Ajker Patrika

কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন

নাটোর প্রতিনিধি
কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন

নাটোরের সিংড়ায় কলেজছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। 

আজ বুধবার দুপুরে ১২টার দিকে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (এসপিপি) অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—মো. ছাব্বির আহম্মেদ (৩০), মো. রেজাউনুল রাব্বি (৩১), মো. নাজমুল হক (৩১), মো. রাজিবুল হাসান (৩০), মো. রিপন (৩১) ও মো. শহিদুল (৪০)। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—মো. মনিরুল ইসলাম (৩০), মো. খায়রুল ইসলাম (৩৭), মো. আতাউল ইসলাম আতাউর (৩৪) এবং মো. রেজাউল করিম (৪২)। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে ১৯ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে ভুক্তভোগী জরুরি কাজে কলেজের উদ্দেশে বের হয়। এ সময় পথে পরিচিত সাব্বির আহমেদের সঙ্গে ওই তাঁর দেখা হয়। তখন ভুক্তভোগীকে ফুসলিয়ে বেড়ানোর কথা বলে নাটোরের সিংড়া উপজেলার পেট্রো বাংলা এলাকায় নিয়ে নিয়ে যায় আসামি সাব্বির। সেখানে আসামি নাজমুল হক, মো. রাজিবুল হাসান, মো. রিপন ও মো. শহিদুল ওই কলেজছাত্রীকে বেড়ানোর কথা বলে ভ্যানযোগে কলম মির্জাপুর গ্রামে নিয়ে যায়। পরে রাত হলে ভুক্তভোগী বাড়ি ফেরার কথা বললে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখায় আসামিরা। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আসামি মো. মনিরুল ইসলাম, মো. খায়রুল ইসলাম, মো. আতাউল ইসলাম এবং মো. রেজাউল করিমসহ আরও ২-৩ জন মিলে কলম মির্জাপুর এলাকার ঈদগাহ মাঠে নিয়ে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন বুঝতে পেরে ওই ছাত্রীকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার এবং আসামিদের আটক করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আসামিদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। 

পরে ২০ অক্টোবর সকালে ওই কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সিংড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ মামলায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পর সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুর রহিম ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ সময় একজন নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে খালাস দেন বিজ্ঞ আদালত। 

আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (এসপিপি) অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান জানান, এ ঘটনায় সিংড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়। প্রায় ১০ বছর তদন্ত ও সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত বুধবার দুপুরে এ রায় দেন। এ ছাড়া নাসির হোসেন নামে অপর আসামির এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকায় খালাস দেন আদালত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত