Ajker Patrika

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে থানায় হামলার অভিযোগ, পুলিশসহ আহত ৭

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি 
বিএনপি নেতার নেতৃত্বে বেশ কিছু লোক গতকাল ক্ষেতলাল থানায় ঢুকে পড়ে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিএনপি নেতার নেতৃত্বে বেশ কিছু লোক গতকাল ক্ষেতলাল থানায় ঢুকে পড়ে। ছবি: আজকের পত্রিকা

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে থানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার ইফতারের পূর্ব মুহুর্তে ক্ষেতলাল থানায় এ ঘটনা ঘটে।

থানা সূত্রে জানা যায়, থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা তিনজনকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আশিক পার্থের নেতৃত্বে বেশ কিছু লোকজন থানায় ঢুকে পড়ে। এ সময় দায়িত্বে থাকা দুই পুলিশ সদস্য বাধা দিলে তাদের সংঘর্ষ বাধে এবং থানা অবরুদ্ধ করে। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে গেপ্তার করা হয়। পরে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, দেলোয়ার হোসেন বাবু (৪৭), বিপ্লব হোসেন (২৪), ফারুক হোসেন (৩২), উজ্জল হোসেন (৩৪) ও সজিব হোসেন (২৮)।

খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাব ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স থানায় অবস্থান নেয়।

আহতরা হলেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, পৌর এলাকার শাখারুঞ্জ গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন (৩৫), একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম (২৭), বগুড়ার শাহজাহানপুরের রফিক (৩৭) ও আব্দুল মমিন (৩৮)। আহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন, কাজী জাফর ও সুমন।

ঘটনার দিন মঙ্গলবার ভুক্তভোগী আহত রফিক জানান, ক্ষেতলাল পৌর এলাকার শাখারুঞ্জ গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন জমি রেজিস্ট্রির জন্য ক্ষেতলাল উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আসেন। বিএনপিরক র্মী মাসুদ চৌধুরী, গোলাম মওলা ও জুয়েল সেখানে উপস্থিত হয়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা জানালে তারা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আশিক পার্থকে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আশিক পার্থ সেখানে উপস্থিত হয়ে চাঁদা না দিলে দলিল রেজিস্ট্রি করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেয়। তাকে বাধা দিতে গেলে তোফাজ্জল হোসেনসহ চার জনকে মারপিট করে রক্তাক্ত করে। রফিক বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে থানা থেকে উদ্ধার করা তিনজনকে ছিনিয়ে নেওয়া এবং পার্থর বিরুদ্ধে মামলা যাতে না হয় সে জন্য থানায় হামলা করে।’

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি উৎসুক জনতাদের শান্ত হতে বলি। কিন্ত সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জের শিকার হই।’

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমান বলেন, ‘দলের যে কেউ হোক অপরাধ করলে তার বিচার হবে।’

এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাচঁজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আহত তোফাজ্জলের স্ত্রী জয়নব বেগম বাদী হয়ে চাঁদাবাজি ও মারপিট করায় ৮ জন ও অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা এবং সরকারী কাজে বাধা দেওয়ায় এস আই সঞ্জয় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত