বগুড়া প্রতিনিধি
গাবতলী ও শাজাহানপুর উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বগুড়া-৭ আসন। এই আসনের গাবতলী উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামে জন্মেছিলেন বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বীর উত্তম জিয়াউর রহমান। সংগত কারণেই আসনটি বিএনপি অধ্যুষিত। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বরাবরই এই আসনে প্রার্থী হয়ে থাকেন। তবে এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না দলটি। সেই সুযোগে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে জেলার সর্বোচ্চ সংখ্যক ২৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। পশু চিকিৎসক থেকে শুরু করে সাংবাদিকও প্রার্থী হয়েছেন।
এই আসনে এত বেশি প্রার্থী প্রসঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের জন্মস্থানের আসনে বিএনপি নির্বাচনে না থাকায়, ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার আশায়, পশু চিকিৎসক থেকে শুরু করে সাংবাদিকও প্রার্থী হয়েছেন।’
আর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোস্তফা আলমের দাবি, এত বেশি প্রার্থী হওয়া গণতন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। সরকারের প্রতি আস্থা আছে বলেই ২৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলেও দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। আর আওয়ামী লীগ মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টিকে মনোনয়ন দেয়। বিএনপির কোনো প্রার্থী না থাকায় দল থেকে ভোট গ্রহণের আগের দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম বাবলুকে সমর্থন দেওয়া হয়। তিনি এক লাখ ৯৮ হাজার ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বিএনপিতে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও আর যোগ দেননি।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনেও বর্তমান সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগ এবার তাঁদের দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছেন। জাতীয় পার্টিও আলাদা প্রার্থী দিয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে ছোট ছোট বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপির সাবেক নেতা, দুজন সাংবাদিক, একজন গ্রাম্য পশু চিকিৎসক।
গাবতলী উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মিন্টু বলেন, ‘আমি বিএনপির নেতা এবং চেয়ারম্যান ছিলাম। আমার সঙ্গে বিএনপির লোকজন আছে। এ ছাড়া এই আসন বিএনপি অধ্যুষিত। এসব কারণে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। বিএনপি ভোটে না আসার কারণে আমি সুযোগ নিলাম।’
গাবতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের শিকার হয়ে আওয়ামী লীগের কোনো পদে নাই। আমিও মহিষবান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলাম। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লোকজন আমার সঙ্গে আছে। এ কারণেই স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছি। সরাসরি বিএনপির দলীয় প্রার্থী নাই। এ কারণে নির্বাচিত হওয়ার আশায় প্রার্থীর সংখ্যাও বেশি।’
বগুড়া-৭ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপিতে যোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের সমর্থন নিয়ে নির্বাচিত হয়েছি এ কথা ঠিক। কিন্তু নির্বাচনের পর বিএনপির পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। এ কারণে বিএনপিতে যোগ দেওয়া হয়নি। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করলেও তাঁরা আমাকে কিছুই বলেননি। আমাকে পদত্যাগ করতে বললে আমিও পদত্যাগ করতাম।
রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘এবার কোনো দলের সমর্থন প্রয়োজন হবে না। কারণ গত পাঁচ বছরে এক হাজার ৭০০ কোটি টাকার বরাদ্দ এনেছি নির্বাচনী এলাকায়। এ ছাড়া বিএনপি, আওয়ামী লীগ ছাড়াও বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীর সমর্থন রয়েছে। বিএনপি ভোটে না থাকার সুযোগে ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার জন্যই এত প্রার্থীর আনাগোনা এই আসনে।’
উল্লেখ্য, বগুড়ার ১২টি উপজেলা নিয়ে সাতটি সংসদীয় আসন। এই আসনগুলোতে মোট ৮৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বগুড়া-৭ আসনে।
গাবতলী ও শাজাহানপুর উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বগুড়া-৭ আসন। এই আসনের গাবতলী উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামে জন্মেছিলেন বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বীর উত্তম জিয়াউর রহমান। সংগত কারণেই আসনটি বিএনপি অধ্যুষিত। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বরাবরই এই আসনে প্রার্থী হয়ে থাকেন। তবে এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না দলটি। সেই সুযোগে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে জেলার সর্বোচ্চ সংখ্যক ২৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। পশু চিকিৎসক থেকে শুরু করে সাংবাদিকও প্রার্থী হয়েছেন।
এই আসনে এত বেশি প্রার্থী প্রসঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের জন্মস্থানের আসনে বিএনপি নির্বাচনে না থাকায়, ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার আশায়, পশু চিকিৎসক থেকে শুরু করে সাংবাদিকও প্রার্থী হয়েছেন।’
আর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোস্তফা আলমের দাবি, এত বেশি প্রার্থী হওয়া গণতন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। সরকারের প্রতি আস্থা আছে বলেই ২৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলেও দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। আর আওয়ামী লীগ মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টিকে মনোনয়ন দেয়। বিএনপির কোনো প্রার্থী না থাকায় দল থেকে ভোট গ্রহণের আগের দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম বাবলুকে সমর্থন দেওয়া হয়। তিনি এক লাখ ৯৮ হাজার ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বিএনপিতে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও আর যোগ দেননি।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনেও বর্তমান সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগ এবার তাঁদের দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছেন। জাতীয় পার্টিও আলাদা প্রার্থী দিয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে ছোট ছোট বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপির সাবেক নেতা, দুজন সাংবাদিক, একজন গ্রাম্য পশু চিকিৎসক।
গাবতলী উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মিন্টু বলেন, ‘আমি বিএনপির নেতা এবং চেয়ারম্যান ছিলাম। আমার সঙ্গে বিএনপির লোকজন আছে। এ ছাড়া এই আসন বিএনপি অধ্যুষিত। এসব কারণে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। বিএনপি ভোটে না আসার কারণে আমি সুযোগ নিলাম।’
গাবতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের শিকার হয়ে আওয়ামী লীগের কোনো পদে নাই। আমিও মহিষবান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলাম। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লোকজন আমার সঙ্গে আছে। এ কারণেই স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছি। সরাসরি বিএনপির দলীয় প্রার্থী নাই। এ কারণে নির্বাচিত হওয়ার আশায় প্রার্থীর সংখ্যাও বেশি।’
বগুড়া-৭ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপিতে যোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের সমর্থন নিয়ে নির্বাচিত হয়েছি এ কথা ঠিক। কিন্তু নির্বাচনের পর বিএনপির পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। এ কারণে বিএনপিতে যোগ দেওয়া হয়নি। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করলেও তাঁরা আমাকে কিছুই বলেননি। আমাকে পদত্যাগ করতে বললে আমিও পদত্যাগ করতাম।
রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘এবার কোনো দলের সমর্থন প্রয়োজন হবে না। কারণ গত পাঁচ বছরে এক হাজার ৭০০ কোটি টাকার বরাদ্দ এনেছি নির্বাচনী এলাকায়। এ ছাড়া বিএনপি, আওয়ামী লীগ ছাড়াও বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীর সমর্থন রয়েছে। বিএনপি ভোটে না থাকার সুযোগে ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার জন্যই এত প্রার্থীর আনাগোনা এই আসনে।’
উল্লেখ্য, বগুড়ার ১২টি উপজেলা নিয়ে সাতটি সংসদীয় আসন। এই আসনগুলোতে মোট ৮৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বগুড়া-৭ আসনে।
মূল সড়কে অটোরিকশা চালানোর দাবিতে রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় চালকেরা বিক্ষোভ করলে মারধরের শিকার হয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা তাঁদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেন। আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে...
৯ মিনিট আগেকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
১ ঘণ্টা আগেরংপুর বিভাগীয় সনাতনী সমাবেশস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মাহীগঞ্জ কলেজ মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে...
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল...
১ ঘণ্টা আগে