বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ায় কোরবানির পশুর চামড়ার বাজার সিন্ডিকেটের দখলে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মৌসুমি ব্যবসায়ী এবং আড়তদারেরা গত বছর যে দামে চামড়া কিনেছেন, এবারও সেই দামে কিনছেন। কম দামে চামড়া কেনার উদ্দেশ্যে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অনেকে চুপচাপ বসে আছেন। যার কারণে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অনেকের বাড়িতেই পড়ে ছিল চামড়া। কেনার জন্য কেউ যাননি। যাঁরা চামড়া বিক্রি করতে বের হয়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না। আড়তদারেরা সিন্ডিকেট করে দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে অভিযোগ চামড়া বিক্রি করতে আসা লোকজনের।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে গরুর যে চামড়া ৭০০ টাকা দাম বলা হয়, দুপুরের পর সেই চামড়ার দাম ৫০০ টাকার বেশি কেউ বলেন না।
মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী যাঁদের স্থানীয়ভাবে ফড়িয়া বলা হয়, তাঁরা জানান, গত কয়েক বছর বাড়ি বাড়ি ঘুরে কিনে তাঁদের লোকসান হয়েছে। এ কারণে এবার তাঁরা চিন্তাভাবনা করে চামড়া কিনছেন।
আজ বেলা ১১টার পর থেকেই শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে চামড়া ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা তাঁদের লোকজন নিয়ে চামড়া কিনতে বসেন। শহরতলি ও গ্রামাঞ্চল থেকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সেসব দোকানে চামড়া বিক্রি করতে আসেন। কিন্তু এবার সেসব দোকানে বেলা দেড়টা পর্যন্ত তেমন কোনো চামড়া এসে পৌঁছেনি। যে দু-চারজন বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্যান ও ভটভটিতে চামড়া আনছেন তাঁদের সেই পরিবহন আটকিয়ে আড়তদারের লোকজন এতটাই কম দাম বলছেন যে আসল টাকাই উঠবে না মৌসুমি ব্যবসায়ীদের।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান এলাকা থেকে চামড়া বিক্রি করতে আসা মামুনুর রশিদ নামের এক মৌসুমি ব্যবসায়ীর ভটভটি থানা মোড় এলাকায় আটকিয়ে একইভাবে কম দাম দেওয়া হয়। তিনি জানান, পুরো বাজারের ব্যবসায়ীরাই সিন্ডিকেট করে দাম কম দিচ্ছেন। তাঁর মতো মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লাভ তো দূরের কথা আসল টাকাও তুলতে পারবেন না।
থানা মোড়ে চামড়া কিনতে বসা চামড়া ব্যবসায়ী জসমত উল্লাহ বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার লবণের দাম বেশি। এ ছাড়া আড়ত থেকে নগদ টাকা পাওয়া যায়নি, এ কারণে বেশি দামে চামড়া কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
শহরের লতিফপুর এলাকার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক রকেট হোসেন জানান, তাঁদের ১ লাখ ২০ হাজার টাকার গরু কোরবানির পর থেকে দীর্ঘ সময় বাড়িতে পড়ে ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একজন ক্রেতাকে ডেকে এনে তাঁর কাছে মাত্র ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে।
বগুড়ার মহাস্থান থেকে শহরে চামড়া বিক্রি করতে আসা আকাশ রহমান বলেন, গ্রামে যে দামে চামড়া কিনেছেন শহরে আসার পর তার থেকেও দাম কম বলা হচ্ছে। ছাগলের চামড়া ২০ থেকে ৪০ টাকা, গরুর চামড়া ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার ওপরে কেউ বলছেন না। ভেড়ার চামড়া ফ্রি দিলেও কেউ নিচ্ছে না।
