Ajker Patrika

৫ হাজার উপযোগী শহরে অটোরিকশা ৪০ হাজার

  • কয়েক গুণ বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার কারণে শহরজুড়ে বিশৃঙ্খলা।
  • শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে জনবল রয়েছে ৮৪ জন।
  • মার্কেটের সামনে ছোট ছোট দোকান বসিয়ে পথচারীদের ভোগান্তি।
গনেশ দাস, বগুড়া 
Thumbnail image
অটোরিকশার দখলে বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকা। প্রায় সময়েই সড়কটিতে লেগে থাকে যানজট। সম্প্রতি তোলা। আজকের পত্রিকা

মাত্র ৫ থেকে ৬ হাজার অটোরিকশা চলাচলের উপযোগী বগুড়া শহর। অথচ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রায় ৪০ হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। অবৈধ এসব যানের যত্রতত্র পার্কিং, বেপরোয়া চলাচলের কারণে হেঁটে চলাও দায় হয়ে পড়েছে শহরবাসীর। রয়েছে হকারদের ফুটপাত দখলের প্রতিযোগিতাও। অটোরিকশা আর ফুটপাত দখলের কারণে বগুড়া শহরে দিনভর যানজট লেগেই থাকে। এতে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয় পথচারীসহ বাসিন্দাদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের কাঠালতলা মোড়ে ২০ ফুট প্রশস্ত সড়কের পুরোটাই দখল করে বসানো হয়েছে অস্থায়ী ফলের বাজার। অবৈধভাবে বসানো এ বাজারে সকাল থেকেই শুরু হয় বেচাকেনা। প্রায় সময়েই এ মোড়ে লেগে থাকে যানজট। বড়গোলা থেকে কাঠালতলা পর্যন্ত সড়কে দিনব্যাপী মালপত্র ওঠানামার কাজে ব্যবহার করা হয় অটো ও ভ্যান। এ কারণে এই সড়ক দিয়ে হেঁটে চলা কষ্টসাধ্য। শহরের নিউমার্কেট, কাঠালতলা, থানা রোড, ফতেহ আলী বাজার, সাতমাথা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যানজট লেগে থাকে অটোরিকশার যত্রতত্র পার্কিং ও ফুটপাত দখলে নিয়ে দোকান বসানোর কারণে।

স্থানীয়রা জানান, মার্কেট ও সড়কের পাশের ফুটপাতগুলোতে দোকানের সামনে লোকজন চলাচলের রাস্তায় প্রতিদিন ২০০ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে ছোট ছোট দোকান বসার সুযোগ দিয়ে থাকেন মার্কেটের ব্যবসায়ীদের অনেকে। এসব দোকানের কারণে পথচারীদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়।

শহরের নিশিন্দারা উপশহরের বাসিন্দা ফজলুর রহমান বলেন, উপশহর থেকে শহরের সাতমাথার দূরত্ব ৩ কিলোমিটার। এটুকু রিকশায় যেতে কখনো কখনো সময় লাগে ৪৫ মিনিট। বিশেষ করে বেলা ১১টা এবং ২টার দিকে অসংখ্য স্কুলবাস শহরের বিভিন্ন সড়কে ঢোকায় যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে।

শিববাটি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, বগুড়া শহরকে যানজটমুক্ত করতে প্রধান সড়কগুলো প্রশস্ত করা হলেও সেই সড়কগুলোতে এখন হকার আর যানবাহন পার্কিং করে রাখা হয়। এ কারণে শহরে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

বগুড়া পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, শহরে ৪০ হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, যার কোনো বৈধতা নেই। অবৈধ হওয়ায় গত ১৫ বছরেও এসব অটোর লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। পৌরসভা থেকে প্যাডেল রিকশার লাইসেন্স দেওয়া হলেও শহরে এ ধরনের রিকশা না থাকায় কেউ লাইসেন্স নবায়ন করতে যায় না।

পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক আব্দুল হাই বলেন, বগুড়া পৌরসভা থেকে প্যাডেল রিকশার লাইসেন্স দেওয়া ছিল ৬ হাজার ৩৬৩টি। ২০১৯ সালের পর থেকে কেউ পায়েচালিত রিকশার লাইসেন্স নবায়ন করতে আসেননি।

ট্রাফিক বিভাগ জানায়, শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে ৮৪ জন জনবল রয়েছে। এর মধ্যে ছুটি এবং অফিস কাজের কারণ ৭০ জনকে লাগানো যায়। তাঁরা দুই শিফটে কাজ করেন। সে ক্ষেত্রে যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, স্বল্পসংখ্যক জনবল দিয়ে জেলা পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে। বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের আরও বেশি সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি জানান, ৫ থেকে ৬ হাজার রিকশা চলাচলের উপযোগী বগুড়া শহর। সেখানে ছোট-বড় অটোরিকশা চলাচল করে ৪০ হাজার। পাশাপাশি ফুটপাত দখল, সড়ক দখল করে দোকান বসানো, যানবাহন পার্কিং করা যানজটের অন্যতম কারণ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারী সহকর্মীর সঙ্গে রাতযাপন: হাইটেক পার্কের ডিডি আতিক বরখাস্ত

বাংলাদেশসহ ৩ দেশে উন্নয়ন সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত সুইজারল্যান্ডের

বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগ

পদ্মা সেতু ও ড. ইউনূসকে নিয়ে ভারত থেকে শেখ হাসিনার ভাষণ! ভাইরাল ভিডিওর পেছনের ঘটনা জানুন

২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন কর্মসূচি শুরু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত