বগুড়া প্রতিনিধি
দুর্নীতির মামলা থেকে রেহাই দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা ঘুষ নিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরী। এমন অভিযোগ এনে ঘুষ লেনদেনের অডিও ক্লিপসহ দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিছেন বগুড়া জেলা পুলিশে কর্মরত (বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত) এসআই আলমগীর হোসেন পিপিএম।
অভিযুক্ত দুদক কর্মকর্তা সুদীপ কুমার চৌধুরী বর্তমানে কুড়িগ্রামে কর্মরত। তিনি ২০২১ সাল পর্যন্ত বগুড়ায় কর্মরত ছিলেন। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠলে তাঁকে প্রথমে রাজশাহী এবং কিছুদিন পর কুড়িগ্রামে বদলি করা হয়। তবে তিনি ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
দুদক চেয়ারম্যানের কাছে দায়ের করা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় বগুড়া থেকে ২০১৯ সালের ৭ মে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয়, আলমগীর হোসেন ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বগুড়া ডিবি পুলিশে কর্মরত থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে বাড়ি, গাড়িসহ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে আলমগীর হোসেন ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন। এরপর ১৯ ফেব্রুয়ারি দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় বগুড়ার উপসহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরীকে যাচাইকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাইকালে তিনি আলমগীর হোসেনের আইনজীবী ও তাঁর বোনের মাধ্যমে সাত লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। আলমগীর হোসেনের ছোট বোন রুমাইয়া শিরিন আইনজীবীর সহযোগিতায় বিভিন্ন সময় সুদীপ কুমার চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা ঘুষ প্রদান করেন মামলা দায়ের না করার জন্য। কিন্তু ঘুষ দাবির পুরো সাত লাখ টাকা না পেয়ে সুদীপ কুমার চৌধুরী বাদী হয়ে আলমগীর হোসেনের নামে মামলা করেন এবং নিজেই মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন।
গত ২০২১ সালের ৩০ জুন আলমগীর হোসেন ঘুষ দাবির বিষয়টি উল্লেখ করে তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের জন্য দুদক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন। তাতে সুদীপ কুমার চৌধুরীকে বগুড়া থেকে রাজশাহী বদলি করা হয় এবং মামলাটির তদন্তভার সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামানকে দেওয়া হয়।
এসআই আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার পরও আমার বিরুদ্ধে মামলা করায় ঘুষ দাবির অডিও ক্লিপসহ গত ০৩.০৬.২১, ১০.১০.২২ এবং সর্বশেষ ১৯.১২.২২ তারিখে দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করি। এরপর রাজশাহী থেকে সুদীপ কুমার চৌধুরীকে কুড়িগ্রাম জেলায় বদলি করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তবে শুনেছি, আমার অভিযোগটির তদন্ত চলছে।’
এসআই আলমগীর হোসেনের বোন রুমাইয়া শিরিন বলেন, ‘আমি নিজে বিভিন্ন সময় দুদক অফিসে গিয়ে সুদীপ চৌধুরীর হাতে টাকা দিয়ে এসেছি। এমনকি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে দুদক কমিশনারের (তদন্ত) সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত বলেছি। তারপরও প্রায় দুই বছরে দৃশ্যমান কোনো তদন্ত করা হয়নি।’
এসআই আলমগীর হোসেনের আইনজীবী সৈয়দ আসিফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আলমগীরের বোনের সঙ্গে দুদক অফিসে গিয়ে সুদীপ চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করি। এরপর তিনি ঘুষের টাকার জন্য আমার মোবাইলে ফোন করে আলমগীরের বোনকে জানাতে বলেন। তিনি বলেন সুদীপ চৌধুরী একাধিকার বার ঘুষ লেনদেন নিয়ে কথা বলেছেন। যার রেকর্ডিং দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।’
যোগাযোগ করা হলে কুড়িগ্রামে কর্মরত দুদকের উপসহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরী ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টাকা নিলে কি আলমগীরের নামে মামলা হয়?’ অডিও রেকর্ডিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কণ্ঠ না শোনা পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’
দুর্নীতির মামলা থেকে রেহাই দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা ঘুষ নিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরী। এমন অভিযোগ এনে ঘুষ লেনদেনের অডিও ক্লিপসহ দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিছেন বগুড়া জেলা পুলিশে কর্মরত (বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত) এসআই আলমগীর হোসেন পিপিএম।
অভিযুক্ত দুদক কর্মকর্তা সুদীপ কুমার চৌধুরী বর্তমানে কুড়িগ্রামে কর্মরত। তিনি ২০২১ সাল পর্যন্ত বগুড়ায় কর্মরত ছিলেন। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠলে তাঁকে প্রথমে রাজশাহী এবং কিছুদিন পর কুড়িগ্রামে বদলি করা হয়। তবে তিনি ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
দুদক চেয়ারম্যানের কাছে দায়ের করা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় বগুড়া থেকে ২০১৯ সালের ৭ মে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয়, আলমগীর হোসেন ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বগুড়া ডিবি পুলিশে কর্মরত থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে বাড়ি, গাড়িসহ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে আলমগীর হোসেন ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন। এরপর ১৯ ফেব্রুয়ারি দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় বগুড়ার উপসহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরীকে যাচাইকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাইকালে তিনি আলমগীর হোসেনের আইনজীবী ও তাঁর বোনের মাধ্যমে সাত লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। আলমগীর হোসেনের ছোট বোন রুমাইয়া শিরিন আইনজীবীর সহযোগিতায় বিভিন্ন সময় সুদীপ কুমার চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা ঘুষ প্রদান করেন মামলা দায়ের না করার জন্য। কিন্তু ঘুষ দাবির পুরো সাত লাখ টাকা না পেয়ে সুদীপ কুমার চৌধুরী বাদী হয়ে আলমগীর হোসেনের নামে মামলা করেন এবং নিজেই মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন।
গত ২০২১ সালের ৩০ জুন আলমগীর হোসেন ঘুষ দাবির বিষয়টি উল্লেখ করে তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের জন্য দুদক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন। তাতে সুদীপ কুমার চৌধুরীকে বগুড়া থেকে রাজশাহী বদলি করা হয় এবং মামলাটির তদন্তভার সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামানকে দেওয়া হয়।
এসআই আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার পরও আমার বিরুদ্ধে মামলা করায় ঘুষ দাবির অডিও ক্লিপসহ গত ০৩.০৬.২১, ১০.১০.২২ এবং সর্বশেষ ১৯.১২.২২ তারিখে দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করি। এরপর রাজশাহী থেকে সুদীপ কুমার চৌধুরীকে কুড়িগ্রাম জেলায় বদলি করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তবে শুনেছি, আমার অভিযোগটির তদন্ত চলছে।’
এসআই আলমগীর হোসেনের বোন রুমাইয়া শিরিন বলেন, ‘আমি নিজে বিভিন্ন সময় দুদক অফিসে গিয়ে সুদীপ চৌধুরীর হাতে টাকা দিয়ে এসেছি। এমনকি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে দুদক কমিশনারের (তদন্ত) সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত বলেছি। তারপরও প্রায় দুই বছরে দৃশ্যমান কোনো তদন্ত করা হয়নি।’
এসআই আলমগীর হোসেনের আইনজীবী সৈয়দ আসিফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আলমগীরের বোনের সঙ্গে দুদক অফিসে গিয়ে সুদীপ চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করি। এরপর তিনি ঘুষের টাকার জন্য আমার মোবাইলে ফোন করে আলমগীরের বোনকে জানাতে বলেন। তিনি বলেন সুদীপ চৌধুরী একাধিকার বার ঘুষ লেনদেন নিয়ে কথা বলেছেন। যার রেকর্ডিং দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।’
যোগাযোগ করা হলে কুড়িগ্রামে কর্মরত দুদকের উপসহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরী ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টাকা নিলে কি আলমগীরের নামে মামলা হয়?’ অডিও রেকর্ডিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কণ্ঠ না শোনা পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’
গাজীপুরের শ্রীপুরে বনভূমিতে অভিযান শেষে ফেরার পথে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় লোকজনের বিরুদ্ধে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি ও দুটি ভেকু ভাঙচুর করা হয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
৯ মিনিট আগেদ্বিতীয় শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায় এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অন্যথায় তাকে আরও ৩ মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
১৫ মিনিট আগেজাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ অনুসারে বাংলাদেশে ৫-১৭ বৎসর বয়সী কর্মজীবী শিশুর সংখ্যা ৩৫ লাখের বেশি। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ ৬৮ হাজার।
২৪ মিনিট আগেবগুড়ায় কারাবন্দী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাদত আলম ঝুনুর (৫৬) মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
৪২ মিনিট আগে