Ajker Patrika

কাজিরহাটে ফেরিসংকট, যানজট এড়াতে বঙ্গবন্ধু সেতু ব্যবহারের পরামর্শ

বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ মে ২০২২, ২২: ১৩
কাজিরহাটে ফেরিসংকট, যানজট এড়াতে বঙ্গবন্ধু সেতু ব্যবহারের পরামর্শ

পাবনার বেড়া উপজেলার কাজিরহাট ও মানিকগঞ্জের শিবালয়ের আরিচা নৌপথে গত তিন দিন ধরে চলছে তীব্র ফেরিসংকট। ফেরিসংকটের কারণে কাজিরহাট অংশে সৃষ্টি হয়েছে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের। এ সময় বিড়ম্বনা এড়াতে এই রুট ব্যবহারকারী যানবাহনকে যমুনা সেতু ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিআইডব্লিউটিসির পক্ষ থেকে। 

দুই দিন ধরে একটি মাত্র ফেরি দিয়ে কাজিরহাট-আরিচা নৌরুট সচল রাখা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে আরেকটি ফেরি যোগ করে সংকট কাটানোর চেষ্টা চালায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা বিআইডব্লিউটিসি।

মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, কাজিরহাট টার্মিনাল থেকে পশ্চিম দিকে বাঁধের হাট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা ধরে বিভিন্ন পণ্য পরিবহনকারী যানবাহন সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কেউ দুই দিন আবার কেউ তিন দিন ধরে অবস্থান করেও তাঁদের যানবাহনটি ফেরিতে তুলতে সক্ষম হননি। 

যমুনা সেতু ব্যবহার না করে ঘাটে আসার কারণ হিসেবে ট্রাক ড্রাইভার হারুন আলী বলেন, ‘অতিরিক্ত পণ্য পরিবহনের কারণে যমুনা সেতু এড়িয়ে চলি। তা ছাড়া এ নৌপথ ব্যবহার করলে অনেক পথ কমে আসে এবং জ্বালানি সাশ্রয় হয়। সব মিলিয়ে ভাগ্য ভালো থাকলে ঘাটে জ্যামে আটকা না পড়লে অনেক টাকা বাঁচে।’ জানে আলম নামের অপর ট্রাক ড্রাইভার বলেন, ‘দুই দিন ধরে পণ্য নিয়ে রাস্তার মধ্যে রাত জাগতে হচ্ছে। পণ্য চুরির ভয়ে সব সময় পাহারা দিতে হচ্ছে।’

কাজিরহাট টার্মিনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট আবুল হাসনাইন জানান, দুই দিন ধরে ঘাটে তিন শতাধিক গাড়ির সারি পড়েছিল। আজও ঘাটে দুই শতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিদিনই এক দেড় শ গাড়ি যোগ হচ্ছে অপেক্ষমাণ সারিতে। 

কাজিরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক ও বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, দুই দিন ধরে মাত্র একটি ফেরি ‘কদম’ দিয়ে ধীর গতিতে চলেছিল ট্রাক পারাপার। এতে ঘাটে তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাকের জ্যাম সৃষ্টি হয়। গত সপ্তাহে আকস্মিক নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে দ্বিতীয় পন্টুনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ফলে ওই পন্টুনটিতে ফেরি ভিড়তে পারছিল না। সোমবার রাতে সেই পন্টুনটির মেরামত শেষ হলে মঙ্গলবার সকাল থেকে পন্টুনটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন ফেরি ‘বেগম সুফিয়া কামাল’ ও ‘কদম’ দিয়ে পরিবহন পারাপার করা হচ্ছে। তাতে তিন শতাধিক গাড়ির সারি এখন দুই শতাধিকে নেমে এসেছে।’ 

মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ‘অধিকসংখ্যক যানবাহন টানতে সক্ষম ড্যাম্প ফেরি “রানি ক্ষেত” নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় চলতে পারছে না। এ ছাড়া ড্যাম্প ফেরি “কপোতির” ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে মেরামতের জন্য আরিচা ঘাটে অবস্থান করছে। আপাতত পরিবহনগুলোকে এ নৌপথ ব্যবহার না করে যমুনা সেতু ব্যবহারের কথা বলা হলেও তারা তা মানছে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত