রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর সন্তানদের জন্য বরাদ্দকৃত পোষ্য কোটার প্রতীকী ‘কবর’ দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের পাশে পোষ্য কোটার প্রতীকী মরদেহ সমাধিস্থ করা হয়।
এর আগে বিকেল ৪টার দিকে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে কোটার যৌক্তিকতা নিয়ে একটি ‘ব্যঙ্গাত্মক’ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা। তবে এই বিতর্কে কোনো শিক্ষক-কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারী অংশ নেননি। পরে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে তিনজন তাদের প্রতিনিধি হিসেবে এতে অংশ নেন।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে একজন রিকশাচালক, আইন বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদুল ইসলাম এবং এক ব্যবসায়ীকে রাখা হয়।
বিতর্কের শুরুতে উভয় পক্ষের যুক্তি প্রদর্শন পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। পরে চলে যুক্তি খণ্ডন পর্ব। তবে পোষ্য কোটার পক্ষে এ সময় কোনো বৈধ যুক্তি তুলে ধরতে পারেননি প্রতিযোগিরা। পরে বিচারকদের রায়ে পোষ্য কোটার বিপক্ষের শিক্ষার্থীরা জয়লাভ করেন। এ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হওয়া পোষ্য কোটা এই বিশ্ববিদ্যালয়েই কবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষার্থীরা।
প্রতীকী এই কবর দেওয়া শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে আমাদের কাঁধে যাদের হাত ছিল তারা এখন আমাদের সাথে নাই। জুলাই আন্দোলনের মূল ম্যান্ডেড ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার। এখনো যদি পোষ্য কোটা থাকে তাহলে জুলাই বিপ্লবকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হবে। আবু সাঈদের রক্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হবে। আমরা যদি এইবার পোষ্য কোটার কবর রচনা করতে না পারি তবে আর কোনোদিন সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি না। সারা বাংলাদেশে যত জায়গায় চাকরির ক্ষেত্রে বা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা রয়েছে তা সমূলে উৎখাত করতে হবে।’
আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান সজীব বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর নতুন বাংলাদেশে প্রশাসন পোষ্য কোটা বাতিলের এই ন্যায্য দাবি মেনে নিবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা ছিল। তবে তারা আমাদের এই দাবি মেনে না নিয়ে পোষ্য কোটার মতো একটা অন্যায্য জিনিস ভোগ করে যাচ্ছে। তাদের কাছে আমরা এটা বাতিলের প্রস্তাব করি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি না মেনে নিলে গণতান্ত্রিক উপায়ে একটা বিতর্কের আয়োজন করি। গত দুদিন থেকে তাদের বিতর্কে আসতে বলার পরেও তারা আসেনি। এখানে বিচারক হিসেবে রিকশাওয়ালা, চায়ের দোকানদারদের মতো প্রান্তিক মানুষ ছিল, যাদের ট্যাক্সের টাকায় আমারা পড়াশোনা করছি। সেই বিতর্কে পোষ্য কোটা হেরে যায় এবং আমরা এর কবর রচনা করি।’
প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে গত ৩১ অক্টোবর উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। গত ১৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এবারের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা ১ শতাংশ কমিয়ে ৩ শতাংশ করার বিষয়টি জানায়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ওই দিন সন্ধ্যায় শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে আমরণ অনশনে বসেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। উপাচার্যের আশ্বাসে পরদিন দুপুরে অনশন ভাঙেন তাঁরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পোষ্য কোটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে একটি ২০ সদস্যের পর্যালোচনা কমিটি করে।
ওই কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেও কার্যকরী কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। এ ব্যাপারে গত শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) পর্যালোচনা কমিটির সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সভা হয়। সভায় শিক্ষার্থীরা পুরো কোটা বাতিল করার দাবি জানান এবং পরদিন শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে এ ঘোষণা না দিলে আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো ঘোষণা না দেওয়ায় ওইদিন রাত ৮টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল (৮ ডিসেম্বর) পোষ্য কোটাকে লাল কার্ড প্রদর্শন করেন তাঁরা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর সন্তানদের জন্য বরাদ্দকৃত পোষ্য কোটার প্রতীকী ‘কবর’ দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের পাশে পোষ্য কোটার প্রতীকী মরদেহ সমাধিস্থ করা হয়।
এর আগে বিকেল ৪টার দিকে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে কোটার যৌক্তিকতা নিয়ে একটি ‘ব্যঙ্গাত্মক’ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা। তবে এই বিতর্কে কোনো শিক্ষক-কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারী অংশ নেননি। পরে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে তিনজন তাদের প্রতিনিধি হিসেবে এতে অংশ নেন।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে একজন রিকশাচালক, আইন বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদুল ইসলাম এবং এক ব্যবসায়ীকে রাখা হয়।
বিতর্কের শুরুতে উভয় পক্ষের যুক্তি প্রদর্শন পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। পরে চলে যুক্তি খণ্ডন পর্ব। তবে পোষ্য কোটার পক্ষে এ সময় কোনো বৈধ যুক্তি তুলে ধরতে পারেননি প্রতিযোগিরা। পরে বিচারকদের রায়ে পোষ্য কোটার বিপক্ষের শিক্ষার্থীরা জয়লাভ করেন। এ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হওয়া পোষ্য কোটা এই বিশ্ববিদ্যালয়েই কবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষার্থীরা।
প্রতীকী এই কবর দেওয়া শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে আমাদের কাঁধে যাদের হাত ছিল তারা এখন আমাদের সাথে নাই। জুলাই আন্দোলনের মূল ম্যান্ডেড ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার। এখনো যদি পোষ্য কোটা থাকে তাহলে জুলাই বিপ্লবকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হবে। আবু সাঈদের রক্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হবে। আমরা যদি এইবার পোষ্য কোটার কবর রচনা করতে না পারি তবে আর কোনোদিন সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি না। সারা বাংলাদেশে যত জায়গায় চাকরির ক্ষেত্রে বা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা রয়েছে তা সমূলে উৎখাত করতে হবে।’
আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান সজীব বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর নতুন বাংলাদেশে প্রশাসন পোষ্য কোটা বাতিলের এই ন্যায্য দাবি মেনে নিবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা ছিল। তবে তারা আমাদের এই দাবি মেনে না নিয়ে পোষ্য কোটার মতো একটা অন্যায্য জিনিস ভোগ করে যাচ্ছে। তাদের কাছে আমরা এটা বাতিলের প্রস্তাব করি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি না মেনে নিলে গণতান্ত্রিক উপায়ে একটা বিতর্কের আয়োজন করি। গত দুদিন থেকে তাদের বিতর্কে আসতে বলার পরেও তারা আসেনি। এখানে বিচারক হিসেবে রিকশাওয়ালা, চায়ের দোকানদারদের মতো প্রান্তিক মানুষ ছিল, যাদের ট্যাক্সের টাকায় আমারা পড়াশোনা করছি। সেই বিতর্কে পোষ্য কোটা হেরে যায় এবং আমরা এর কবর রচনা করি।’
প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে গত ৩১ অক্টোবর উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। গত ১৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এবারের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা ১ শতাংশ কমিয়ে ৩ শতাংশ করার বিষয়টি জানায়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ওই দিন সন্ধ্যায় শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে আমরণ অনশনে বসেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। উপাচার্যের আশ্বাসে পরদিন দুপুরে অনশন ভাঙেন তাঁরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পোষ্য কোটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে একটি ২০ সদস্যের পর্যালোচনা কমিটি করে।
ওই কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেও কার্যকরী কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। এ ব্যাপারে গত শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) পর্যালোচনা কমিটির সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সভা হয়। সভায় শিক্ষার্থীরা পুরো কোটা বাতিল করার দাবি জানান এবং পরদিন শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে এ ঘোষণা না দিলে আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো ঘোষণা না দেওয়ায় ওইদিন রাত ৮টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল (৮ ডিসেম্বর) পোষ্য কোটাকে লাল কার্ড প্রদর্শন করেন তাঁরা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, আওয়ামী লীগ যে অপকর্ম করেছে, প্রত্যেকটি অপকর্মের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে। কেউ ঠেকাতে পারবে না। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে। দেশকে শ্মশান বানিয়ে ফেলেছে।
১৮ মিনিট আগেলক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান হত্যা মামলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. স্বপন ও অমিত হাসান রিপনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার ভোরে শহরের সমসেরাবাদ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২২ মিনিট আগেন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা ভাতার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বিএসএমএমইউ) সব হাসপাতালের বেসরকারি ট্রেইনি চিকিৎসকেরা। আজ রোববার রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা...
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে বোতাম তৈরির কারখানার কেমিক্যাল গুদামের আগুনে দগ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি গ্রামের এমঅ্যান্ডইউ ট্রিমস নামক কারখানায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে