Ajker Patrika

হামলায় ছাত্রদল নেতার মৃত্যু: বিএনপি-ছাত্রদল-যুবদলের শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি   
কবির হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
কবির হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন হত্যার ঘটনায় বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের ২৮ নেতা–কর্মীর নাম উল্লেখ করে ৮০-৯০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে নিহত ছাত্রদল নেতার ভাই হযরত আলী হাফিজ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এনায়েতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজু কামাল মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মামলার প্রধান আসামি এনায়েতপুর থানা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মঞ্জুর রহমান শিকদার। মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মীর মো. সাইফুল ইসলাম মিঠু, সাবেক সদস্যসচিব আবুল কালাম শিকদার, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহসভাপতি করিম মোল্লা, এনায়েতপুর থানা যুবদলের আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম, এনায়েতপুর থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সোহাগ শিকদার, এনায়েতপুর থানা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম রেজা প্রমুখ।

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর পর ১০ নম্বর আসামি জাবেদ শেখ এলাকায় এসে মামলার আসামিদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাস্তানি ও যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে অর্থ উপার্জন করে আসছেন। এতে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ায় এসব অপকর্ম বন্ধ করার জন সাবেক ছাত্রদল নেতা কবির হোসেন আসামিদের বলতে গেলে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং হুমকি দেয়।

১৮ মার্চ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ২, ৩ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আয়োজনে চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আসামিরাও একই স্থানে পাল্টা ইফতার মাহফিল আহ্বান করেন।

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে ইফতার মাহফিলের স্থান করোনা বাজারে স্থানান্তরিত করা হয়। নিহত ছাত্রদল নেতাসহ অন্য নেতারা ইফতার মাহফিলের প্যান্ডেলসহ অন্যান্য সামগ্রী সরাতে গেলে আসামিরা বাধা দেন।

এ সময় আসামিরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করলে ছাত্রদল নেতা কবির হোসেনসহ অন্তত সাতজন আহত হন। গুরুতর আহত ছাত্রদল নেতাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকার বাংলাদেশ ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আজ নিহত ছাত্রদল নেতার ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত