Ajker Patrika

হাঁটুপানিতে পাট জাগ, নষ্ট হচ্ছে গুণগত মান

মো. জিল্লুর রহমান রানা, (আটঘরিয়া) পাবনা
হাঁটুপানিতে পাট জাগ, নষ্ট হচ্ছে গুণগত মান

পাবনার আটঘরিয়ায় সনাতন পদ্ধতিতে চলছে পাট জাগ দিয়ে পচানোর কাজ। ফলে পাটের গুণগতমান দিন দিন কমে যাচ্ছে। কৃষকেরা পাটের সঠিক দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় উপজেলার খাল-বিল, নদী-নালা এমনকি পুকুরগুলোর পানিও শুকিয়ে গেছে। ফলে কোন রকম হাঁটু পানিতেই পাট জাগ দিতে হচ্ছে। কম পানিতে পাট জাগ দেওয়ার ফলে পাটের রং কালো হয়ে পাটের গুণগতমান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

আজ সোমবার (২ আগস্ট) উপজেলার আটঘরিয়া বাজারের বিভিন্ন পাটের আড়ত ঘুরে দেখা যায়, যেগুলো নদীতে ধোয়া ভালো মানের পাট সেগুলো ৩৫০০-৩৮০০ টাকায় এবং যেগুলো পুকুর বা ডোবার পানিতে ধোয়া সেগুলো ৩২০০-৩৫০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার দেবোত্তর, একদন্ত. লক্ষীপুর, চাঁদভা, মাজপাড়া ইউনিয়নসহ পৌর এলাকায় চার হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে তোষা জাতের পাট সবচেয়ে বেশি চাষ করা হয়েছে। এ বছর পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬৫ হাজার বেল। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ধরা হয়েছিল ৫২ কোটি টাকা।

সরেজমিনে উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের কয়রাবাড়ি সুতার বিল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় কিছু পাট চাষিরা রাস্তার পাশে পাট জাগ দেওয়ার পর্যাপ্ত পানিযুক্ত স্থান না পেয়ে হাঁটু পানিতে পাট জাগ দিচ্ছেন। পাট চাষিরা বলেন, পাট জাগ দেওয়ার মতো পানি নেই। পাটগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে তাই বাধ্য হয়েই এভাবেই পাটগুলো জাগ দিচ্ছি।

উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের কয়রাবাড়ী, পাটেশ্বর গ্রামের শহিদ সরদার, নান্নু প্রাং, শিহাব বিশ্বাস, নজরুল ইসলাম, রেজাউলসহ বেশ কয়েকজন পাট চাষি অভিযোগ করে বলেন, এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে পাট চাষ করা হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত