Ajker Patrika

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: ৬ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীসহ ৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

রাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১৯: ০৪
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: ৬ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীসহ ৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছয় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া পাঁচ ছাত্রলীগ নেতাসহ ২১ জনকে সতর্ক করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাঁদের বিরুদ্ধে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

এর আগে, গত ১৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। একই মাসের ২২ তারিখে ৫২৫তম সিন্ডিকেট সভায় তা গৃহীত হয়।

বহিষ্কৃতদের মধ্যে একজনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুল্লাহ। তিনি ইতিমধ্যে বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। ২০২২ সালের জুনে একই বিভাগের এক শিক্ষিকার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠে আশিকুল্লাহর বিরুদ্ধে। সে সময় তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে সেই অভিযোগেই তাঁকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়।

বাকি আটজন সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছয় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির বহিষ্কৃত সহসম্পাদক হাসিবুল ইসলাম শান্ত, সদ্য সাবেক কমিটির সহসম্পাদক মো. স্বপন হোসাইন, আইবিএ ছাত্রলীগের সভাপতি আবু সিনহা, শেরেবাংলা হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহাম্মেদ, কর্মী মো. শাকোয়ান সিদ্দিক ও মহিবুল মমিন সনেট।

চলতি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত হাসিবুল ইসলাম শান্তকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তবিভাগ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স বিভাগের এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় আইবিএ ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে আবু সিনহাকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

অন্য দুই বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন গণিত বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সানজিদ হাসান আরিফ এবং একই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. হাফিজুর রহমান। তাঁদের এক বছরের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ২০২১-২২ সালের ভর্তি জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন আল শামস তামিম, ইয়াসির আরাফাত, নজরুল ইসলাম, ফজলুল করিম মাহিন, শাফিউল্লাহ, আলিফ হোসেন ও শিশির। তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। রায় হলে পরবর্তীকালে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অপর দিকে মতিহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ থাকার পরও শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ভাস্কর সাহাকে সতর্ক করেছে প্রশাসন।

এ ছাড়া হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কৃষ্ণ রায়কে মারধর ও ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকির ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেতাকে সতর্ক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এই দুই নেতা হলেন ওই হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সোলাইমান। এ ছাড়া একজনকে হল থেকে বহিষ্কার ও ২১ জনকে সতর্ক এবং দুজনকে ক্ষমা করতে বলা হয়েছে অফিস আদেশে।

সার্বিক বিষয়ে শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হক বলেন, শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজের মাত্রা অনুযায়ী কারও আবাসিকতা বাতিল, সাময়িক ছাত্রত্ব বাতিল ও সতর্ক করার সুপারিশ করা হয়েছিল। সিন্ডিকেট সভায় সুপারিশগুলো গৃহীত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জাতীয় নির্বাচন: ভোট কমিটির নেতৃত্বে ডিসি–ইউএনওকে না রাখার চিন্তা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিলুপ্তের সিদ্ধান্ত হয়নি, নাহিদের মন্তব্যের জবাবে উমামা

আ.লীগ নেতার গ্রেপ্তার নিয়ে রাজশাহীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

মাগুরার শিশুটি এখনো অচেতন, চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

ঈদে পুলিশের সহযোগী ফোর্স হবে বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী, পাবে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত