মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা
নির্বাচনে মনোনয়ন-বাণিজ্য ও অদৃশ্য নির্বাচনী ব্যয় বা কালোটাকার ব্যবহার বন্ধ করার উপায় খুঁজে পাচ্ছে না নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। অংশীজনদের সঙ্গে এবং নিজেদের মধ্যে আলোচনায়ও এর সমাধান মেলেনি। কমিশন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের পক্ষে। এ ছাড়া সংস্কার কমিশন প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানো এবং একই ব্যক্তি টানা দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না—এমন সুপারিশ দিতে পারে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। কমিশন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) পরিবর্তে ব্যালট পেপারে ভোটের পক্ষে। এ ছাড়া দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা চালুর বিষয়েও মতামত এসেছে। সূত্র বলেছে, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ হলে প্রচলিত পদ্ধতির ভোটে নিম্নকক্ষ গঠন এবং আনুপাতিক হারে উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়ে কমিশনে আলোচনা চলছে। সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে ঘূর্ণমান পদ্ধতিতে ভোট এবং মহিলা আসনসংখ্যা বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হচ্ছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাদ দেওয়া, দলীয় প্রার্থী হতে হলে কমপক্ষে তিন বছর দলের সদস্য থাকা এবং নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনীকে আবার যুক্ত করার বিষয়ে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্কার কমিশন।
ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন এ কমিশন ইতিমধ্যে একটি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারকে দিয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়ে আশাবাদ জানিয়েছে কমিশন। গত ৩ অক্টোবর এই কমিশন গঠন করা হয়েছে।
সংস্কার কমিশনের সূত্র বলেছে, কমিশনের সদস্যরা মনে করেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার পথে বড় বাধা প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে বাণিজ্য এবং কালোটাকার দৌরাত্ম্য। নির্বাচনে এ দুটি ঠেকানোর উপায় খুঁজে বের করা তাঁদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তাই এর সমাধান খুঁজছেন তাঁরা। এ নিয়ে তাঁরা বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। আলোচনাও প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রবাসী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় বাকি আছে। তাঁরা আশা করছেন, সবার সঙ্গে মতবিনিময় সম্পন্ন হলে একটি সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যাবে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি এবং আগে জাতীয় সংসদ, না কি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে—এসব নিয়ে কমিশনে আলোচনা চলছে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং শাসনপ্রক্রিয়া ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বিশেষজ্ঞ মীর নাদিয়া নিভিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুটি বিষয়কে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জ মনে হচ্ছে। একটি হচ্ছে মনোনয়ন-বাণিজ্য এবং অন্যটি অদৃশ্য নির্বাচনী ব্যয় বা কালোটাকার ব্যবহার বন্ধ করা। এ দুটি বিষয় নিয়ে সমাধান খুঁজে পেতে আমরা সত্যিই হাবুডুবু খাচ্ছি।’ তিনি বলেন, এ সমস্যা সমাধানের জন্য রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো যত দিন বাণিজ্যমুখী থেকে জনমুখী রাজনীতি না করবে, তত দিন এ ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে না। চেক অ্যান্ড ব্যালেন্সের জন্য এগুলো বন্ধে কিছু সুপারিশ হয়তো তাঁরা দিতে পারেন; কিন্তু রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ সংস্কৃতি পরিবর্তন না হলে এটি বন্ধ করা কঠিন।
সূত্র জানায়, কমিশন ১২ ডিসেম্বর অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। বেঁধে দেওয়া সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার ব্যাপারে কমিশন আশাবাদী।
কমিশনের সূত্র বলেছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে জাতীয় সংসদে আনুপাতিক হারে আসন বণ্টনের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দলও এর পক্ষে মত দিয়েছে। তবে জনগণের কাছ থেকে কমিশন যেসব মতামত পাচ্ছে, তাতে আনুপাতিক হারে আসন বণ্টনের বিষয়টিতে একটু পরিবর্তন এসেছে। এখানে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে মতামত এসেছে। এতে নিম্নকক্ষে প্রচলিত পদ্ধতিতে ভোটে সদস্য নির্বাচন ও উচ্চকক্ষে আনুপাতিক হারে আসন বণ্টনের প্রস্তাব এসেছে। তবে আনুপাতিক হার কীভাবে নির্ধারণ করা হবে, তা নিয়ে পর্যালোচনা করছে কমিশন।
সূত্র জানায়, কমিশন মনে করে, প্রযুক্তিতে মানুষের তেমন আস্থা নেই। তাই কমিশনের সদস্যরা নির্বাচনে ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালট পেপার ব্যবহারের পক্ষে। তাঁরা মনে করেন, শুধু প্রবাসী ভোটারদের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে।
কমিশনের সূত্র বলেছে, জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে ঘূর্ণমান পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে বিভিন্ন মহল থেকে জোরালো মতামত এসেছে। তাদের প্রস্তাব, আসন ঘুরিয়ে সরাসরি ভোটে সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচন করা হোক। কমিশনের সদস্যরাও ঘূর্ণমান পদ্ধতির পক্ষে। তবে কমিশন চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা ৫০টি থেকে বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে পারে।
কমিশনের সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন প্রণয়ন, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পরিবর্তে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব প্রদান, নির্বাচন কমিশনের কাজের পরিধি, ‘না’ ভোটের বিধান আবার যুক্ত করা, ‘না’ ভোট বেশি পড়লে পুনরায় ভোট, সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইনের পরিবর্তন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য স্বাধীন কমিশন গঠন, হলফনামা যাচাই, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন সহজ করা, প্রবাসীদের ভোটার করা। এ ছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১২ (প্রার্থীর যোগ্যতা), ১৩, ৪৪ এবং ৭৩ থেকে ৮৯ পর্যন্ত ধারা পরিবর্তনের সুপারিশ করা হতে পারে। বিতর্কিত নির্বাচনের জন্য বিগত তিনটি নির্বাচন কমিশনের বিচারের পাশাপাশি ভবিষ্যতে কোনো কমিশন এমন অপকর্মে জড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান করারও সুপারিশ আসতে পারে। রাজনৈতিক দলে নারী প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর বিষয়েও সংস্কার কমিশন কাজ করছে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য মীর নাদিয়া নিভিন বলেন, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে জনগণ, রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন অংশীজন ও কমিশনের সদস্যদের দেওয়া মতামত বিশ্লেষণ চলছে। কমিশন কোন কোন বিষয়ে কাজ করছে, অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে সে ধারণা দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে। যেসব আইন পরিবর্তনের সুপারিশ করা হবে, সংযুক্তিতে সে সব আইনের খসড়া যুক্ত করে দেওয়া হবে।
নির্বাচনে মনোনয়ন-বাণিজ্য ও অদৃশ্য নির্বাচনী ব্যয় বা কালোটাকার ব্যবহার বন্ধ করার উপায় খুঁজে পাচ্ছে না নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। অংশীজনদের সঙ্গে এবং নিজেদের মধ্যে আলোচনায়ও এর সমাধান মেলেনি। কমিশন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের পক্ষে। এ ছাড়া সংস্কার কমিশন প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানো এবং একই ব্যক্তি টানা দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না—এমন সুপারিশ দিতে পারে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। কমিশন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) পরিবর্তে ব্যালট পেপারে ভোটের পক্ষে। এ ছাড়া দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা চালুর বিষয়েও মতামত এসেছে। সূত্র বলেছে, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ হলে প্রচলিত পদ্ধতির ভোটে নিম্নকক্ষ গঠন এবং আনুপাতিক হারে উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়ে কমিশনে আলোচনা চলছে। সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে ঘূর্ণমান পদ্ধতিতে ভোট এবং মহিলা আসনসংখ্যা বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হচ্ছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাদ দেওয়া, দলীয় প্রার্থী হতে হলে কমপক্ষে তিন বছর দলের সদস্য থাকা এবং নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনীকে আবার যুক্ত করার বিষয়ে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্কার কমিশন।
ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন এ কমিশন ইতিমধ্যে একটি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারকে দিয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়ে আশাবাদ জানিয়েছে কমিশন। গত ৩ অক্টোবর এই কমিশন গঠন করা হয়েছে।
সংস্কার কমিশনের সূত্র বলেছে, কমিশনের সদস্যরা মনে করেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার পথে বড় বাধা প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে বাণিজ্য এবং কালোটাকার দৌরাত্ম্য। নির্বাচনে এ দুটি ঠেকানোর উপায় খুঁজে বের করা তাঁদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তাই এর সমাধান খুঁজছেন তাঁরা। এ নিয়ে তাঁরা বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। আলোচনাও প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রবাসী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় বাকি আছে। তাঁরা আশা করছেন, সবার সঙ্গে মতবিনিময় সম্পন্ন হলে একটি সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যাবে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি এবং আগে জাতীয় সংসদ, না কি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে—এসব নিয়ে কমিশনে আলোচনা চলছে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং শাসনপ্রক্রিয়া ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বিশেষজ্ঞ মীর নাদিয়া নিভিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুটি বিষয়কে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জ মনে হচ্ছে। একটি হচ্ছে মনোনয়ন-বাণিজ্য এবং অন্যটি অদৃশ্য নির্বাচনী ব্যয় বা কালোটাকার ব্যবহার বন্ধ করা। এ দুটি বিষয় নিয়ে সমাধান খুঁজে পেতে আমরা সত্যিই হাবুডুবু খাচ্ছি।’ তিনি বলেন, এ সমস্যা সমাধানের জন্য রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো যত দিন বাণিজ্যমুখী থেকে জনমুখী রাজনীতি না করবে, তত দিন এ ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে না। চেক অ্যান্ড ব্যালেন্সের জন্য এগুলো বন্ধে কিছু সুপারিশ হয়তো তাঁরা দিতে পারেন; কিন্তু রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ সংস্কৃতি পরিবর্তন না হলে এটি বন্ধ করা কঠিন।