শহরতলির ধাওয়াপাড়ার বাসিন্দা হোটেল ব্যবসায়ী রাজু হোসেন। তিনি বলেন, ক্রেতা না পেলে কোনো এতিমখানায় চামড়া পাঠিয়ে দিতে হবে। শহরের মালগ্রাম এলাকার বাসিন্দা শামীম হোসেন ৩০ হাজার টাকার কেনা খাসির চামড়া বিক্রি করেন মাত্র ৩০ টাকায়।
বগুড়া জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান খান বলেন, ব্যবসায়ীদের আড়তে এখনো চামড়া কেনা শুরু হয়নি। মাঠপর্যায়ে ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনছে। তাঁরা হয়তো বাড়তি লাভের আশায়, অথবা ভালো মানের চামড়ার সঙ্গে খারাপ মানের চামড়ার গড় করতে কম দামে চামড়া কিনছেন। তবে আড়তে সরকার নির্ধারিত মূল্যেই চামড়া কেনা হবে। এতে ভালো মানের চামড়ার দাম এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত হওয়ার কথা।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, নগদ টাকার সংকটের কারণে অনেক ব্যবসায়ী ঝুঁকি নিচ্ছেন না। এ কারণে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা নিজ দায়িত্বে চামড়া কিনছেন। তাঁরা বিক্রি করতে না পারলে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে পরে বিক্রি করবেন।
বগুড়ায় কোরবানির পশুর চামড়ার বাজার সিন্ডিকেটের দখলে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মৌসুমি ব্যবসায়ী এবং আড়তদারেরা গত বছর যে দামে চামড়া কিনেছেন, এবারও সেই দামে কিনছেন। কম দামে চামড়া কেনার উদ্দেশ্যে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অনেকে চুপচাপ বসে আছেন। যার কারণে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অনেকের বাড়িতেই পড়ে ছিল চামড়া। কেনার জন্য কেউ যাননি। যাঁরা চামড়া বিক্রি করতে বের হয়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না। আড়তদারেরা সিন্ডিকেট করে দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে অভিযোগ চামড়া বিক্রি করতে আসা লোকজনের।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে গরুর যে চামড়া ৭০০ টাকা দাম বলা হয়, দুপুরের পর সেই চামড়ার দাম ৫০০ টাকার বেশি কেউ বলেন না।
মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী যাঁদের স্থানীয়ভাবে ফড়িয়া বলা হয়, তাঁরা জানান, গত কয়েক বছর বাড়ি বাড়ি ঘুরে কিনে তাঁদের লোকসান হয়েছে। এ কারণে এবার তাঁরা চিন্তাভাবনা করে চামড়া কিনছেন।
আজ বেলা ১১টার পর থেকেই শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে চামড়া ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা তাঁদের লোকজন নিয়ে চামড়া কিনতে বসেন। শহরতলি ও গ্রামাঞ্চল থেকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সেসব দোকানে চামড়া বিক্রি করতে আসেন। কিন্তু এবার সেসব দোকানে বেলা দেড়টা পর্যন্ত তেমন কোনো চামড়া এসে পৌঁছেনি। যে দু-চারজন বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্যান ও ভটভটিতে চামড়া আনছেন তাঁদের সেই পরিবহন আটকিয়ে আড়তদারের লোকজন এতটাই কম দাম বলছেন যে আসল টাকাই উঠবে না মৌসুমি ব্যবসায়ীদের।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান এলাকা থেকে চামড়া বিক্রি করতে আসা মামুনুর রশিদ নামের এক মৌসুমি ব্যবসায়ীর ভটভটি থানা মোড় এলাকায় আটকিয়ে একইভাবে কম দাম দেওয়া হয়। তিনি জানান, পুরো বাজারের ব্যবসায়ীরাই সিন্ডিকেট করে দাম কম দিচ্ছেন। তাঁর মতো মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লাভ তো দূরের কথা আসল টাকাও তুলতে পারবেন না।
থানা মোড়ে চামড়া কিনতে বসা চামড়া ব্যবসায়ী জসমত উল্লাহ বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার লবণের দাম বেশি। এ ছাড়া আড়ত থেকে নগদ টাকা পাওয়া যায়নি, এ কারণে বেশি দামে চামড়া কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
শহরের লতিফপুর এলাকার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক রকেট হোসেন জানান, তাঁদের ১ লাখ ২০ হাজার টাকার গরু কোরবানির পর থেকে দীর্ঘ সময় বাড়িতে পড়ে ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একজন ক্রেতাকে ডেকে এনে তাঁর কাছে মাত্র ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে।
বগুড়ার মহাস্থান থেকে শহরে চামড়া বিক্রি করতে আসা আকাশ রহমান বলেন, গ্রামে যে দামে চামড়া কিনেছেন শহরে আসার পর তার থেকেও দাম কম বলা হচ্ছে। ছাগলের চামড়া ২০ থেকে ৪০ টাকা, গরুর চামড়া ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার ওপরে কেউ বলছেন না। ভেড়ার চামড়া ফ্রি দিলেও কেউ নিচ্ছে না।
শহরতলির ধাওয়াপাড়ার বাসিন্দা হোটেল ব্যবসায়ী রাজু হোসেন। তিনি বলেন, ক্রেতা না পেলে কোনো এতিমখানায় চামড়া পাঠিয়ে দিতে হবে। শহরের মালগ্রাম এলাকার বাসিন্দা শামীম হোসেন ৩০ হাজার টাকার কেনা খাসির চামড়া বিক্রি করেন মাত্র ৩০ টাকায়।
বগুড়া জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান খান বলেন, ব্যবসায়ীদের আড়তে এখনো চামড়া কেনা শুরু হয়নি। মাঠপর্যায়ে ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনছে। তাঁরা হয়তো বাড়তি লাভের আশায়, অথবা ভালো মানের চামড়ার সঙ্গে খারাপ মানের চামড়ার গড় করতে কম দামে চামড়া কিনছেন। তবে আড়তে সরকার নির্ধারিত মূল্যেই চামড়া কেনা হবে। এতে ভালো মানের চামড়ার দাম এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত হওয়ার কথা।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, নগদ টাকার সংকটের কারণে অনেক ব্যবসায়ী ঝুঁকি নিচ্ছেন না। এ কারণে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা নিজ দায়িত্বে চামড়া কিনছেন। তাঁরা বিক্রি করতে না পারলে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে পরে বিক্রি করবেন।
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির সময় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারসহ নিখোঁজ বরগুনার পাথরঘাটার ২৫ জেলে এক বছরেও ফেরেননি। তাঁরা আদৌ বেঁচে আছেন কি-না, জানেন না স্বজনেরা। তবু প্রিয়জনের আশায় বুক বেঁধে নীরব অপেক্ষায় দিন কাটছে এসব জেলের পরিবারের সদস্যদের।
৬ মিনিট আগেঅধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘৫ আগস্টের চার দিন আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর চার দিনও টিকতে পারেনি আওয়ামী লীগ। জনরোষে পড়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা ও তাঁর আত্মীয়স্বজন। তাঁর বিচার জনগণই করবে। তারা নির্বাচনে আসতে পারবে কি না, সেটি জনগণের ওপর নির্ভর করবে...
৩৭ মিনিট আগেবগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ভাড়াটিয়া মাবিয়া চার লাখ টাকার চুক্তিতে গৃহবধূ সালমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তবে মাবিয়া চুক্তি করা অটোভ্যানচালক সুমন রবিদাসকে টাকা দেননি।
১ ঘণ্টা আগেপাঁচটি গ্রাম ঘেঁষে সরকারি জলাশয় ডাহার বিল। যুগ যুগ ধরে এ বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন জেলেরা। এ ছাড়া দেশীয় মাছ ধরে আমিষের চাহিদা মেটাত এসব গ্রামের মানুষ। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পৌর এলাকার শালঘরিয়াসহ পাঁচ গ্রামের ৬২ বিঘা খাস জলাশয় ডাহার...
১ ঘণ্টা আগে