নওগাঁর মান্দায় ছাত্রীর সঙ্গে শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণের অভিযোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

আজ বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে বরখাস্তের আদেশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। গতকাল বুধবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দীক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকের নাম মো. মকলেছুর রহমান। তিনি নহলা কালুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। মকলেছুর রহমান উপজেলার কয়লাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে তিনি নহলা কালুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন।

একই অভিযোগে নুরুল্লাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তাঁকে বাথইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে আমার মেয়ের সঙ্গে অশালীন আচরণ করছিলেন শিক্ষক মকলেছুর রহমান। বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের জানানোর পরও তাঁর আচরণের পরিবর্তন হয়নি। অবশেষে প্রতিকার চেয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেছিলাম।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সহকারী শিক্ষক মকলেছুর রহমানের আচার-আচরণ সন্তোষজনক ছিল না। তাঁকে বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। পরে ছাত্রীর বাবা গত ১৪ মার্চ আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটি যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত সংক্রান্ত একটি পত্র পেয়েছি।’ 

এ প্রসঙ্গে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাশার শামসুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে তিনি একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর সেটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।’

শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাশার শামসুজ্জামান আরও বলেন, ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা মোতাবেক শিক্ষক মকলেছুর রহমানকে ১০মে (বুধবার) থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।’