সূত্র জানায়, কমিশন ১২ ডিসেম্বর অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। বেঁধে দেওয়া সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার ব্যাপারে কমিশন আশাবাদী।
কমিশনের সূত্র বলেছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে জাতীয় সংসদে আনুপাতিক হারে আসন বণ্টনের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দলও এর পক্ষে মত দিয়েছে। তবে জনগণের কাছ থেকে কমিশন যেসব মতামত পাচ্ছে, তাতে আনুপাতিক হারে আসন বণ্টনের বিষয়টিতে একটু পরিবর্তন এসেছে। এখানে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে মতামত এসেছে। এতে নিম্নকক্ষে প্রচলিত পদ্ধতিতে ভোটে সদস্য নির্বাচন ও উচ্চকক্ষে আনুপাতিক হারে আসন বণ্টনের প্রস্তাব এসেছে। তবে আনুপাতিক হার কীভাবে নির্ধারণ করা হবে, তা নিয়ে পর্যালোচনা করছে কমিশন।
সূত্র জানায়, কমিশন মনে করে, প্রযুক্তিতে মানুষের তেমন আস্থা নেই। তাই কমিশনের সদস্যরা নির্বাচনে ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালট পেপার ব্যবহারের পক্ষে। তাঁরা মনে করেন, শুধু প্রবাসী ভোটারদের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে।
কমিশনের সূত্র বলেছে, জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে ঘূর্ণমান পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে বিভিন্ন মহল থেকে জোরালো মতামত এসেছে। তাদের প্রস্তাব, আসন ঘুরিয়ে সরাসরি ভোটে সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচন করা হোক। কমিশনের সদস্যরাও ঘূর্ণমান পদ্ধতির পক্ষে। তবে কমিশন চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা ৫০টি থেকে বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে পারে।
কমিশনের সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন প্রণয়ন, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পরিবর্তে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব প্রদান, নির্বাচন কমিশনের কাজের পরিধি, ‘না’ ভোটের বিধান আবার যুক্ত করা, ‘না’ ভোট বেশি পড়লে পুনরায় ভোট, সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইনের পরিবর্তন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য স্বাধীন কমিশন গঠন, হলফনামা যাচাই, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন সহজ করা, প্রবাসীদের ভোটার করা। এ ছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১২ (প্রার্থীর যোগ্যতা), ১৩, ৪৪ এবং ৭৩ থেকে ৮৯ পর্যন্ত ধারা পরিবর্তনের সুপারিশ করা হতে পারে। বিতর্কিত নির্বাচনের জন্য বিগত তিনটি নির্বাচন কমিশনের বিচারের পাশাপাশি ভবিষ্যতে কোনো কমিশন এমন অপকর্মে জড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান করারও সুপারিশ আসতে পারে। রাজনৈতিক দলে নারী প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর বিষয়েও সংস্কার কমিশন কাজ করছে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য মীর নাদিয়া নিভিন বলেন, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে জনগণ, রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন অংশীজন ও কমিশনের সদস্যদের দেওয়া মতামত বিশ্লেষণ চলছে। কমিশন কোন কোন বিষয়ে কাজ করছে, অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে সে ধারণা দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে। যেসব আইন পরিবর্তনের সুপারিশ করা হবে, সংযুক্তিতে সে সব আইনের খসড়া যুক্ত করে দেওয়া হবে।
দেশের স্বাস্থ্য খাতের সিংহভাগ অবকাঠামো, রোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয় পাঁচ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা বা অপারেশনাল প্ল্যানের (ওপি) মাধ্যমে। বর্তমানে ওপি চলমান না থাকায় পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় একরকম স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। গত জুলাইয়ে ‘পঞ্চম স্বাস্থ্য, জনসংখ্য
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ধর্মের বিষয়ে বাংলাদেশের তরুণেরা খুবই পক্ষপাতহীন উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, তরুণেরা দেশকে নতুন করে গড়তে চান।
১৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে তদন্ত কমিশন। দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের কার্যক্রম এবং আটক ব্যক্তিদের সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য তুলে ধরতে গিয়ে কমিশন তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ‘বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা জনসমক্ষে একটি আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে...
১৬ ঘণ্টা আগেআন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসনে উপসচিব পদে মেধার ভিত্তিতে শতভাগ পদোন্নতি এবং কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে আগামী মঙ্গলবার দেশের সব অফিসে এক ঘণ্টা কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করবেন ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা। শনিবার পূর্ত ভবনে আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সভায় মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর
১৭ ঘণ্টা আগে