রিমন রহমান, রাজশাহী
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষ নির্মাণের কাজ চলছে। হঠাৎ কয়েকজন তরুণ সেখানে হাজির। ঠিকাদারকে বললেন, কাজ করতে হলে তাঁদের ‘খুশি’ করতে হবে। ঠিকাদারও নাছোড়বান্দা, ছোট এই কাজের জন্য তিনি কাউকে চাঁদা দেবেন না। শেষে রেগেমেগে স্কুল প্রাঙ্গণে থাকা দেড় হাজার ইটই নিয়ে গেছেন ওই চাঁদাবাজেরা। এভাবে দিনদুপুরে ইট লুট করায় রাজশাহীর কাটাখালী পৌর এলাকার বেলঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই অফিসকক্ষ নির্মাণের কাজ প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ।
কারা এই ইট লুট করেছে জানতে চাইলে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান বললেন, ‘এই ছেলেগুলা শরীয়তের সঙ্গে মেশে। আমি স্থানীয় লোক। এর চেয়ে বেশি কথা বলতে পারব না।’
কাটাখালী এলাকায় এখন তুমুল আলোচিত নাম শরীয়ত আলী সৈকত। তিনি পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। আর তাঁর ভাই আবু সামা সভাপতি। গত বছরের ২১ মার্চ পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আবু সামাকে সভাপতি ঘোষণা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসার পর থেকেই দুই ভাইয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সবাই। চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। ভয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পান না কেউ।
এদিকে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে এত এত অভিযোগ থাকলেও সে বিষয়ে জানে না পুলিশ। জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘আইন সবার জন্য সমান। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলে আইনগত যে প্রক্রিয়া, সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলেছে, আবু সামা ছিলেন শাটারিং মিস্ত্রি। আর শরীয়ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসার পর দখলদারি করে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন তাঁরা। আবু সামা পড়াশোনা না জানলেও আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ার পরই মাসকাটাদীঘি স্কুল অ্যান্ড কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি হয়েছেন। অথচ তাঁর বিরুদ্ধে কাটাখালী ও মতিহার থানায় চারটি মামলা রয়েছে। কাটাখালী থানায় মামলাগুলো হয়েছে ২০১৯ ও ২০২০ সালে। আর মতিহার থানায় মামলাগুলো হয়েছে ২০১০ ও ২০১৩ সালে। কাটাখালী থানার ২০২০ সালের মামলাটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের। এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি আবু সামা।
সামার ভাই শরীয়তের বিরুদ্ধেও কাটাখালী থানায় তিনটি ও মতিহার থানায় একটি মামলা আছে। মতিহার থানার মামলাটি হয়েছিল ২০১৩ সালে। কাটাখালী থানার তিন মামলা হয়েছে ২০১৯ ও ২০২০ সালে। ২০২০ সালের মামলাটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের।
পুলিশ সূত্র বলেছে, দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে রাজশাহী নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনারকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। ২০১৯ সালে নজরুল ইসলাম নামের এক বালু ব্যবসায়ীকে গুলি করেন শরীয়ত। এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। নজরুল বলেন, তিনি এখনো বিচার পাননি। মুখ খুলতেও সাহস পান না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের পরই রফি আহমেদ নামের এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন শরীয়ত। তিনি ও তাঁর ভাই আবু সামার বিরুদ্ধে কাটাখালী এলাকার মাছের আড়তে দোকান দখলের চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে। পরে অবশ্য ৩৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে রেহাই পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আড়তদার সাদেক আলী বলেন, তাঁদের এখানে সাতজন ব্যবসায়ী সাতটি দোকানঘর কিনে এক যুগ ধরে ব্যবসা করছেন। কয়েক মাস আগে এক ভোরে শরীয়তের লোকজন এসে বলে, এই আড়তে আর কোনো মাছ নামবে না। আড়ত চালাতে হলে তাঁদের একটি দোকানঘর দিতে হবে। পরে আরেক দিন আবু সামা গেলে তাঁর হাতে ৩৫ হাজার টাকা ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আর কেউ দোকান দখল করতে যায়নি।
জাহাঙ্গীর আলম নামের স্থানীয় এক শিক্ষক বলেন, ‘আমি জমি বেচব না। কিন্তু আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে যিনি আছেন, তিনি আমাকে বেচতে বাধ্য করেছেন। তবে আমি কোনো টাকা পাইনি।’ কাটাখালীর বেলঘরিয়া বাজারে টেলিভিশন মেরামতের কাজ করেন জহুরুল ইসলাম বশের। তাঁর অভিযোগ, তাঁর দেড় বিঘা জমি দখল করে নিয়েছেন আবু সামা ও তাঁর ভাই শরীয়ত। সম্প্রতি মারা গেছেন স্থানীয় সাঈদা বিবি নামের এক বৃদ্ধা। তাঁর সৎ মেয়ে জয়গন বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, পিয়ারুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি তাঁর মায়ের সাড়ে ৩ কাঠা জমি কিনতে চান। দলিল লেখকদের কাছে গিয়ে তিনি জমি লিখে নেন। সেখানে টাকার ব্যাগ দেখালেও টাকা দেননি। পিয়ারুল বলেছিলেন, বাড়ি গিয়ে টাকা দেবেন। বাড়ি এসে মাত্র ১৪ হাজার টাকা দেন তিনি। পরে শরীয়ত ওই জমি পিয়ারুলের হয়ে দখল করেন।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন দুলাল বলেন, ‘আবু সামা শাটারিং মিস্ত্রি ছিল। আওয়ামী লীগের নেতা হয়ে এখন সে কলেজের সভাপতি। চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে এমন কোনো অপরাধ নেই যে সে করে না। তার পৃষ্ঠপোষকতায় মাদক ব্যবসাও চলে। বিভিন্ন উপায়ে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে। কাটাখালীর অবস্থা এখন ভালো নয়।’
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। স্কুলের ইট লুটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নই।’ রফি আহমেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একটা বিবাদ মিটিয়ে দিয়েছি মাত্র। চাঁদা আদায় করিনি।’ জহুরুল ইসলাম বশেরের জমি দখলের অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি। আর সাঈদা বিবির জমি দখলের বিষয়ে তিনি বলেন, পিয়ারুলের সঙ্গে সাঈদা ও তাঁর ছেলের আগে কী হয়েছে, তা তিনি জানেন না। পরে তিনি পিয়ারুলের কাছ থেকে জমিটা কিনে নিয়েছেন।
বিভিন্ন অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে আবু সামা মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি কী করি না করি, সে সম্পর্কে সাংবাদিকদের খোঁজ নিতে হবে?’ এর পরই তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে আর ফোন ধরেননি। জানতে চাইলে পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াছিন আলী বলেন, ‘ওরা তো আমার কাছে আসে না। ওরা থাকে এমপির কাছে। ক্ষমতার কাছে থেকেই তো এসব করবে।’
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন বলেন, ‘দুই ভাই কিছুদিন আগে মসজিদের সামনে রাস্তার ওপর দোকান নির্মাণ করেছে বলে শুনেছিলাম। এ ছাড়া কিছু কখনো শুনিনি। আবু সামা অসুস্থ মানুষ, সে এসব করতে পারে না। তবে তার ভাই শরীয়তের ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না।’
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষ নির্মাণের কাজ চলছে। হঠাৎ কয়েকজন তরুণ সেখানে হাজির। ঠিকাদারকে বললেন, কাজ করতে হলে তাঁদের ‘খুশি’ করতে হবে। ঠিকাদারও নাছোড়বান্দা, ছোট এই কাজের জন্য তিনি কাউকে চাঁদা দেবেন না। শেষে রেগেমেগে স্কুল প্রাঙ্গণে থাকা দেড় হাজার ইটই নিয়ে গেছেন ওই চাঁদাবাজেরা। এভাবে দিনদুপুরে ইট লুট করায় রাজশাহীর কাটাখালী পৌর এলাকার বেলঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই অফিসকক্ষ নির্মাণের কাজ প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ।
কারা এই ইট লুট করেছে জানতে চাইলে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান বললেন, ‘এই ছেলেগুলা শরীয়তের সঙ্গে মেশে। আমি স্থানীয় লোক। এর চেয়ে বেশি কথা বলতে পারব না।’
কাটাখালী এলাকায় এখন তুমুল আলোচিত নাম শরীয়ত আলী সৈকত। তিনি পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। আর তাঁর ভাই আবু সামা সভাপতি। গত বছরের ২১ মার্চ পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আবু সামাকে সভাপতি ঘোষণা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসার পর থেকেই দুই ভাইয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সবাই। চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। ভয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পান না কেউ।
এদিকে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে এত এত অভিযোগ থাকলেও সে বিষয়ে জানে না পুলিশ। জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘আইন সবার জন্য সমান। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলে আইনগত যে প্রক্রিয়া, সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলেছে, আবু সামা ছিলেন শাটারিং মিস্ত্রি। আর শরীয়ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসার পর দখলদারি করে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন তাঁরা। আবু সামা পড়াশোনা না জানলেও আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ার পরই মাসকাটাদীঘি স্কুল অ্যান্ড কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি হয়েছেন। অথচ তাঁর বিরুদ্ধে কাটাখালী ও মতিহার থানায় চারটি মামলা রয়েছে। কাটাখালী থানায় মামলাগুলো হয়েছে ২০১৯ ও ২০২০ সালে। আর মতিহার থানায় মামলাগুলো হয়েছে ২০১০ ও ২০১৩ সালে। কাটাখালী থানার ২০২০ সালের মামলাটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের। এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি আবু সামা।
সামার ভাই শরীয়তের বিরুদ্ধেও কাটাখালী থানায় তিনটি ও মতিহার থানায় একটি মামলা আছে। মতিহার থানার মামলাটি হয়েছিল ২০১৩ সালে। কাটাখালী থানার তিন মামলা হয়েছে ২০১৯ ও ২০২০ সালে। ২০২০ সালের মামলাটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের।
পুলিশ সূত্র বলেছে, দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে রাজশাহী নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনারকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। ২০১৯ সালে নজরুল ইসলাম নামের এক বালু ব্যবসায়ীকে গুলি করেন শরীয়ত। এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। নজরুল বলেন, তিনি এখনো বিচার পাননি। মুখ খুলতেও সাহস পান না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের পরই রফি আহমেদ নামের এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন শরীয়ত। তিনি ও তাঁর ভাই আবু সামার বিরুদ্ধে কাটাখালী এলাকার মাছের আড়তে দোকান দখলের চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে। পরে অবশ্য ৩৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে রেহাই পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আড়তদার সাদেক আলী বলেন, তাঁদের এখানে সাতজন ব্যবসায়ী সাতটি দোকানঘর কিনে এক যুগ ধরে ব্যবসা করছেন। কয়েক মাস আগে এক ভোরে শরীয়তের লোকজন এসে বলে, এই আড়তে আর কোনো মাছ নামবে না। আড়ত চালাতে হলে তাঁদের একটি দোকানঘর দিতে হবে। পরে আরেক দিন আবু সামা গেলে তাঁর হাতে ৩৫ হাজার টাকা ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আর কেউ দোকান দখল করতে যায়নি।
