ভরাট করেছি, কাঠ, ইট বহন করার কাজে সহযোগিতা করেছি। কিন্তু আমার সেই ঘর অন্য একজনকে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমি এখন অন্যের বাড়িতে বসবাস করছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামছুন্নাহার শিউলী বলেন, ‘এই প্রকল্পের সকল বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজে তদারকি করেন। মাঝে মাঝে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের জন্য আমাকে সঙ্গে নেওয়া হয়। তাই এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’
জানতে চাইলে শেরপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই প্রকল্পের সকল কাজ সরকারি অর্থায়নে করা হয়েছে। এখানে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি।’
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের অর্থ ব্যয়ের সুযোগ নেই। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা বিষয়টি তদন্ত করব। সত্য প্রমাণিত হলে সুবিধাভোগীদের অর্থ ফেরত দেওয়া ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। বিনা মূল্যে বাড়ি পেয়ে অনেকের দিন ফিরেছে। কিন্তু ভিন্ন কথা জানালেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের তাতড়া গ্রামের বানপুকুর আশ্রয়ণের বাসিন্দারা। সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়েই তারা এখন নিঃস্ব। বিনা মূল্যের ঘর বাড়িয়েছে তাদের ঋণের বোঝা।
জানা গেছে, শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের তাতড়া গ্রামের সরকারি সম্পত্তি বানপুকুর। আর এই পুকুর পাড়েই অনেক দিন ধরে বাস করে আসছেন ১৩টি ভূমিহীন পরিবার। সম্প্রতি সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে ২৬ পরিবারের জন্য বিনা মূল্যের ঘর। প্রতিটি ঘরের জন্য সরকারি বরাদ্দ ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে ঘরের বালি ভরাটের জন্য টাকা খরচ করতে হয়েছে বরাদ্দপ্রাপ্তদের। এ জন্য কেউ বিক্রি করেছেন গরু-ছাগল, কেউবা ঘরের টিন। আবার অনেকেই এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে টানছেন কিস্তির বোঝা। টয়লেট বসানোর জন্যও অর্থ ব্যয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের। এর ওপর ঘরগুলোতে নেই বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের ব্যবস্থা। এভাবেই গলার কাঁটা হয়েছে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর।
শারীরিক প্রতিবন্ধী ভূমিহীন আমির হোসেন মণ্ডল (৫৫) স্ত্রীকে নিয়ে লক্ষ্মীকোলা গ্রামের এক ব্যক্তির পুকুর পাড়ে টিনের ঘরে বাস করতেন। তার নামে বরাদ্দ হয়েছে বান পুকুরের আশ্রয়ণের ঘর। তিনি বলেন, ‘এক দিন ইউএনও স্যার এসে বললেন ঘর পেতে হলে নিজের টাকায় ঘরের বালি ভরাট করতে হবে। কোনো উপায় না দেখে ২৫ হাজার টাকায় পুরোনো ঘরের টিন বিক্রি করেছি। এরপর পলিথিন দিয়ে ঝুপড়ি করে বসবাস করেছি। পরে লোকজন কষ্ট দেখে কাজ শেষ হওয়ার আগেই আমাকে সরকারি ঘরে তুলে দেয়।’
এখানকার বাসিন্দা বিধবা হালিমা খাতুন (৫৫) বলেন, মিস্ত্রিরা ঘরের দেয়াল তুলে তাদের চাপ দেয় ভেতরের ফাঁকা জায়গা বালি দিয়ে পূরণ করার জন্য। তা না হলে বরাদ্দ বাতিল করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। বাধ্য হয়েই সবাই ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করেছেন। এ জন্য তিনি এনজিও থেকে ঋণ করেছেন ২০ হাজর টাকা। এখন খেয়ে না খেয়ে সপ্তাহে ৬০০ টাকা কিস্তি দিচ্ছেন। তার মতো সকলেই ঋণ করে বা গবাদি-পশু, বিক্রি করেছেন বলে তিনি জানান।
এরপরেও সমস্যার অন্তত নেই তাদের। প্রায় তিন মাস আগে ঘর বুঝে দেওয়া হলেও নেই বিদ্যুতের ব্যবস্থা। ২৬টি পরিবারের জন্য টিউবওয়েল বসানো হয়েছে মাত্র ৩ টি। যদিও নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ৫টি ঘরের জন্য ১টি করে বরাদ্দ আছে। এখন পর্যন্ত কোনো বাড়িতে টয়লেট সুবিধা নেই। টয়লেটের রিং বসানোর জন্য সুবিধা ভোগীদের নিজ খরচে গর্ত খোঁড়ার চাপ দেওয়া হচ্ছে।
মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, তাদের এখানে কোনো টয়লেট নেই। কিছুদিন আগে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সবাইকে নিজ খরচে টয়লেটের জন্য গর্ত খুঁড়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ জন্য তাদের সবাইকে কমপক্ষে আরও ২ হাজার টাকা করে ব্যয় করতে হবে। এমনিতেই ঘরের বালি পূরণ করতে তারা ঋণগ্রস্ত হয়েছেন। আবারও নতুন করে ঋণ করতে হবে বলে তিনি জানান।
ঘরগুলো নির্মাণের ক্ষেত্রেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে তারা জানান। ঘরে ওঠার আগেই দেয়াল ও মেঝের পলেস্তারা উঠে গেছে। পরে সেগুলো মেরামত করা হলেও নতুন করে মেঝে ও দেওয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। এ ছাড়া ঘরের চাল ও বারন্দার টিন প্রয়োজনের তুলনায় ছোট। এ জন্য সামন্য বৃষ্টি হলেই ঘরে পানি ঢুকে বিছানা ভিজে যায়।
তোজাম্মেল হোসেন (৫৮) বলেন, ঘরে সাত ফুট ও বারান্দায় ৬ ফুট মাপের টিন দেওয়া হয়েছে। রাতে বৃষ্টি হলে বিছানা গুটিয়ে মেঝেতে বসে থাকতে হয়। বর্ষাকালে ঘরে থাকাই কঠিন হয়ে যাবে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পে যাতায়াতের রাস্তার সমস্যার কথা জানিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। মূল সড়ক থেকে সেখানে যাতায়াতের জন্য একমাত্র রাস্তা অন্যের আবাদি জমির সংকীর্ণ আইল।
মো. ইসমাইল হোসেন (৫০) বলেন, ‘এখানে কোনো মানুষ অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া খুবই কষ্টকর। কাঠের পাটাতনে করে মূল সড়কে নিতে হয়। তা ছাড়া বৃষ্টি হলে চলাচলের কোনো উপায় থাকে না।’
ঘর বরাদ্দের ক্ষেত্রেও অনিয়মের অভিযোগ করেছেন সৈকত ইসলাম (১৭) নামের এক কিশোর। তিনি বলেন, ‘এখানে আমাদের দুটি ঘর ছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়, আমার বাবা ও আমাকে একটি করে বাড়ি দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী আমি টাকা খরচ করে বালি ভরাট করেছি, কাঠ, ইট বহন করার কাজে সহযোগিতা করেছি। কিন্তু আমার সেই ঘর অন্য একজনকে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমি এখন অন্যের বাড়িতে বসবাস করছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামছুন্নাহার শিউলী বলেন, ‘এই প্রকল্পের সকল বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজে তদারকি করেন। মাঝে মাঝে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের জন্য আমাকে সঙ্গে নেওয়া হয়। তাই এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’
জানতে চাইলে শেরপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই প্রকল্পের সকল কাজ সরকারি অর্থায়নে করা হয়েছে। এখানে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি।’
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের অর্থ ব্যয়ের সুযোগ নেই। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা বিষয়টি তদন্ত করব। সত্য প্রমাণিত হলে সুবিধাভোগীদের অর্থ ফেরত দেওয়া ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৪ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৫ ঘণ্টা আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৫ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
৫ ঘণ্টা আগে