Ajker Patrika

সহকারীকে রাখার জন্য প্রকৌশলীকে ফেরত

  • ১১ মার্চ উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন এক কর্মকর্তা।
  • পরদিনই তিনি বদলি বাতিলের আদেশপত্র পান।
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা কার্যালয়ে প্রকৌশলী নিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা হারুনুর রশীদের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, চলতি মাসে উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেছিলেন নুরুল আফসার মোহাম্মদ সুলতানুল ইমাম নামের এক কর্মকর্তা। তবে রহস্যজনক কারণে যোগদানের মাত্র এক দিন পর তাঁকে আগের কর্মস্থলে ফিরে যেতে হয়েছে। নুরুল আফসারের স্ত্রী জেলার গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা খাতুনের অভিযোগ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য হারুনুর রশীদের আপত্তির কারণে তাঁর স্বামীর বদলি বাতিল করা হয়েছে।

এ দিকে স্বামীর পদায়ন নিয়ে কয়েকবার সাবেক এমপি হারুনের সঙ্গে কথা বলেছেন মাহফুজা। এমন একটি অডিও রেকর্ড হাতে এসেছে এ প্রতিবেদকের কাছে। এর একটিতে বলতে শোনা যায় মাহফুজা খাতুন হারুনুর রশীদকে বলছেন, ‘আমার হাজবেন্ড আজকে রিলিজ পেয়ে গেছে এক্সচেঞ্জ অফিস থেকে, কালকে যাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। এখন শুনতে পাচ্ছি...।’ কথা না শেষ হতেই হারুন বলে ওঠেন, ‘এখন আসতে পারবে না, পরে। এখানে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার এসেছে তিন মাস হলো।’

মাহফুজা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হারুন সাহেব চাইছেন সদর উপজেলা এলজিইডি চালাবেন তাঁর প্রিয়ভাজন সহকারী প্রকৌশলী আজহারুল ইসলাম। তাই পদ শূন্য থাকলেও তিনি এখানে কাউকে পদায়ন করতে দেবেন না।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এলজিইডির নওগাঁর পোরশা উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল আফসার মোহাম্মদ সুলতানুল ইমামকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকৌশলী পদে বদলি করা হয়। ১১ মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন তিনি। ওই দিন সুলতানুল ইমাম যোগদানপত্র দিলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন তা গ্রহণ করে অফিস আদেশ জারি করেন। তবে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ মিয়া স্বাক্ষরিত পেছনের তারিখ ১০ মার্চের অফিস আদেশ দেখিয়ে সুলতানুল ইমামের বদলি বাতিল করে তাকে পূর্বের কর্মস্থলে বহাল করেন। বদলি বাতিলের আদেশপত্রটি প্রকৌশলী সুলতানুল ইমাম হাতে পান ১২ মার্চ সকালে। ফলে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকৌশলীর পদে না বসে পূর্বের কর্মস্থলে ফিরে যেতে বাধ্য হন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল বুধবার বিকেলে বিএনপির নেতা হারুনুর রশীদ বলেন, ‘এসব কথা আপনারা কোত্থেকে পান? এলজিইডি কীভাবে চলবে, না চলবে এটা সেই অফিসের বিষয়। আমি এ বিষয়ে কী বলব?’ এখন কোনো প্রকৌশলী চান না, মোবাইলে মাহফুজা খাতুনকে এমন কথা বলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাহফুজা খাতুন আমাকে ফোন করেছিল। তাঁকেও তো একই কথা বলেছি।’

পদায়নের পরই প্রকৌশলী সুলতানুল ইমামের বদলির বিষয়ে কথা বলতে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ মিয়ার দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়। এ সময় তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা রাজিব বলেন, ‘স্যার মন্ত্রণালয়ে জরুরি সভায় আছেন। এখন কথা বলতে পারবেন না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত