সাহাদত জামান, সারিয়াকান্দি (বগুড়া)

একেক পরিবার এসেছে একেক জায়গা থেকে। কিন্তু এখন তাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ও সৌহার্দের মেলবন্ধন চোখে পরার মতো। বিভিন্ন গ্রাম ও ইউনিয়ন থেকে আসা ২০৫ টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি নতুন গ্রাম। নাম শাহানবান্দা গুচ্ছগ্রাম।
বগুড়া সারিয়াকান্দির শেরপুরের শাহানবান্দার গুচ্ছগ্রামে ২০৫টি পরিবারের বাস। বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে এসে বসতি গড়লেও নিজেদের মধ্যে গড়ে উঠেছে আলাদা সম্পর্ক। ঈদ উৎসব, বিবাহ বার্ষিকী, বনভোজনসহ নানা ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে তাদের মেলবন্ধন চোখে পরার মতো।
গ্রামটির আশপাশে উর্বর জমি থাকায় বাসিন্দারা ধান, পাট, মরিচ, বেগুনসহ নানা ধরনের ফসল ফলাচ্ছেন। গ্রামটির আশপাশে গোচারণভূমি থাকায় প্রতিটি বাড়ি এক একটি ছোট খামারে পরিণত হয়েছে। তারা পালন করছেন গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, ভেড়া কবুতরসহ নানা ধরনের গৃহপালিত পশু। প্রতিটি পরিবারের মাচায় ধরে আছে লাউ, শিম, বরবটিসহ নানা ধরনের সবজি।
গুচ্ছগ্রামের বুলু মিয়ার সহধর্মিণী শিল্পী বেগম (৪৫) বলেন, হামার চৌদ্দপুরুষের ভিটেমাটি আছিল শেরপুরে। নদী ভাঙার পর হামরা হাসনাপাড়া মানষের জায়গাত এতদিন আছিলেম। এ জন্যে জোতদাররা অনেকসময় হামাগিরেক অনেক কটু কথা কছে। তারগিরেক অনেক কামকাজ করে দিছি হামরা। একন শেখ হাসিনা হামাগিরেক এডা ঘর করে দিছে। দুই শতক নিজের জায়গা পাছি। শেখ হাসিনাক আল্লাহ যেন ভালই করে।
কথা হয় গুচ্ছগ্রামের শাহজাহান আলী (৫৫) সাথে। তিনি জানান, হামার জীবনে ১২ বার বাড়ি ভাঙার পর শেষ আশ্রয় নিছি এই গুচ্ছগ্রামে। হামি ছোটবেলায় বেড়ে উঠছি চালুয়াবাড়ি ফাজিলপুরে। নদী ভাঙার পর ২০০৫ সালে বাড়ি করলাম চালুয়াবাড়ী গ্রামে, সেখান থেকে ২০০৭ সালে বাড়ি করছিলাম শিমুলতাইড় গ্রামে, তারপর বাড়ি করলেম সাঁঘাটা উপজেলার হলুদিয়া ইউনিয়নের গাড়ামারা চরে ২০১০ সালে, সেখান থেকে একই ইউনিয়নের পাতিলমারী চরে বাড়ি করলেম ২০১৩ সালে, সেখান থেকে ২০১৫ সালে আবার আসলেম চালুয়াবাড়ীর গহলাডাঙায়। এরপর তিনি থেমে যান।
শাহজাহান কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে আবার বলেন, হামার পরিবার নিয়ে নৌকাযোগ বাড়ি ফেরার সময় যমুনার স্রোতে হামাগিরে নৌকা ডুবে যায়। সেই নৌকাডুবিতে হামার বউ আর তিন বছরের কোলের ছেলে মারা যায়। ছেলের লাশ সারিয়াকান্দি থানাত পাছিলেম কিন্তু হামার বউয়ের লাশটাও আজও পালেম না। বলতে বলতে কেদে ওঠেন তিনি।
২০১৭ সালে তিনি বাড়ি করেছিলেন হাটশেরপুরের করনজাপাড়ায়। তারপর চালুয়াবাড়ীর সুজাতপুর এভাবে ১২ বার বাড়ী ভাঙার পর তিনি সর্বশেষ আশ্রয় নিয়েছেন এই গুচ্ছগ্রামে।
মৃত ফারাজ প্রাং এর ছেলে মালবর (৭০) বলেন, হামাগিরে ভিটেমাটি আছিল শেরপুরের নয়াপাড়ায়। ১৯৭৩ সালে নদী ভাঙার পর আশ্রয় নিছিলেম শেরপুরের বলিদাপালান বেড়িবাঁধে, তারপর নয়াপাড়া, দিঘাপাড়া, কয়েরখালীপাড়া ইংকে করে নয় বার বাড়ি ভাঙার পর আশ্রয় নিছি এই গুচ্ছগ্রামে। কয়েকদিন আগে হামার মেয়ের বিয়ে দিলেম। সারা গুচ্ছগ্রামের সব মানুষই বিয়েত হামাক বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করছে।
হাটশেরপুর ইউনিয়নের অজিবে (৮০), খাদেজা (৬০)সহ ২০৫টি পরিবার সব হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন গুচ্ছগ্রামে। পেয়েছেন পাকাবাড়ি।
গ্রামটির প্রতিটি পরিবারে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সুবিধা। ফলে গ্রামটি ফ্যান, টিভির শব্দ, জারিগানের আওয়াজ, ছোট ছেলেমেয়েদের নানা ধরনের খেলাসহ তাদের হৈ চৈ ধ্বনিতে মুখরিত থাকে সবসময়। মাটি কেটে উঁচু স্থানে নির্মাণ করায় এখানে বন্যার পানি উঠার কোন সম্ভাবনা নেই। এ বছর এর ধারে কাছে বন্যার পানি ওঠেনি।
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে নির্মিত গ্রামটিতে ১ম পর্যায়ে ৪০টি, ২য় পর্যায়ে ৪৫টি ও পুনর্বাসিত ১২০টি ( টিনসেড) পরিবারের বসতি শাহানবান্দা গুচ্ছগ্রামে। এছাড়া উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ডোমকান্দিতে ৩৩টি, চালুয়াবাড়ী চরে ৪টি, বড়ইকান্দি ৫টি, মাছিরপাড়া ৩টি এবং কাজলার শাহজালাল বাজারে ২৮টি পাকাঘর নির্মাণ করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে নির্মিত সারিয়াকান্দি উপজেলায় ১৫৮টি ঘর নির্মাণ করতে প্রতিটিতে ব্যয় হয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা।
প্রথম ধাপে ১০৭টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫১টি।দুই পর্যায়ে সারিয়াকান্দি উপজেলার মোট ১৫৮টি ঘর মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে নির্মাণ করা হয়েছে এবং দুইশতক জমি কবুলত হস্তান্তর করা হয়েছে।
শাহানবান্দা গুচ্ছগ্রামে সরকারি বরাদ্দের বাইরে প্যালাসাইটিং করা হয়েছে, বেঞ্চ করে দেওয়া হয়েছে, অজুখানা, পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ ও প্রতিবন্ধীদের ফ্যান ক্রয় করে দেওয়া হয়েছে। তাদের বিনোদনের জন্য করা হয়েছে চড়ুইভাতির আয়োজন।
গুচ্ছগ্রামের চারটি দোকান,একটা মসজিদ ও স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ চলছে।
গ্রামটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে, টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকবার খাদ্য সহায়তা এবং নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাসেল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, নদীভাঙনে যেসব মানুষ ভিটেমাটি হারিয়েছেন, যাদের ঘর এবং থাকার জায়গা নেই তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঘর দেয়া হয়েছে। উপজেলার শাহানবান্দা গুচ্ছগ্রাম নতুন হলেও সেখানকার পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর।

একেক পরিবার এসেছে একেক জায়গা থেকে। কিন্তু এখন তাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ও সৌহার্দের মেলবন্ধন চোখে পরার মতো। বিভিন্ন গ্রাম ও ইউনিয়ন থেকে আসা ২০৫ টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি নতুন গ্রাম। নাম শাহানবান্দা গুচ্ছগ্রাম।
বগুড়া সারিয়াকান্দির শেরপুরের শাহানবান্দার গুচ্ছগ্রামে ২০৫টি পরিবারের বাস। বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে এসে বসতি গড়লেও নিজেদের মধ্যে গড়ে উঠেছে আলাদা সম্পর্ক। ঈদ উৎসব, বিবাহ বার্ষিকী, বনভোজনসহ নানা ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে তাদের মেলবন্ধন চোখে পরার মতো।
গ্রামটির আশপাশে উর্বর জমি থাকায় বাসিন্দারা ধান, পাট, মরিচ, বেগুনসহ নানা ধরনের ফসল ফলাচ্ছেন। গ্রামটির আশপাশে গোচারণভূমি থাকায় প্রতিটি বাড়ি এক একটি ছোট খামারে পরিণত হয়েছে। তারা পালন করছেন গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, ভেড়া কবুতরসহ নানা ধরনের গৃহপালিত পশু। প্রতিটি পরিবারের মাচায় ধরে আছে লাউ, শিম, বরবটিসহ নানা ধরনের সবজি।
গুচ্ছগ্রামের বুলু মিয়ার সহধর্মিণী শিল্পী বেগম (৪৫) বলেন, হামার চৌদ্দপুরুষের ভিটেমাটি আছিল শেরপুরে। নদী ভাঙার পর হামরা হাসনাপাড়া মানষের জায়গাত এতদিন আছিলেম। এ জন্যে জোতদাররা অনেকসময় হামাগিরেক অনেক কটু কথা কছে। তারগিরেক অনেক কামকাজ করে দিছি হামরা। একন শেখ হাসিনা হামাগিরেক এডা ঘর করে দিছে। দুই শতক নিজের জায়গা পাছি। শেখ হাসিনাক আল্লাহ যেন ভালই করে।
কথা হয় গুচ্ছগ্রামের শাহজাহান আলী (৫৫) সাথে। তিনি জানান, হামার জীবনে ১২ বার বাড়ি ভাঙার পর শেষ আশ্রয় নিছি এই গুচ্ছগ্রামে। হামি ছোটবেলায় বেড়ে উঠছি চালুয়াবাড়ি ফাজিলপুরে। নদী ভাঙার পর ২০০৫ সালে বাড়ি করলাম চালুয়াবাড়ী গ্রামে, সেখান থেকে ২০০৭ সালে বাড়ি করছিলাম শিমুলতাইড় গ্রামে, তারপর বাড়ি করলেম সাঁঘাটা উপজেলার হলুদিয়া ইউনিয়নের গাড়ামারা চরে ২০১০ সালে, সেখান থেকে একই ইউনিয়নের পাতিলমারী চরে বাড়ি করলেম ২০১৩ সালে, সেখান থেকে ২০১৫ সালে আবার আসলেম চালুয়াবাড়ীর গহলাডাঙায়। এরপর তিনি থেমে যান।
শাহজাহান কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে আবার বলেন, হামার পরিবার নিয়ে নৌকাযোগ বাড়ি ফেরার সময় যমুনার স্রোতে হামাগিরে নৌকা ডুবে যায়। সেই নৌকাডুবিতে হামার বউ আর তিন বছরের কোলের ছেলে মারা যায়। ছেলের লাশ সারিয়াকান্দি থানাত পাছিলেম কিন্তু হামার বউয়ের লাশটাও আজও পালেম না। বলতে বলতে কেদে ওঠেন তিনি।
২০১৭ সালে তিনি বাড়ি করেছিলেন হাটশেরপুরের করনজাপাড়ায়। তারপর চালুয়াবাড়ীর সুজাতপুর এভাবে ১২ বার বাড়ী ভাঙার পর তিনি সর্বশেষ আশ্রয় নিয়েছেন এই গুচ্ছগ্রামে।
মৃত ফারাজ প্রাং এর ছেলে মালবর (৭০) বলেন, হামাগিরে ভিটেমাটি আছিল শেরপুরের নয়াপাড়ায়। ১৯৭৩ সালে নদী ভাঙার পর আশ্রয় নিছিলেম শেরপুরের বলিদাপালান বেড়িবাঁধে, তারপর নয়াপাড়া, দিঘাপাড়া, কয়েরখালীপাড়া ইংকে করে নয় বার বাড়ি ভাঙার পর আশ্রয় নিছি এই গুচ্ছগ্রামে। কয়েকদিন আগে হামার মেয়ের বিয়ে দিলেম। সারা গুচ্ছগ্রামের সব মানুষই বিয়েত হামাক বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করছে।
হাটশেরপুর ইউনিয়নের অজিবে (৮০), খাদেজা (৬০)সহ ২০৫টি পরিবার সব হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন গুচ্ছগ্রামে। পেয়েছেন পাকাবাড়ি।
গ্রামটির প্রতিটি পরিবারে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সুবিধা। ফলে গ্রামটি ফ্যান, টিভির শব্দ, জারিগানের আওয়াজ, ছোট ছেলেমেয়েদের নানা ধরনের খেলাসহ তাদের হৈ চৈ ধ্বনিতে মুখরিত থাকে সবসময়। মাটি কেটে উঁচু স্থানে নির্মাণ করায় এখানে বন্যার পানি উঠার কোন সম্ভাবনা নেই। এ বছর এর ধারে কাছে বন্যার পানি ওঠেনি।
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে নির্মিত গ্রামটিতে ১ম পর্যায়ে ৪০টি, ২য় পর্যায়ে ৪৫টি ও পুনর্বাসিত ১২০টি ( টিনসেড) পরিবারের বসতি শাহানবান্দা গুচ্ছগ্রামে। এছাড়া উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ডোমকান্দিতে ৩৩টি, চালুয়াবাড়ী চরে ৪টি, বড়ইকান্দি ৫টি, মাছিরপাড়া ৩টি এবং কাজলার শাহজালাল বাজারে ২৮টি পাকাঘর নির্মাণ করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে নির্মিত সারিয়াকান্দি উপজেলায় ১৫৮টি ঘর নির্মাণ করতে প্রতিটিতে ব্যয় হয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা।
প্রথম ধাপে ১০৭টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫১টি।দুই পর্যায়ে সারিয়াকান্দি উপজেলার মোট ১৫৮টি ঘর মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে নির্মাণ করা হয়েছে এবং দুইশতক জমি কবুলত হস্তান্তর করা হয়েছে।
শাহানবান্দা গুচ্ছগ্রামে সরকারি বরাদ্দের বাইরে প্যালাসাইটিং করা হয়েছে, বেঞ্চ করে দেওয়া হয়েছে, অজুখানা, পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ ও প্রতিবন্ধীদের ফ্যান ক্রয় করে দেওয়া হয়েছে। তাদের বিনোদনের জন্য করা হয়েছে চড়ুইভাতির আয়োজন।
গুচ্ছগ্রামের চারটি দোকান,একটা মসজিদ ও স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ চলছে।
গ্রামটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে, টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকবার খাদ্য সহায়তা এবং নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাসেল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, নদীভাঙনে যেসব মানুষ ভিটেমাটি হারিয়েছেন, যাদের ঘর এবং থাকার জায়গা নেই তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঘর দেয়া হয়েছে। উপজেলার শাহানবান্দা গুচ্ছগ্রাম নতুন হলেও সেখানকার পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর।
সাহাদত জামান, সারিয়াকান্দি (বগুড়া)

একেক পরিবার এসেছে একেক জায়গা থেকে। কিন্তু এখন তাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ও সৌহার্দের মেলবন্ধন চোখে পরার মতো। বিভিন্ন গ্রাম ও ইউনিয়ন থেকে আসা ২০৫ টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি নতুন গ্রাম। নাম শাহানবান্দা গুচ্ছগ্রাম।
বগুড়া সারিয়াকান্দির শেরপুরের শাহানবান্দার গুচ্ছগ্রামে ২০৫টি পরিবারের বাস। বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে এসে বসতি গড়লেও নিজেদের মধ্যে গড়ে উঠেছে আলাদা সম্পর্ক। ঈদ উৎসব, বিবাহ বার্ষিকী, বনভোজনসহ নানা ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে তাদের মেলবন্ধন চোখে পরার মতো।
গ্রামটির আশপাশে উর্বর জমি থাকায় বাসিন্দারা ধান, পাট, মরিচ, বেগুনসহ নানা ধরনের ফসল ফলাচ্ছেন। গ্রামটির আশপাশে গোচারণভূমি থাকায় প্রতিটি বাড়ি এক একটি ছোট খামারে পরিণত হয়েছে। তারা পালন করছেন গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, ভেড়া কবুতরসহ নানা ধরনের গৃহপালিত পশু। প্রতিটি পরিবারের মাচায় ধরে আছে লাউ, শিম, বরবটিসহ নানা ধরনের সবজি।
গুচ্ছগ্রামের বুলু মিয়ার সহধর্মিণী শিল্পী বেগম (৪৫) বলেন, হামার চৌদ্দপুরুষের ভিটেমাটি আছিল শেরপুরে। নদী ভাঙার পর হামরা হাসনাপাড়া মানষের জায়গাত এতদিন আছিলেম। এ জন্যে জোতদাররা অনেকসময় হামাগিরেক অনেক কটু কথা কছে। তারগিরেক অনেক কামকাজ করে দিছি হামরা। একন শেখ হাসিনা হামাগিরেক এডা ঘর করে দিছে। দুই শতক নিজের জায়গা পাছি। শেখ হাসিনাক আল্লাহ যেন ভালই করে।
কথা হয় গুচ্ছগ্রামের শাহজাহান আলী (৫৫) সাথে। তিনি জানান, হামার জীবনে ১২ বার বাড়ি ভাঙার পর শেষ আশ্রয় নিছি এই গুচ্ছগ্রামে। হামি ছোটবেলায় বেড়ে উঠছি চালুয়াবাড়ি ফাজিলপুরে। নদী ভাঙার পর ২০০৫ সালে বাড়ি করলাম চালুয়াবাড়ী গ্রামে, সেখান থেকে ২০০৭ সালে বাড়ি করছিলাম শিমুলতাইড় গ্রামে, তারপর বাড়ি করলেম সাঁঘাটা উপজেলার হলুদিয়া ইউনিয়নের গাড়ামারা চরে ২০১০ সালে, সেখান থেকে একই ইউনিয়নের পাতিলমারী চরে বাড়ি করলেম ২০১৩ সালে, সেখান থেকে ২০১৫ সালে আবার আসলেম চালুয়াবাড়ীর গহলাডাঙায়। এরপর তিনি থেমে যান।
শাহজাহান কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে আবার বলেন, হামার পরিবার নিয়ে নৌকাযোগ বাড়ি ফেরার সময় যমুনার স্রোতে হামাগিরে নৌকা ডুবে যায়। সেই নৌকাডুবিতে হামার বউ আর তিন বছরের কোলের ছেলে মারা যায়। ছেলের লাশ সারিয়াকান্দি থানাত পাছিলেম কিন্তু হামার বউয়ের লাশটাও আজও পালেম না। বলতে বলতে কেদে ওঠেন তিনি।
২০১৭ সালে তিনি বাড়ি করেছিলেন হাটশেরপুরের করনজাপাড়ায়। তারপর চালুয়াবাড়ীর সুজাতপুর এভাবে ১২ বার বাড়ী ভাঙার পর তিনি সর্বশেষ আশ্রয় নিয়েছেন এই গুচ্ছগ্রামে।
মৃত ফারাজ প্রাং এর ছেলে মালবর (৭০) বলেন, হামাগিরে ভিটেমাটি আছিল শেরপুরের নয়াপাড়ায়। ১৯৭৩ সালে নদী ভাঙার পর আশ্রয় নিছিলেম শেরপুরের বলিদাপালান বেড়িবাঁধে, তারপর নয়াপাড়া, দিঘাপাড়া, কয়েরখালীপাড়া ইংকে করে নয় বার বাড়ি ভাঙার পর আশ্রয় নিছি এই গুচ্ছগ্রামে। কয়েকদিন আগে হামার মেয়ের বিয়ে দিলেম। সারা গুচ্ছগ্রামের সব মানুষই বিয়েত হামাক বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করছে।
হাটশেরপুর ইউনিয়নের অজিবে (৮০), খাদেজা (৬০)সহ ২০৫টি পরিবার সব হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন গুচ্ছগ্রামে। পেয়েছেন পাকাবাড়ি।
গ্রামটির প্রতিটি পরিবারে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সুবিধা। ফলে গ্রামটি ফ্যান, টিভির শব্দ, জারিগানের আওয়াজ, ছোট ছেলেমেয়েদের নানা ধরনের খেলাসহ তাদের হৈ চৈ ধ্বনিতে মুখরিত থাকে সবসময়। মাটি কেটে উঁচু স্থানে নির্মাণ করায় এখানে বন্যার পানি উঠার কোন সম্ভাবনা নেই। এ বছর এর ধারে কাছে বন্যার পানি ওঠেনি।
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে নির্মিত গ্রামটিতে ১ম পর্যায়ে ৪০টি, ২য় পর্যায়ে ৪৫টি ও পুনর্বাসিত ১২০টি ( টিনসেড) পরিবারের বসতি শাহানবান্দা গুচ্ছগ্রামে। এছাড়া উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ডোমকান্দিতে ৩৩টি, চালুয়াবাড়ী চরে ৪টি, বড়ইকান্দি ৫টি, মাছিরপাড়া ৩টি এবং কাজলার শাহজালাল বাজারে ২৮টি পাকাঘর নির্মাণ করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে নির্মিত সারিয়াকান্দি উপজেলায় ১৫৮টি ঘর নির্মাণ করতে প্রতিটিতে ব্যয় হয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা।
প্রথম ধাপে ১০৭টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫১টি।দুই পর্যায়ে সারিয়াকান্দি উপজেলার মোট ১৫৮টি ঘর মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে নির্মাণ করা হয়েছে এবং দুইশতক জমি কবুলত হস্তান্তর করা হয়েছে।
শাহানবান্দা গুচ্ছগ্রামে সরকারি বরাদ্দের বাইরে প্যালাসাইটিং করা হয়েছে, বেঞ্চ করে দেওয়া হয়েছে, অজুখানা, পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ ও প্রতিবন্ধীদের ফ্যান ক্রয় করে দেওয়া হয়েছে। তাদের বিনোদনের জন্য করা হয়েছে চড়ুইভাতির আয়োজন।
গুচ্ছগ্রামের চারটি দোকান,একটা মসজিদ ও স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ চলছে।
গ্রামটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে, টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকবার খাদ্য সহায়তা এবং নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাসেল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, নদীভাঙনে যেসব মানুষ ভিটেমাটি হারিয়েছেন, যাদের ঘর এবং থাকার জায়গা নেই তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঘর দেয়া হয়েছে। উপজেলার শাহানবান্দা গুচ্ছগ্রাম নতুন হলেও সেখানকার পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর।

একেক পরিবার এসেছে একেক জায়গা থেকে। কিন্তু এখন তাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ও সৌহার্দের মেলবন্ধন চোখে পরার মতো। বিভিন্ন গ্রাম ও ইউনিয়ন থেকে আসা ২০৫ টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি নতুন গ্রাম। নাম শাহানবান্দা গুচ্ছগ্রাম।
বগুড়া সারিয়াকান্দির শেরপুরের শাহানবান্দার গুচ্ছগ্রামে ২০৫টি পরিবারের বাস। বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে এসে বসতি গড়লেও নিজেদের মধ্যে গড়ে উঠেছে আলাদা সম্পর্ক। ঈদ উৎসব, বিবাহ বার্ষিকী, বনভোজনসহ নানা ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে তাদের মেলবন্ধন চোখে পরার মতো।
গ্রামটির আশপাশে উর্বর জমি থাকায় বাসিন্দারা ধান, পাট, মরিচ, বেগুনসহ নানা ধরনের ফসল ফলাচ্ছেন। গ্রামটির আশপাশে গোচারণভূমি থাকায় প্রতিটি বাড়ি এক একটি ছোট খামারে পরিণত হয়েছে। তারা পালন করছেন গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, ভেড়া কবুতরসহ নানা ধরনের গৃহপালিত পশু। প্রতিটি পরিবারের মাচায় ধরে আছে লাউ, শিম, বরবটিসহ নানা ধরনের সবজি।
গুচ্ছগ্রামের বুলু মিয়ার সহধর্মিণী শিল্পী বেগম (৪৫) বলেন, হামার চৌদ্দপুরুষের ভিটেমাটি আছিল শেরপুরে। নদী ভাঙার পর হামরা হাসনাপাড়া মানষের জায়গাত এতদিন আছিলেম। এ জন্যে জোতদাররা অনেকসময় হামাগিরেক অনেক কটু কথা কছে। তারগিরেক অনেক কামকাজ করে দিছি হামরা। একন শেখ হাসিনা হামাগিরেক এডা ঘর করে দিছে। দুই শতক নিজের জায়গা পাছি। শেখ হাসিনাক আল্লাহ যেন ভালই করে।
কথা হয় গুচ্ছগ্রামের শাহজাহান আলী (৫৫) সাথে। তিনি জানান, হামার জীবনে ১২ বার বাড়ি ভাঙার পর শেষ আশ্রয় নিছি এই গুচ্ছগ্রামে। হামি ছোটবেলায় বেড়ে উঠছি চালুয়াবাড়ি ফাজিলপুরে। নদী ভাঙার পর ২০০৫ সালে বাড়ি করলাম চালুয়াবাড়ী গ্রামে, সেখান থেকে ২০০৭ সালে বাড়ি করছিলাম শিমুলতাইড় গ্রামে, তারপর বাড়ি করলেম সাঁঘাটা উপজেলার হলুদিয়া ইউনিয়নের গাড়ামারা চরে ২০১০ সালে, সেখান থেকে একই ইউনিয়নের পাতিলমারী চরে বাড়ি করলেম ২০১৩ সালে, সেখান থেকে ২০১৫ সালে আবার আসলেম চালুয়াবাড়ীর গহলাডাঙায়। এরপর তিনি থেমে যান।
শাহজাহান কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে আবার বলেন, হামার পরিবার নিয়ে নৌকাযোগ বাড়ি ফেরার সময় যমুনার স্রোতে হামাগিরে নৌকা ডুবে যায়। সেই নৌকাডুবিতে হামার বউ আর তিন বছরের কোলের ছেলে মারা যায়। ছেলের লাশ সারিয়াকান্দি থানাত পাছিলেম কিন্তু হামার বউয়ের লাশটাও আজও পালেম না। বলতে বলতে কেদে ওঠেন তিনি।
২০১৭ সালে তিনি বাড়ি করেছিলেন হাটশেরপুরের করনজাপাড়ায়। তারপর চালুয়াবাড়ীর সুজাতপুর এভাবে ১২ বার বাড়ী ভাঙার পর তিনি সর্বশেষ আশ্রয় নিয়েছেন এই গুচ্ছগ্রামে।
মৃত ফারাজ প্রাং এর ছেলে মালবর (৭০) বলেন, হামাগিরে ভিটেমাটি আছিল শেরপুরের নয়াপাড়ায়। ১৯৭৩ সালে নদী ভাঙার পর আশ্রয় নিছিলেম শেরপুরের বলিদাপালান বেড়িবাঁধে, তারপর নয়াপাড়া, দিঘাপাড়া, কয়েরখালীপাড়া ইংকে করে নয় বার বাড়ি ভাঙার পর আশ্রয় নিছি এই গুচ্ছগ্রামে। কয়েকদিন আগে হামার মেয়ের বিয়ে দিলেম। সারা গুচ্ছগ্রামের সব মানুষই বিয়েত হামাক বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করছে।
হাটশেরপুর ইউনিয়নের অজিবে (৮০), খাদেজা (৬০)সহ ২০৫টি পরিবার সব হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন গুচ্ছগ্রামে। পেয়েছেন পাকাবাড়ি।
গ্রামটির প্রতিটি পরিবারে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সুবিধা। ফলে গ্রামটি ফ্যান, টিভির শব্দ, জারিগানের আওয়াজ, ছোট ছেলেমেয়েদের নানা ধরনের খেলাসহ তাদের হৈ চৈ ধ্বনিতে মুখরিত থাকে সবসময়। মাটি কেটে উঁচু স্থানে নির্মাণ করায় এখানে বন্যার পানি উঠার কোন সম্ভাবনা নেই। এ বছর এর ধারে কাছে বন্যার পানি ওঠেনি।
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে নির্মিত গ্রামটিতে ১ম পর্যায়ে ৪০টি, ২য় পর্যায়ে ৪৫টি ও পুনর্বাসিত ১২০টি ( টিনসেড) পরিবারের বসতি শাহানবান্দা গুচ্ছগ্রামে। এছাড়া উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ডোমকান্দিতে ৩৩টি, চালুয়াবাড়ী চরে ৪টি, বড়ইকান্দি ৫টি, মাছিরপাড়া ৩টি এবং কাজলার শাহজালাল বাজারে ২৮টি পাকাঘর নির্মাণ করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে নির্মিত সারিয়াকান্দি উপজেলায় ১৫৮টি ঘর নির্মাণ করতে প্রতিটিতে ব্যয় হয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা।
প্রথম ধাপে ১০৭টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫১টি।দুই পর্যায়ে সারিয়াকান্দি উপজেলার মোট ১৫৮টি ঘর মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে নির্মাণ করা হয়েছে এবং দুইশতক জমি কবুলত হস্তান্তর করা হয়েছে।
শাহানবান্দা গুচ্ছগ্রামে সরকারি বরাদ্দের বাইরে প্যালাসাইটিং করা হয়েছে, বেঞ্চ করে দেওয়া হয়েছে, অজুখানা, পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ ও প্রতিবন্ধীদের ফ্যান ক্রয় করে দেওয়া হয়েছে। তাদের বিনোদনের জন্য করা হয়েছে চড়ুইভাতির আয়োজন।
গুচ্ছগ্রামের চারটি দোকান,একটা মসজিদ ও স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ চলছে।
গ্রামটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে, টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকবার খাদ্য সহায়তা এবং নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাসেল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, নদীভাঙনে যেসব মানুষ ভিটেমাটি হারিয়েছেন, যাদের ঘর এবং থাকার জায়গা নেই তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঘর দেয়া হয়েছে। উপজেলার শাহানবান্দা গুচ্ছগ্রাম নতুন হলেও সেখানকার পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির গায়েবানা জানাজা চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) নগরের ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে বিকেল ৪টায় চট্টগ্রামের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন কল্পোলোক আবাসিক জামে মসজিদের খতিব ইমরানুল হক
২ মিনিট আগে
গণ-অভ্যুত্থানের সময় চট্টগ্রামের থানা থেকে লুট হওয়া একটি পিস্তল উদ্ধার এবং এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম সুমন হোসেন (২৮)। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল সুমনকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে নিয়ে গতকাল শুক্রবার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায়
৬ মিনিট আগে
দীর্ঘ ১৫ বছর প্রতীক্ষার পর টাঙ্গাইলের সোনালিয়া করটিয়া স্টেশন উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে ফিতা কেটে ও সবুজ পতাকা নাড়িয়ে এই ট্রেনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক আফজাল হোসেন।
৩১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর নিজ এলাকা ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলাজুড়ে চলছে শোকের মাতম। পরিবার ও এলাকাবাসীর কান্না ও আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। অল্প বয়সে শরিফ ওসমান হাদির এমন মর্মান্তিক মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না স্বজনেরা।
৩৫ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির গায়েবানা জানাজা চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) নগরের ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে বিকেল ৪টায় চট্টগ্রামের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন কল্পোলোক আবাসিক জামে মসজিদের খতিব ইমরানুল হক সায়েম।
জানাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ অসংখ্য মানুষ অংশ নেন। জানাজা শেষে মিছিল নিয়ে নগরের নিউমার্কেট মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
জানাজা আগে সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক জুবায়েরুল ইসলাম মানিক, ইবনে ওমর যায়েদ ও চট্টগ্রাম জুলাই ঐক্যের আহ্বায়ক ইবনে হাসান জিয়াদ।
জুলাই ঐক্যের আহ্বায়ক ইবনে হাসান জিয়াদ বলেন, ‘আমাদের হাদি ভাইয়ের যে দাবি রয়েছে, শহীদ হাদি ভাইয়ের আদর্শকে ধারণ করে আমরা সরকারের কাছে সে দাবিগুলো উত্থাপন করব।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির গায়েবানা জানাজা চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) নগরের ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে বিকেল ৪টায় চট্টগ্রামের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন কল্পোলোক আবাসিক জামে মসজিদের খতিব ইমরানুল হক সায়েম।
জানাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ অসংখ্য মানুষ অংশ নেন। জানাজা শেষে মিছিল নিয়ে নগরের নিউমার্কেট মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
জানাজা আগে সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক জুবায়েরুল ইসলাম মানিক, ইবনে ওমর যায়েদ ও চট্টগ্রাম জুলাই ঐক্যের আহ্বায়ক ইবনে হাসান জিয়াদ।
জুলাই ঐক্যের আহ্বায়ক ইবনে হাসান জিয়াদ বলেন, ‘আমাদের হাদি ভাইয়ের যে দাবি রয়েছে, শহীদ হাদি ভাইয়ের আদর্শকে ধারণ করে আমরা সরকারের কাছে সে দাবিগুলো উত্থাপন করব।’

হামার চৌদ্দপুরুষের ভিটেমাটি আছিল শেরপুরে। নদী ভাঙার পর হামরা হাসনাপাড়া মানষের জায়গাত এতদিন আছিলেম। এ জন্যে জোতদাররা অনেকসময় হামাগিরেক অনেক কটু কথা কছে
২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
গণ-অভ্যুত্থানের সময় চট্টগ্রামের থানা থেকে লুট হওয়া একটি পিস্তল উদ্ধার এবং এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম সুমন হোসেন (২৮)। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল সুমনকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে নিয়ে গতকাল শুক্রবার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায়
৬ মিনিট আগে
দীর্ঘ ১৫ বছর প্রতীক্ষার পর টাঙ্গাইলের সোনালিয়া করটিয়া স্টেশন উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে ফিতা কেটে ও সবুজ পতাকা নাড়িয়ে এই ট্রেনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক আফজাল হোসেন।
৩১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর নিজ এলাকা ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলাজুড়ে চলছে শোকের মাতম। পরিবার ও এলাকাবাসীর কান্না ও আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। অল্প বয়সে শরিফ ওসমান হাদির এমন মর্মান্তিক মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না স্বজনেরা।
৩৫ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

গণ-অভ্যুত্থানের সময় চট্টগ্রামের থানা থেকে লুট হওয়া একটি পিস্তল উদ্ধার এবং এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম সুমন হোসেন (২৮)।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল সুমনকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে নিয়ে গতকাল শুক্রবার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় তাঁর নিজ বাড়ির আঙিনায় মাটি খুঁড়ে পিস্তল ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করে।
আজ শনিবার সিএমপির মুখপাত্র সহকারী কমিশনার আমিনুর রশীদ জানান, পুলিশের অস্ত্র হেফাজতে রাখার গোপন সংবাদ পেয়ে প্রথমে সুমন হোসেনকে রাজধানী ঢাকার শেরে বাংলা নগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশের একটি পিস্তল নিজের হেফাজতে রাখার বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপর সিএমপি ডিবি (পশ্চিম) এর একটি দল লক্ষ্মীপুর সদরে সুমনের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাড়ির আঙিনায় মাটি খুঁড়ে একটি খালি ম্যাগাজিন ও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। মাটির নিচে পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় পিস্তল ও ম্যাগাজিন রাখা হয়েছিল। পিস্তলটি সুমন কীভাবে পেয়েছেন, সে বিষয়ে তিনি সন্তোষজনক জবাব দেননি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অস্ত্র ও ম্যাগাজিনটি পুলিশের। গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানা থেকে ম্যাগাজিনসহ এই বিদেশি পিস্তলটি লুট হয়েছিল। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সুমনের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে।

গণ-অভ্যুত্থানের সময় চট্টগ্রামের থানা থেকে লুট হওয়া একটি পিস্তল উদ্ধার এবং এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম সুমন হোসেন (২৮)।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল সুমনকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে নিয়ে গতকাল শুক্রবার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় তাঁর নিজ বাড়ির আঙিনায় মাটি খুঁড়ে পিস্তল ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করে।
আজ শনিবার সিএমপির মুখপাত্র সহকারী কমিশনার আমিনুর রশীদ জানান, পুলিশের অস্ত্র হেফাজতে রাখার গোপন সংবাদ পেয়ে প্রথমে সুমন হোসেনকে রাজধানী ঢাকার শেরে বাংলা নগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশের একটি পিস্তল নিজের হেফাজতে রাখার বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপর সিএমপি ডিবি (পশ্চিম) এর একটি দল লক্ষ্মীপুর সদরে সুমনের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাড়ির আঙিনায় মাটি খুঁড়ে একটি খালি ম্যাগাজিন ও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। মাটির নিচে পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় পিস্তল ও ম্যাগাজিন রাখা হয়েছিল। পিস্তলটি সুমন কীভাবে পেয়েছেন, সে বিষয়ে তিনি সন্তোষজনক জবাব দেননি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অস্ত্র ও ম্যাগাজিনটি পুলিশের। গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানা থেকে ম্যাগাজিনসহ এই বিদেশি পিস্তলটি লুট হয়েছিল। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সুমনের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে।

হামার চৌদ্দপুরুষের ভিটেমাটি আছিল শেরপুরে। নদী ভাঙার পর হামরা হাসনাপাড়া মানষের জায়গাত এতদিন আছিলেম। এ জন্যে জোতদাররা অনেকসময় হামাগিরেক অনেক কটু কথা কছে
২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির গায়েবানা জানাজা চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) নগরের ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে বিকেল ৪টায় চট্টগ্রামের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন কল্পোলোক আবাসিক জামে মসজিদের খতিব ইমরানুল হক
২ মিনিট আগে
দীর্ঘ ১৫ বছর প্রতীক্ষার পর টাঙ্গাইলের সোনালিয়া করটিয়া স্টেশন উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে ফিতা কেটে ও সবুজ পতাকা নাড়িয়ে এই ট্রেনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক আফজাল হোসেন।
৩১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর নিজ এলাকা ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলাজুড়ে চলছে শোকের মাতম। পরিবার ও এলাকাবাসীর কান্না ও আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। অল্প বয়সে শরিফ ওসমান হাদির এমন মর্মান্তিক মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না স্বজনেরা।
৩৫ মিনিট আগেটাঙ্গাইল প্রতিনিধি

দীর্ঘ ১৫ বছর প্রতীক্ষার পর টাঙ্গাইলের সোনালিয়া করটিয়া স্টেশন উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে ফিতা কেটে ও সবুজ পতাকা নাড়িয়ে এই ট্রেনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক আফজাল হোসেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলুল হক বলেন, ‘স্টেশনটি বাসাইল উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের সোনালিয়া গ্রামে ২০১০ সালের দিকে নির্মিত হয়েছে। এটি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া এলাকার সীমান্তবর্তী। নাম জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে স্টেশনটি চালু হচ্ছিল না। দীর্ঘদিন পর আজ স্টেশনটি চালু হয়েছে। করটিয়া একটি বাণিজ্যিক এলাকা। এখানে সব আন্তনগর ট্রেন থামানোর পাশাপাশি আশপাশের সড়ক উন্নয়নের দাবি করছি। স্টেশনটি চালু হওয়ায় টাঙ্গাইল সদর, বাসাইল ও সখীপুর উপজেলার মানুষের যাতায়াতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন বলেন, উদ্বোধন হওয়া এই রেলস্টেশনে সব আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করলে স্থানীয়রা অধিকতর রেলসেবা ভোগ করতে পারবে। তিনি রেলস্টেশনের সংযোগ সড়ক উন্নয়নের দাবি জানান।
সরকারি সা’দত কলেজের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিনের দাবি আজ পূরণ হয়েছে। এতে করে সা’দত কলেজের শিক্ষার্থীসহ এলাকার বাসিন্দারা এবং করটিয়া হাটের কয়েক লাখ মানুষ যাতায়াতের সুবিধা পাবেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে একটি ট্রেন দিয়ে যাত্রা শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এ ছাড়া টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রেলপথে নিরাপত্তা জোরদারের কথাও জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে পাকশী বিভাগের ব্যবস্থাপক লিয়াকত আলী খান শরিফ, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা গৌতম কুমার কুণ্ডু, করটিয়ার জমিদার সাবেক সংসদ সদস্য মোর্শেদ আলী খান পন্নী, এইচ এম ইনস্টিটিউট অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

দীর্ঘ ১৫ বছর প্রতীক্ষার পর টাঙ্গাইলের সোনালিয়া করটিয়া স্টেশন উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে ফিতা কেটে ও সবুজ পতাকা নাড়িয়ে এই ট্রেনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক আফজাল হোসেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলুল হক বলেন, ‘স্টেশনটি বাসাইল উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের সোনালিয়া গ্রামে ২০১০ সালের দিকে নির্মিত হয়েছে। এটি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া এলাকার সীমান্তবর্তী। নাম জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে স্টেশনটি চালু হচ্ছিল না। দীর্ঘদিন পর আজ স্টেশনটি চালু হয়েছে। করটিয়া একটি বাণিজ্যিক এলাকা। এখানে সব আন্তনগর ট্রেন থামানোর পাশাপাশি আশপাশের সড়ক উন্নয়নের দাবি করছি। স্টেশনটি চালু হওয়ায় টাঙ্গাইল সদর, বাসাইল ও সখীপুর উপজেলার মানুষের যাতায়াতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন বলেন, উদ্বোধন হওয়া এই রেলস্টেশনে সব আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করলে স্থানীয়রা অধিকতর রেলসেবা ভোগ করতে পারবে। তিনি রেলস্টেশনের সংযোগ সড়ক উন্নয়নের দাবি জানান।
সরকারি সা’দত কলেজের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিনের দাবি আজ পূরণ হয়েছে। এতে করে সা’দত কলেজের শিক্ষার্থীসহ এলাকার বাসিন্দারা এবং করটিয়া হাটের কয়েক লাখ মানুষ যাতায়াতের সুবিধা পাবেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে একটি ট্রেন দিয়ে যাত্রা শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এ ছাড়া টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রেলপথে নিরাপত্তা জোরদারের কথাও জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে পাকশী বিভাগের ব্যবস্থাপক লিয়াকত আলী খান শরিফ, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা গৌতম কুমার কুণ্ডু, করটিয়ার জমিদার সাবেক সংসদ সদস্য মোর্শেদ আলী খান পন্নী, এইচ এম ইনস্টিটিউট অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

হামার চৌদ্দপুরুষের ভিটেমাটি আছিল শেরপুরে। নদী ভাঙার পর হামরা হাসনাপাড়া মানষের জায়গাত এতদিন আছিলেম। এ জন্যে জোতদাররা অনেকসময় হামাগিরেক অনেক কটু কথা কছে
২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির গায়েবানা জানাজা চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) নগরের ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে বিকেল ৪টায় চট্টগ্রামের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন কল্পোলোক আবাসিক জামে মসজিদের খতিব ইমরানুল হক
২ মিনিট আগে
গণ-অভ্যুত্থানের সময় চট্টগ্রামের থানা থেকে লুট হওয়া একটি পিস্তল উদ্ধার এবং এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম সুমন হোসেন (২৮)। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল সুমনকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে নিয়ে গতকাল শুক্রবার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায়
৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর নিজ এলাকা ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলাজুড়ে চলছে শোকের মাতম। পরিবার ও এলাকাবাসীর কান্না ও আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। অল্প বয়সে শরিফ ওসমান হাদির এমন মর্মান্তিক মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না স্বজনেরা।
৩৫ মিনিট আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর নিজ এলাকা ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলাজুড়ে চলছে শোকের মাতম। পরিবার ও এলাকাবাসীর কান্না ও আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। অল্প বয়সে শরিফ ওসমান হাদির এমন মর্মান্তিক মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না স্বজনেরা।
শরিফ ওসমান হাদির স্মরণে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নলছিটি উপজেলা ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে উপজেলার সব দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়। পাশাপাশি সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
এই উপলক্ষে সকালে নলছিটি উপজেলা ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে শহরে মাইকিং করা হয়।
নলছিটি পৌর বস্ত্র ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি নেওয়াজ হোসাইন বলেন, নলছিটি উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে সব ব্যবসায়ীরা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির প্রতি সম্মান জানিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেছেন। তিনি আরও বলেন, জাতীয় বীর শরিফ ওসমান হাদির পরিচিতি ও সুখ্যাতি এখন আর শুধু নলছিটিতে সীমাবদ্ধ নয়, তা সারা দেশে এবং বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।
ব্যবসায়ী শাহাদাত ফকির, রফিকুল ইসলাম ও জিয়াউল কবীর মিঠু বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদি একজন জাতীয় বীর। তাঁর জন্মভূমি নলছিটি হওয়ায় আমরা গর্বিত। তাঁর স্মরণে ব্যবসায়ী সমিতির এই উদ্যোগকে আমরা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর নিজ এলাকা ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলাজুড়ে চলছে শোকের মাতম। পরিবার ও এলাকাবাসীর কান্না ও আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। অল্প বয়সে শরিফ ওসমান হাদির এমন মর্মান্তিক মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না স্বজনেরা।
শরিফ ওসমান হাদির স্মরণে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নলছিটি উপজেলা ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে উপজেলার সব দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়। পাশাপাশি সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
এই উপলক্ষে সকালে নলছিটি উপজেলা ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে শহরে মাইকিং করা হয়।
নলছিটি পৌর বস্ত্র ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি নেওয়াজ হোসাইন বলেন, নলছিটি উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে সব ব্যবসায়ীরা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির প্রতি সম্মান জানিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেছেন। তিনি আরও বলেন, জাতীয় বীর শরিফ ওসমান হাদির পরিচিতি ও সুখ্যাতি এখন আর শুধু নলছিটিতে সীমাবদ্ধ নয়, তা সারা দেশে এবং বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।
ব্যবসায়ী শাহাদাত ফকির, রফিকুল ইসলাম ও জিয়াউল কবীর মিঠু বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদি একজন জাতীয় বীর। তাঁর জন্মভূমি নলছিটি হওয়ায় আমরা গর্বিত। তাঁর স্মরণে ব্যবসায়ী সমিতির এই উদ্যোগকে আমরা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।’

হামার চৌদ্দপুরুষের ভিটেমাটি আছিল শেরপুরে। নদী ভাঙার পর হামরা হাসনাপাড়া মানষের জায়গাত এতদিন আছিলেম। এ জন্যে জোতদাররা অনেকসময় হামাগিরেক অনেক কটু কথা কছে
২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির গায়েবানা জানাজা চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) নগরের ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে বিকেল ৪টায় চট্টগ্রামের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন কল্পোলোক আবাসিক জামে মসজিদের খতিব ইমরানুল হক
২ মিনিট আগে
গণ-অভ্যুত্থানের সময় চট্টগ্রামের থানা থেকে লুট হওয়া একটি পিস্তল উদ্ধার এবং এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম সুমন হোসেন (২৮)। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল সুমনকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে নিয়ে গতকাল শুক্রবার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায়
৬ মিনিট আগে
দীর্ঘ ১৫ বছর প্রতীক্ষার পর টাঙ্গাইলের সোনালিয়া করটিয়া স্টেশন উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে ফিতা কেটে ও সবুজ পতাকা নাড়িয়ে এই ট্রেনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক আফজাল হোসেন।
৩১ মিনিট আগে