জাহাঙ্গীর আলম নামের স্থানীয় এক শিক্ষক বলেন, ‘আমি জমি বেচব না। কিন্তু আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে যিনি আছেন, তিনি আমাকে বেচতে বাধ্য করেছেন। তবে আমি কোনো টাকা পাইনি।’ কাটাখালীর বেলঘরিয়া বাজারে টেলিভিশন মেরামতের কাজ করেন জহুরুল ইসলাম বশের। তাঁর অভিযোগ, তাঁর দেড় বিঘা জমি দখল করে নিয়েছেন আবু সামা ও তাঁর ভাই শরীয়ত। সম্প্রতি মারা গেছেন স্থানীয় সাঈদা বিবি নামের এক বৃদ্ধা। তাঁর সৎ মেয়ে জয়গন বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, পিয়ারুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি তাঁর মায়ের সাড়ে ৩ কাঠা জমি কিনতে চান। দলিল লেখকদের কাছে গিয়ে তিনি জমি লিখে নেন। সেখানে টাকার ব্যাগ দেখালেও টাকা দেননি। পিয়ারুল বলেছিলেন, বাড়ি গিয়ে টাকা দেবেন। বাড়ি এসে মাত্র ১৪ হাজার টাকা দেন তিনি। পরে শরীয়ত ওই জমি পিয়ারুলের হয়ে দখল করেন।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন দুলাল বলেন, ‘আবু সামা শাটারিং মিস্ত্রি ছিল। আওয়ামী লীগের নেতা হয়ে এখন সে কলেজের সভাপতি। চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে এমন কোনো অপরাধ নেই যে সে করে না। তার পৃষ্ঠপোষকতায় মাদক ব্যবসাও চলে। বিভিন্ন উপায়ে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে। কাটাখালীর অবস্থা এখন ভালো নয়।’
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। স্কুলের ইট লুটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নই।’ রফি আহমেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একটা বিবাদ মিটিয়ে দিয়েছি মাত্র। চাঁদা আদায় করিনি।’ জহুরুল ইসলাম বশেরের জমি দখলের অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি। আর সাঈদা বিবির জমি দখলের বিষয়ে তিনি বলেন, পিয়ারুলের সঙ্গে সাঈদা ও তাঁর ছেলের আগে কী হয়েছে, তা তিনি জানেন না। পরে তিনি পিয়ারুলের কাছ থেকে জমিটা কিনে নিয়েছেন।
বিভিন্ন অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে আবু সামা মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি কী করি না করি, সে সম্পর্কে সাংবাদিকদের খোঁজ নিতে হবে?’ এর পরই তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে আর ফোন ধরেননি। জানতে চাইলে পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াছিন আলী বলেন, ‘ওরা তো আমার কাছে আসে না। ওরা থাকে এমপির কাছে। ক্ষমতার কাছে থেকেই তো এসব করবে।’
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন বলেন, ‘দুই ভাই কিছুদিন আগে মসজিদের সামনে রাস্তার ওপর দোকান নির্মাণ করেছে বলে শুনেছিলাম। এ ছাড়া কিছু কখনো শুনিনি। আবু সামা অসুস্থ মানুষ, সে এসব করতে পারে না। তবে তার ভাই শরীয়তের ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না।’
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির সময় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারসহ নিখোঁজ বরগুনার পাথরঘাটার ২৫ জেলে এক বছরেও ফেরেননি। তাঁরা আদৌ বেঁচে আছেন কি-না, জানেন না স্বজনেরা। তবু প্রিয়জনের আশায় বুক বেঁধে নীরব অপেক্ষায় দিন কাটছে এসব জেলের পরিবারের সদস্যদের।
১১ মিনিট আগেঅধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘৫ আগস্টের চার দিন আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর চার দিনও টিকতে পারেনি আওয়ামী লীগ। জনরোষে পড়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা ও তাঁর আত্মীয়স্বজন। তাঁর বিচার জনগণই করবে। তারা নির্বাচনে আসতে পারবে কি না, সেটি জনগণের ওপর নির্ভর করবে...
৪২ মিনিট আগেবগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ভাড়াটিয়া মাবিয়া চার লাখ টাকার চুক্তিতে গৃহবধূ সালমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তবে মাবিয়া চুক্তি করা অটোভ্যানচালক সুমন রবিদাসকে টাকা দেননি।
১ ঘণ্টা আগেপাঁচটি গ্রাম ঘেঁষে সরকারি জলাশয় ডাহার বিল। যুগ যুগ ধরে এ বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন জেলেরা। এ ছাড়া দেশীয় মাছ ধরে আমিষের চাহিদা মেটাত এসব গ্রামের মানুষ। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পৌর এলাকার শালঘরিয়াসহ পাঁচ গ্রামের ৬২ বিঘা খাস জলাশয় ডাহার...
১ ঘণ্টা আগে