Ajker Patrika

নাটোরে মারধরে আহত যুবলীগ নেতার মৃত্যু, অভিযোগের তির বিএনপির দিকে

নাটোর প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৭: ১২
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নাটোরে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন যুবলীগ নেতা সাইদুর রহমান (৫৫)। গতকাল বুধবার বিকেলের পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা যান তিনি। সাইদুর রহমানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত সাইদুর রহমানের ভাই শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সাইদুর রহমান সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নে ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।

শহিদুল ইসলাম জানান, বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে সাইদুর রহমানকে বেধড়ক মারপিটের পর গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় বিএনপির নেতা–কর্মীরা তাঁর ভাইকে মারধর করেছেন।

রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মোশাররফ হোসেন সাইদুর রহমানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘খন্দকার সাইদুর রহমান বুধবার বিকেল পাঁচটায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত সাইদুর রহমান বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একচেটিয়াভাবে বিভিন্ন পুকুর ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করতেন। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে তাঁর বিরোধ দেখা দেয়। এরই জেরে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাইদুর রহমান বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে এলাকার ক্ষুব্ধ লোকজন। তখন তিনি সপরিবারে আত্মগোপনে চলে যান।

সূত্র আরও জানিয়েছে, গত অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে গোপনে নিজ এলাকায় এসে একটি নির্জন পুরোনো বাড়িতে অবস্থান নেন সাইদুর রহমান। এলাকায় তাঁর উপস্থিতি টের পেয়ে ক্ষুব্ধ লোকজন গত ২৯ অক্টোবর সকালে সাইদুরকে ধরতে ওই বাড়ি ঘেরাও করলেও কৌশলে পালিয়ে যান তিনি।

পরদিন দুপুরে কয়েকজন যুবক সাইদুর রহমানকে নাটোর শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড় থেকে তুলে নিয়ে তাঁর এলাকা দরাপপুর বাজারের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে প্রকাশ্যে পেটায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে নাটোর আধুনিক সদর ভর্তি করা হলে চিকিৎসকেরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার মারা যান তিনি।

সাইদুরের ছোট ভাই শহিদুল ইসলামের অভিযোগ, তাঁর ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে স্থানীয় বিএনপি কর্মী কাঙালের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে পেটানো হয়। বিএনপিকর্মীদের ভয়ে পরিবারের লোকজন আত্মগোপনে থাকার পরও আতঙ্কে আছে। তাঁরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করার মতো অবস্থাতেও নেই।

জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালু বলেন, ‘নৃশংস ও নির্দয়ভাবে আমাদের কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার ও তদন্ত দাবি করছি।’

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত বিএনপি কর্মী কাঙালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয় ও জেলা বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাসা ভাড়ার টাকা নেই, অফিসের টয়লেটেই থাকছেন চীনা তরুণী

ঈদের মোনাজাতে খালেদা জিয়ার নাম না বলায় ইমামকে হেনস্তা, চাকরিচ্যুতির হুমকি

ঈদগাহে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান: আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫

কোম্পানি দেউলিয়া, দেড় কোটি মানুষের ডিএনএ ডেটার এখন কী হবে

ঈদের নামাজের মধ্যে ইমামকে হত্যাচেষ্টা, চাপাতিসহ যুবক আটক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত