রঞ্জন কুমার দে, শেরপুর (বগুড়া)
এক যুগ পেরিয়ে গেছে। এর মধ্যে অনেকে মৃত্যু বরণ করেছেন। কিন্তু এখনো দেখা মেলেনি জাতীয় পরিচয়পত্রের। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দায় দিচ্ছে নির্বাচন অফিসের। আর নির্বাচন অফিস বলছে পূর্ববর্তীদের দায়িত্বের কথা। সব মিলিয়ে ভোগান্তিতে আছেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের দুই গ্রামের নারীরা। উপজেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য অনুযায়ী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ভাটরা গ্রামের ১ হাজার ১৫০ জন ও ৮ নং ওয়ার্ডের নলবাড়িয়া গ্রামের ৪৯৬ নারী ২০০৮ সাল থেকে এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে ২০০৮ সাল থেকে সারা দেশের ১৮ ঊর্ধ্ব নাগরিকদের জন্য বিতরণ করা হয় জাতীয় পরিচয়পত্র। নাগরিক হিসেবে শুধু ভোট দেওয়া নয়, কমপক্ষে ২২টি সেবা গ্রহণের জন্য এটি বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু যুগ পেরিয়ে গেলেও উল্লেখিত দুই ওয়ার্ডের নারীরা তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি। এ জন্য তাদের ভোগান্তির শেষ নেই। নিজেদের ও সন্তানদের জন্মনিবন্ধন, এনজিও থেকে লোন গ্রহণ, সরকারি বিভিন্ন ধরনের সুবিধা ভাতা গ্রহণ থেকে শুরু করে সব কাজেই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। প্রয়োজনে তাদেরকে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে যাচাই কপি সংগ্রহ করে কাজ সারতে হয়।
খানপুর ইউনিয়নের ভাটরা গ্রামের মো. সায়েম উদ্দিন বলেন, ‘গত বছর আমার ৮০ ঊর্ধ্ব বয়সী মা সাবরি বেওয়ার বয়স্ক ভাতার আবেদন করার জন্য নির্বাচন অফিস থেকে ২৩০ টাকা জমা দিয়ে যাচাই কপি সংগ্রহ করতে হয়েছে।’
যাচাই কপি সংগ্রহ করতে গিয়েও হয়রানির শিকার হচ্ছেন কেউ কেউ। একই গ্রামের মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৬০) ও কন্যা মোছা. মরিয়ম বেগমের (৪২) যাচাই কপি সংগ্রহ করার জন্য সরাকারি ফি জমা দেওয়ার পাশাপাশি অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এর জন্য প্রায় তিনদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় হাজার টাকার মতো খরচ হয়ে গেছে।’
এলাকার কলজে পড়ুয়া শাহীনুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচন অফিস নিজেদের অবহেলার দায় আমাদের ওপর চাপাচ্ছে। অনেক সময় মূল জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া অনেক অফিস গ্রহণ করতে চায় না। আমার মায়ের মূল জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করতে চাইলে নির্বাচন অফিস হারিয়ে গেছে মর্মে থানায় জিডি করে রি-ইস্যুর জন্য আবেদন করতে বলে। তারা যেটা ইস্যুই করেনি তার জন্য থানায় মিথ্যা জিডি করে আবেদন করা অনৈতিক। এছাড়াও এই প্রক্রিয়ায় একটা কার্ড সংগ্রহ করতে প্রায় দেড় হাজার টাকা খরচ করতে হয়।’
এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। নলবাড়িয়া পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা মো. মগরব আলী (৭২) বলেন, ‘চেয়ারম্যান মেম্বারদের শুধু ভোটের দরকার। তাই নির্বাচনের আগে তারা শুধু ভোটার স্লিপ দিয়ে যায়। আমরা যে ভোগান্তিতে আছি সে বিষয়ে তাদের খেয়াল নেই।’
খানপুর ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কয়েকশ নারীর যাচাই কপি উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে সংগ্রহ করে এনেছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে অবগত করলে তারা সদুত্তর দিতে পারেনি। তারা শুধু তৎকালীন দায়িত্বরতদের অবহেলার কথা বলেই দায় সারতে চান। তবে কিছুদিনের মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হলে এ সমস্যা থাকবে না বলে নির্বাচন অফিসার জানিয়েছেন।’
শেরপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোছা. আছিয়া খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। ২০০৮ সালে অজ্ঞাত কারণে তারা কার্ড পাননি। তবে আমাদের সার্ভারের তথ্য অনুযায়ী কার্ডগুলো প্রিন্ট ও বিতরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ২০১১ ও ২০১৬ সালে শেরপুর অফিস থেকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকে লিখিত জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। আগামীতে স্মার্ট কার্ড বিতরণের মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধান করা যাবে।’
এক যুগ পেরিয়ে গেছে। এর মধ্যে অনেকে মৃত্যু বরণ করেছেন। কিন্তু এখনো দেখা মেলেনি জাতীয় পরিচয়পত্রের। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দায় দিচ্ছে নির্বাচন অফিসের। আর নির্বাচন অফিস বলছে পূর্ববর্তীদের দায়িত্বের কথা। সব মিলিয়ে ভোগান্তিতে আছেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের দুই গ্রামের নারীরা। উপজেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য অনুযায়ী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ভাটরা গ্রামের ১ হাজার ১৫০ জন ও ৮ নং ওয়ার্ডের নলবাড়িয়া গ্রামের ৪৯৬ নারী ২০০৮ সাল থেকে এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে ২০০৮ সাল থেকে সারা দেশের ১৮ ঊর্ধ্ব নাগরিকদের জন্য বিতরণ করা হয় জাতীয় পরিচয়পত্র। নাগরিক হিসেবে শুধু ভোট দেওয়া নয়, কমপক্ষে ২২টি সেবা গ্রহণের জন্য এটি বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু যুগ পেরিয়ে গেলেও উল্লেখিত দুই ওয়ার্ডের নারীরা তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি। এ জন্য তাদের ভোগান্তির শেষ নেই। নিজেদের ও সন্তানদের জন্মনিবন্ধন, এনজিও থেকে লোন গ্রহণ, সরকারি বিভিন্ন ধরনের সুবিধা ভাতা গ্রহণ থেকে শুরু করে সব কাজেই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। প্রয়োজনে তাদেরকে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে যাচাই কপি সংগ্রহ করে কাজ সারতে হয়।
খানপুর ইউনিয়নের ভাটরা গ্রামের মো. সায়েম উদ্দিন বলেন, ‘গত বছর আমার ৮০ ঊর্ধ্ব বয়সী মা সাবরি বেওয়ার বয়স্ক ভাতার আবেদন করার জন্য নির্বাচন অফিস থেকে ২৩০ টাকা জমা দিয়ে যাচাই কপি সংগ্রহ করতে হয়েছে।’
যাচাই কপি সংগ্রহ করতে গিয়েও হয়রানির শিকার হচ্ছেন কেউ কেউ। একই গ্রামের মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৬০) ও কন্যা মোছা. মরিয়ম বেগমের (৪২) যাচাই কপি সংগ্রহ করার জন্য সরাকারি ফি জমা দেওয়ার পাশাপাশি অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এর জন্য প্রায় তিনদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় হাজার টাকার মতো খরচ হয়ে গেছে।’
এলাকার কলজে পড়ুয়া শাহীনুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচন অফিস নিজেদের অবহেলার দায় আমাদের ওপর চাপাচ্ছে। অনেক সময় মূল জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া অনেক অফিস গ্রহণ করতে চায় না। আমার মায়ের মূল জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করতে চাইলে নির্বাচন অফিস হারিয়ে গেছে মর্মে থানায় জিডি করে রি-ইস্যুর জন্য আবেদন করতে বলে। তারা যেটা ইস্যুই করেনি তার জন্য থানায় মিথ্যা জিডি করে আবেদন করা অনৈতিক। এছাড়াও এই প্রক্রিয়ায় একটা কার্ড সংগ্রহ করতে প্রায় দেড় হাজার টাকা খরচ করতে হয়।’
এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। নলবাড়িয়া পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা মো. মগরব আলী (৭২) বলেন, ‘চেয়ারম্যান মেম্বারদের শুধু ভোটের দরকার। তাই নির্বাচনের আগে তারা শুধু ভোটার স্লিপ দিয়ে যায়। আমরা যে ভোগান্তিতে আছি সে বিষয়ে তাদের খেয়াল নেই।’
খানপুর ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কয়েকশ নারীর যাচাই কপি উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে সংগ্রহ করে এনেছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে অবগত করলে তারা সদুত্তর দিতে পারেনি। তারা শুধু তৎকালীন দায়িত্বরতদের অবহেলার কথা বলেই দায় সারতে চান। তবে কিছুদিনের মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হলে এ সমস্যা থাকবে না বলে নির্বাচন অফিসার জানিয়েছেন।’
শেরপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোছা. আছিয়া খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। ২০০৮ সালে অজ্ঞাত কারণে তারা কার্ড পাননি। তবে আমাদের সার্ভারের তথ্য অনুযায়ী কার্ডগুলো প্রিন্ট ও বিতরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ২০১১ ও ২০১৬ সালে শেরপুর অফিস থেকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকে লিখিত জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। আগামীতে স্মার্ট কার্ড বিতরণের মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধান করা যাবে।’
সিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
৫ মিনিট আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
৭ মিনিট আগেব্যবসায়ীদের সংগঠন দ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পর্ষদের ২০২৪-২৬ মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। সংগঠনটিতে ২২ জন পরিচালকের মধ্যে চারজন ট্রেড গ্রুপ থেকে ইতিমধ্যে মনোনীত হয়েছেন। ভোটাভুটি হবে ১৮ পরিচালক পদে। এর মধ্যে ১৩ জন সাধারণ ও ৫ জন সহযোগী পরিচালক।
২৬ মিনিট আগেঘূর্ণিঝড় মিধিলির সময় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারসহ নিখোঁজ বরগুনার পাথরঘাটার ২৫ জেলে এক বছরেও ফেরেননি। তাঁরা আদৌ বেঁচে আছেন কি-না, জানেন না স্বজনেরা। তবু প্রিয়জনের আশায় বুক বেঁধে নীরব অপেক্ষায় দিন কাটছে এসব জেলের পরিবারের সদস্যদের।
৩৭ মিনিট আগে