গণমাধ্যমে আগুন দেওয়ার হুমকি: প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন বিএনপি নেতা দুলু

নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৪, ২০: ৪৯
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৪, ২২: ৪৯

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি টিভি-পত্রিকায় দেখালে সেসব প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। সমালোচনার মুখে অবশেষে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন তিনি।

আজ বুধবার দুপুরে নাটোর শহরের আলাইপুরে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় সারা দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ক্ষমা চান দুলু।

এর আগে ১৫ আগস্ট দুপুরে একই স্থানে ছাত্র-জনতা হত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিচার দাবিতে আয়োজিত সভায় ভবিষ্যতে টিভি-পত্রিকায় শেখ হাসিনার ছবি প্রচার করা হলে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। এমন বক্তব্যের পর সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

আজ বক্তব্যে চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘সব গণমাধ্যমকর্মীর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে। কিন্তু গত ১৫ আগস্ট যারা আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ নিয়ে সরকারকে টিকিয়ে রেখেছিল, তাদের কথা বলতে গিয়ে মুখ ফসকে সব টিভি-পত্রিকার কথা বলে ফেলেছি। এ জন্য আজকের এই সমাবেশে হাজার হাজার মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, আপনারা যদি দুঃখ পেয়ে থাকেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৬ বছর ধরে সাংবাদিক ভাইদের অনেক কিছুই বলতে দেওয়া হয়নি, লিখতে দেওয়া হয়নি। আমাদের অনুরোধ, আপনারা সাংবাদিকেরা পিলখানা হত্যাকাণ্ড, সাংবাদিক সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ড, হেফাজতে ইসলামের হুজুরদের হত্যাকাণ্ডের লাশ যেভাবে দাফন করা হয়েছে, এগুলো জাতির সামনে উপস্থাপন করবেন।’

রুহুল কুদ্দুস তালুকদার বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বহুবার চেষ্টা করেছে বিএনপিকে ভাঙার। তারা এমন কোনো অত্যাচার, নির্যাতন, মামলা, হামলা—কিছুই বাদ দেয়নি। তারপরও বিএনপির কোটি কোটি ত্যাগী নেতা-কর্মী দলকে দুর্দিনে ভালোবেসে ঐক্যবদ্ধ আছে। অথচ রাষ্ট্রের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার পরও আজ আওয়ামী লীগ শেষ।’

দুলু বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান দলের সব নেতা-কর্মীকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। কেউ যেন প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন না করে, সে ব্যাপারে হুঁশিয়ার করেছেন। এ নির্দেশনা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত