এক সপ্তাহ পানি শোধনাগার বন্ধ, জানা নেই কর্মকর্তাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ২৩: ১০
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১০: ২৫

ওয়াসার শোধনাগার বন্ধ থাকায় রাজশাহীর পদ্মা আবাসিক এলাকার বহুতল ভবনে পানি সরবরাহ কমে গেছে। পাইপে পানির চাপ কম থাকায় এসব ভবনের বাসিন্দারা পড়েছেন দুর্ভোগে। তাই এখন বাসা পরিবর্তন করার কথা ভাবছেন তাঁরা। তবে পানি শোধনাগার বন্ধ থাকার বিষয়টি জানা নেই সংশ্লিষ্ট দুই প্রধান কর্মকর্তার। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পানি বিভাগকে ২০১১ সালে আলাদা করে প্রতিষ্ঠা করা হয় রাজশাহী ওয়াসা। পদ্মা নদীর পানি পরিশোধন করে সরবরাহ করতে ওই বছরের আগস্টে ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান পানি শোধনাগার স্থাপন করা হয়। শুষ্ক মৌসুমে পদ্মার পানি দূরে চলে গেলে শোধনাগারটি বন্ধ হয়ে যায়। পানি শোধনাগারটি যখন সচল থাকে, তখনো মাঝেমধ্যে দেখা দেয় যান্ত্রিক ত্রুটি। 

এ ছাড়া গত এক সপ্তাহ ধরে পানি শোধনাগারটি বন্ধ। কারণ এই শোধনাগার থেকে প্রতিদিন ৯ মিলিয়ন লিটার পদ্মার পানি নগরীর ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে সরবরাহ করা হয়। বন্ধ থাকায় পানির সমস্যায় পড়েন চারটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। বিশেষ করে শহরের অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত পদ্মা আবাসিক এলাকায় পানির কষ্ট অনেক বেড়ে যায়। 

পানি শোধনাগারের দায়িত্বে থাকা ওয়াসার উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুর রহিম বলেন, ‘শোধনাগারের পুকুরে একটু সমস্যা হয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে মেইনটেন্যান্সের কাজ চলছে। এ কারণে পদ্মা আবাসিক এলাকায় পানির চাপ কমে গেছে। ভবনের ওপরের তলাগুলোতে পানি উঠছে না। নগরীর ২৮, ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বিকল্প পাম্প চালু করা হয়েছে। তাই এসব এলাকায় পানির তেমন সমস্যা হচ্ছে না। তবে পদ্মা আবাসিক এলাকাটি দূরে হওয়ার কারণে পানির চাপ কমে যাচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই শোধনাগারের কাজ শেষ হয়ে যাবে।’ 

পদ্মা আবাসিকসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা দিদারুল হক জানান, একটি চারতলা ভবনের দোতলায় তিনি পরিবার নিয়ে থাকেন। এক সপ্তাহ ধরে দোতলায় পানি উঠছে না। তবে নিচে ট্যাপে পানি পাওয়া যাচ্ছে অল্প করে। এক সপ্তাহ ধরে নিচতলার ট্যাপ থেকে তিনি প্রয়োজনীয় পানি তুলে নিয়ে যাচ্ছেন দোতলায়। খুব সমস্যায় আছেন তাঁরা। 

পদ্মা আবাসিক এলাকার ভাড়াটিয়া শরিফুল হক জানান, তাঁদের এলাকায়ও দোতলা থেকে ওপরের তলায় ওয়াসার সরবরাহ করা পানি পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু নিচতলায় পানি আছে। মাঝে মাঝেই তাঁরা এই সমস্যায় পড়েন। ফোন করলে ওয়াসার কোনো কর্মকর্তা ধরেন না। পানির সমস্যাও কাটে না। তাই এখন বাসা পরিবর্তন করার কথা ভাবছেন। 

রাজশাহী ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী পারভেজ মামুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন ‘এটা আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে জানাতে পারব।’ 

শহীদ কামারুজ্জামান পানি শোধনাগারের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি ঢাকার বাড়িতে আছি। সমস্যার ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত