স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে স্বামী কারাগারে

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৩, ১৭: ৪৩

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে স্বামী সিরাজুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে গত বুধবার সকাল ছয়টার দিকে উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের গুডুম্বা পূর্বপাড়া গ্রাম থেকে গৃহবধূ পান্না বিবির (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এদিন বিকেলে গৃহবধূর বাবা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, ১৫ বছর আগে সিরাজুলের সঙ্গে পান্না বিবির বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাঁদের সন্তান না হওয়ায় সিরাজুল ও তাঁর পরিবার পান্নার ওপর নির্যাতন চালাতেন। গত মঙ্গলবার বিকেলে সিরাজুল ও তাঁর স্ত্রী গম মারাইয়ের কাজ করেছিলেন। ওই দিন সন্ধ্যায় সিরাজুল ও তাঁর বড় ভাই আসাদুল ইসলাম মসজিদে শবে বরাতের মিলাদ পড়তে গিয়েছিলেন। মিলাদ শেষে রাত দশটার দিকে বাড়িতে ফিরে দেখেন স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ মেঝেতে পরে আছে।

তাঁরা আরও জানান, মরদেহের নিচে সাদা রঙের পলিথিনের কাগজ বিছানো ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ পরদিন বুধবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত পান্নার স্বামী, ভাশুর আসাদুল ইসলাম, ভাবি মোছা. সাগিরা এবং প্রতিবেশী মাসুদ রানাকে থানায় নিয়ে যায়। নিহতের বাবা থানায় মামলা করলে পুলিশ সিরাজুলকে গ্রেপ্তার করে। বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এদিকে পুলিশের দাবি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও সিরাজুলের রক্তমাখা কাপর উদ্ধার করে।

নিহতের ভাই সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তাঁরা আমার বোনকে মারধর করতেন।’

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও আসামি সিরাজুল ইসলামের রক্তমাখা জামাকাপড় উদ্ধার করেছি। গতকাল তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছি। তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত