নাটোর প্রতিনিধি
সাদা পোশাকে ট্রেন যাত্রী র্যাবের এক সদস্যের টিকিট চেক করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন নাটোর রেলস্টেশনের দায়িত্বে থাকা রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) দুই সদস্য।
অভিযোগ উঠেছে, এই দুই আরএনবি সদস্যকে তুলে নিয়ে র্যাব–৫ সিপিসি–২ নাটোর ক্যাম্পে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের পর র্যাব সদস্যরাই তাঁদের নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে নিয়ে যান। চিকিৎসা শেষে দুজনকে নাটোর রেলস্টেশনে ফেরত না দিয়ে সান্তাহার জিআরপিতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যার পর ঘটনাটি জানাজানি হয়। শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পরস্পরকে দোষারোপ করেছে র্যাব ও রেলওয়ে পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার আরএনবির দুই সদস্য হলেন সিপাহি মো. মোক্তার হোসেন এবং মো. জিয়াউর রহমান। অপরদিকে, অভিযুক্ত র্যাব সদস্য হলেন—করপোরাল আল–মামুন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাবে কর্মরত।
রোববার রাতে ঘটনা জানতে রেলস্টেশন এলাকায় যাওয়া হলে প্রথমে কেউ কথা বলতে চাননি। পরে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, প্রথমে তাঁরাও বুঝতে পারেননি কী ঘটেছে। শনিবার ইফতারের কিছুক্ষণ আগে কয়েকটি ভ্যান নিয়ে র্যাব সদস্যরা রেলস্টেশন গেটে আসেন। তাঁরা দ্রুত স্টেশনে ঢুকে ভেতর থেকে আরএনবি সদস্য মোক্তার ও জিয়াউরকে বের করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান।
পরে জানা যায়, র্যাব সদস্য মামুন ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ছিলেন। মামুনের কাছে আরএনবি সদস্যরা টিকিট দেখতে চাইলে ক্ষুব্ধ হন তিনি। এরপর আরএনবি সদস্যের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন বাগ্বিতণ্ডায়, পরে ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে মামুনকে ধরে স্টেশনে আরএনবি কার্যালয়ে নেন দুই আরএনবি সদস্য। বিষয়টি জানাজানি হলে ঘণ্টাখানেক পর ওই দুই আরএনবি সদস্যকে র্যাবের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে।
এ ব্যাপারে নাটোর রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) ইনচার্জ মো. মোতালেব হোসেন বলেন, যাত্রীদের টিকিট চেক করা আরএনবির রুটিন দায়িত্ব। তাঁরা শুধু সেটিই করেছেন। শনিবার বিকেলে সাদা পোশাকে থাকা র্যাব সদস্যের কাছেও যথারীতি জানতে চান টিকিট আছে কি না। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই যাত্রী গেটের বাইরে গিয়ে ব্যাগ রেখে এসে জানতে চান, ‘আপনারা টিকিট দেখার কে?’ এই বলে আরএনবি সদস্যকে ধাক্কা দেন। কোনো যাত্রী টিকিট দেখাতে ব্যর্থ হলে তাঁকে আরএনবি হেফাজতে নেওয়া হয় জরিমানা আদায়ের জন্য। যথারীতি আরএনবি সদস্যরা তাঁকে টিকিট কালেক্টরের রুমে নিয়ে যান। পরে জানতে পারি, ওই যাত্রী র্যাব সদস্য। কিছুক্ষণ পর নাটোর র্যাব অফিস থেকে কয়েকজন পোশাক পরা সশস্ত্র র্যাব সদস্য এসে মীমাংসার কথা বলে ডিউটিরত পোশাক পরিহিত আরএনবি সিপাহি মোক্তার হোসেন এবং জিয়াউর রহমানকে তুলে নিয়ে যান। আমিসহ স্টেশন মাস্টার ওই দুই সদস্যকে নিয়ে যেতে বাধা দিলেও র্যাব সদস্যরা আমাদের কথা শোনেননি।
এ বিষয়ে বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (পাকশী) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, র্যাব প্রভাব খাটিয়ে দুজনকে তাদের অফিসে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে চোখে কালো কাপড় পেঁচিয়ে প্রচণ্ড মারধর করে। আহত অবস্থায় র্যাবের গাড়িতে করেই তাঁদের নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সান্তাহার জিআরপি থানায় নিয়ে যাওয়া হয় দুই আরএনবি সদস্যকে।
তিনি বলেন, ডিউটিরত অবস্থায় দুইজন আরএনবি সদস্যকে তুলে নিয়ে গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন র্যাবের সদস্যরা। রেলের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা না করে এভাবে কাউকে তুলে নিয়ে যাওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
নাটোর র্যাব ক্যাম্পের কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে র্যাব–৫–এর অধিনায়ক মো. মুনীম ফেরদৌস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আরএনবি সদস্যরাই আমাদের একজন সদস্যকে মারধর করেছে। টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গেছে, মাথায় আঘাত করেছে। রুমে নিয়ে গিয়ে বেল্ট খুলে মারধর করেছে, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেছে। বিষয়টি রেলের মহাপরিচালককে জানানো হয়েছে।’
এ ব্যাপারে সান্তাহার রেলওয়ে থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তার হোসেন বলেন, ‘র্যাব সদস্যরা শনিবার রাতেই দুইজন আরএনবি সদস্যকে সান্তাহার থানায় দিয়ে গেছেন এবং র্যাব সদস্য আল মামুন লিখিত অভিযোগ দিয়ে গেছেন। যেহেতু দুটি বাহিনীর বিষয়, সে জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।’
নাটোর সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. শাফায়াত জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাকি পোশাক পরা দুই ব্যক্তিকে তাঁর কাছে নিয়ে এসেছিলেন র্যাব সদস্যরা। ওই দুই ব্যক্তি তাঁদের শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা বলে জানিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে খুব দ্রুত র্যাব সদস্যরা তাঁদের নিয়ে চলে যান।
সাদা পোশাকে ট্রেন যাত্রী র্যাবের এক সদস্যের টিকিট চেক করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন নাটোর রেলস্টেশনের দায়িত্বে থাকা রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) দুই সদস্য।
অভিযোগ উঠেছে, এই দুই আরএনবি সদস্যকে তুলে নিয়ে র্যাব–৫ সিপিসি–২ নাটোর ক্যাম্পে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের পর র্যাব সদস্যরাই তাঁদের নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে নিয়ে যান। চিকিৎসা শেষে দুজনকে নাটোর রেলস্টেশনে ফেরত না দিয়ে সান্তাহার জিআরপিতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যার পর ঘটনাটি জানাজানি হয়। শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পরস্পরকে দোষারোপ করেছে র্যাব ও রেলওয়ে পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার আরএনবির দুই সদস্য হলেন সিপাহি মো. মোক্তার হোসেন এবং মো. জিয়াউর রহমান। অপরদিকে, অভিযুক্ত র্যাব সদস্য হলেন—করপোরাল আল–মামুন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাবে কর্মরত।
রোববার রাতে ঘটনা জানতে রেলস্টেশন এলাকায় যাওয়া হলে প্রথমে কেউ কথা বলতে চাননি। পরে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, প্রথমে তাঁরাও বুঝতে পারেননি কী ঘটেছে। শনিবার ইফতারের কিছুক্ষণ আগে কয়েকটি ভ্যান নিয়ে র্যাব সদস্যরা রেলস্টেশন গেটে আসেন। তাঁরা দ্রুত স্টেশনে ঢুকে ভেতর থেকে আরএনবি সদস্য মোক্তার ও জিয়াউরকে বের করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান।
পরে জানা যায়, র্যাব সদস্য মামুন ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ছিলেন। মামুনের কাছে আরএনবি সদস্যরা টিকিট দেখতে চাইলে ক্ষুব্ধ হন তিনি। এরপর আরএনবি সদস্যের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন বাগ্বিতণ্ডায়, পরে ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে মামুনকে ধরে স্টেশনে আরএনবি কার্যালয়ে নেন দুই আরএনবি সদস্য। বিষয়টি জানাজানি হলে ঘণ্টাখানেক পর ওই দুই আরএনবি সদস্যকে র্যাবের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে।
এ ব্যাপারে নাটোর রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) ইনচার্জ মো. মোতালেব হোসেন বলেন, যাত্রীদের টিকিট চেক করা আরএনবির রুটিন দায়িত্ব। তাঁরা শুধু সেটিই করেছেন। শনিবার বিকেলে সাদা পোশাকে থাকা র্যাব সদস্যের কাছেও যথারীতি জানতে চান টিকিট আছে কি না। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই যাত্রী গেটের বাইরে গিয়ে ব্যাগ রেখে এসে জানতে চান, ‘আপনারা টিকিট দেখার কে?’ এই বলে আরএনবি সদস্যকে ধাক্কা দেন। কোনো যাত্রী টিকিট দেখাতে ব্যর্থ হলে তাঁকে আরএনবি হেফাজতে নেওয়া হয় জরিমানা আদায়ের জন্য। যথারীতি আরএনবি সদস্যরা তাঁকে টিকিট কালেক্টরের রুমে নিয়ে যান। পরে জানতে পারি, ওই যাত্রী র্যাব সদস্য। কিছুক্ষণ পর নাটোর র্যাব অফিস থেকে কয়েকজন পোশাক পরা সশস্ত্র র্যাব সদস্য এসে মীমাংসার কথা বলে ডিউটিরত পোশাক পরিহিত আরএনবি সিপাহি মোক্তার হোসেন এবং জিয়াউর রহমানকে তুলে নিয়ে যান। আমিসহ স্টেশন মাস্টার ওই দুই সদস্যকে নিয়ে যেতে বাধা দিলেও র্যাব সদস্যরা আমাদের কথা শোনেননি।
এ বিষয়ে বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (পাকশী) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, র্যাব প্রভাব খাটিয়ে দুজনকে তাদের অফিসে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে চোখে কালো কাপড় পেঁচিয়ে প্রচণ্ড মারধর করে। আহত অবস্থায় র্যাবের গাড়িতে করেই তাঁদের নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সান্তাহার জিআরপি থানায় নিয়ে যাওয়া হয় দুই আরএনবি সদস্যকে।
তিনি বলেন, ডিউটিরত অবস্থায় দুইজন আরএনবি সদস্যকে তুলে নিয়ে গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন র্যাবের সদস্যরা। রেলের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা না করে এভাবে কাউকে তুলে নিয়ে যাওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
নাটোর র্যাব ক্যাম্পের কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে র্যাব–৫–এর অধিনায়ক মো. মুনীম ফেরদৌস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আরএনবি সদস্যরাই আমাদের একজন সদস্যকে মারধর করেছে। টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গেছে, মাথায় আঘাত করেছে। রুমে নিয়ে গিয়ে বেল্ট খুলে মারধর করেছে, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেছে। বিষয়টি রেলের মহাপরিচালককে জানানো হয়েছে।’
এ ব্যাপারে সান্তাহার রেলওয়ে থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তার হোসেন বলেন, ‘র্যাব সদস্যরা শনিবার রাতেই দুইজন আরএনবি সদস্যকে সান্তাহার থানায় দিয়ে গেছেন এবং র্যাব সদস্য আল মামুন লিখিত অভিযোগ দিয়ে গেছেন। যেহেতু দুটি বাহিনীর বিষয়, সে জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।’
নাটোর সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. শাফায়াত জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাকি পোশাক পরা দুই ব্যক্তিকে তাঁর কাছে নিয়ে এসেছিলেন র্যাব সদস্যরা। ওই দুই ব্যক্তি তাঁদের শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা বলে জানিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে খুব দ্রুত র্যাব সদস্যরা তাঁদের নিয়ে চলে যান।
বিরামপুর উপজেলা থেকে বিশনী পাহান (৫৩) নামের এক সাঁওতাল নারীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে থানা-পুলিশ। আজ শনিবার সকালে কাটলা ইউনিয়নের দাউদপুর ময়নার মোড়ের অদূরে ধান খেত থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
৪ মিনিট আগেমাহিদ হাসান শিশির বলেন, ‘পেছনের বাস থেকে হঠাৎ করে ডাক চিৎকার করে বলছে, ‘‘তোমাদের কাছে পানি আছে দ্রুত পানি দাও। আমাদের বাসে আগুন লাগছে। পানি দাও
৫ মিনিট আগেমাছ বিক্রেতার স্ত্রী তিনি। স্বামীর মাছ বিক্রির লাভের টাকায় টেনেটুনে দিন চলত। সংসারে অভাব লেগেই থাকত। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। একটা অভাব মিটলে, নতুন করে হাজির হতো আরেকটি। ধারদেনা করেই চলতে হতো।
১৬ মিনিট আগেনীলফামারীর কিশোরগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা করে ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মোখলেছুর রহমান বিমানকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। আজ শনিবার সকালে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত...
২৫ মিনিট আগে