চার কিলোমিটার রাস্তা যেন কর্দমাক্ত গভীর খাল

প্রতিনিধি, কালাই (জয়পুরহাট)
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২১, ২০: ২৬
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২১, ২০: ৩৫

আঁওড়া থেকে গংগাদাসপুর প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার রাস্তা। প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষে এই পথে চলাচল করেন। কিন্তু রাস্তাটি দেখলে আর চেনার উপায় নেই। বর্ষায় কর্দমাক্ত গভীর খালে পরিণত হয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, এই রাস্তা ব্রিটিশ আমলের। রাস্তাটি জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। বিগত দিনের অন্তত সাত এমপি এই রাস্তা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর মধ্যে জয়পুরহাট-২ আসনের বিএনপি মনোনীত আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমান চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও রাস্তাটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেননি। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আঁওড়া থেকে গংগাদাসপুর যাওয়ার প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার রাস্তার ধারে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি কলেজ, একটি পোস্ট অফিস এবং একটি বাজার রয়েছে। এছাড়া কালের সাক্ষী নান্দাইল দীঘিও এখানে অবস্থিত। এই রাস্তা দিয়ে উৎরাইল, গোহারা, মোহাইল, জগডুম্বর, তালখুর, মাস্তর, শুঁটকিগাড়ী, গংগাদাসপুরের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। 

জয়পুরহাট-২ আসনের এমপি হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন সম্প্রতি এই রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেন। ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন তিনি। কিন্তু উদ্বোধনের পর প্রায় দুই বছরেও রাস্তার মাটি কাটার কাজ শেষ হয়নি। চলতি বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। 

উপজেলার মোহাইল গ্রামের হাফিজার রহমান বলেন, ‘রাস্তা কাঁচা থাকার কারণে ধান নষ্ট হয়ে যাওচে, আলু পচে যাওচে। ফসল বেচতে না পারলে সংসার চালামু ক্যামন করে।’ 

ভ্যানচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘রাস্তা খারাপ, ভ্যান চালান পারোচি না। আমার পরিবারের ছয় সদস্য। একমাত্র আমার রোজগারে সংসার চলে। ইংক্যা রাস্তার অবস্থা থাকলে, না খায়ে মরা লাগবে।’ 

কালাই উপজেলা সদরের সঙ্গে রাস্তাটির সংযোগ। এই রাস্তা পাকা না হওয়ায় যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এখন তো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ফলে কৃষি পণ্য পরিবহন সম্ভব হচ্ছে না। কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। 

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদ ময়েন উদ্দিন (বাসী) ও মেসার্স মাছুমা বেগম এই রাস্তার পাকাকরণের কাজ পেয়েছে। রাস্তার কাজের উদ্বোধন হয়েছে ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর কাজ সম্পন্ন করার কথা। অর্থাৎ সে হিসাবে হাতে আছে আর মাত্র দুই মাস। অথচ মাটি কাটার কাজই শেষ হয়নি। 

এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার আব্দুল মান্নানের ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। রাস্তাটির সংস্কার কাজ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কালাই উপজেলার স্থানীয় সরকারের প্রকৌশলী (এলজিইডি) সিরাজুল ইসলাম। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

ভারতের পাল্টা আক্রমণে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা কলেজে সংঘর্ষকালে বোমা বিস্ফোরণের ছিটকে পড়েন সেনাসদস্য—ভাইরাল ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা

ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের খবরে মুখ খুললেন অমিতাভ

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত