বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার ধুনটে এক স্কুলছাত্রকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের পর মাদকসেবী বানানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের আট নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রের বাবা রাজ্জাকুল কবীর বিদ্যুৎ বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন—ধুনট পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার খান বিজয় ও ধুনট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহানুর রহমান সোহাগ, ইবু মিয়া, সজীব হাসান, নাজমুল হাসান, রিমন হোসেন, সোহাগ মিয়া ও রতন।
ওই ছাত্রের মা বলেন, বুধবার বেলা ১২টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা বিজয় কল দিয়ে স্কুল থেকে ডেকে নেয়। পরে অন্য নেতা-কর্মীরা তাঁকে মোটরসাইকেলে তুলে মালো পাড়া এলাকার একটি ফাঁকা মাঠে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর দুই হাত পিঠ মোড়া দিয়ে বেঁধে মারধর করেন। মাদকসেবন করে মর্মে স্বীকারোক্তি আদায় করে এর ভিডিও ধারণ করেন।
ওই ছাত্রের মা আরও বলেন, ভিডিও ধারণের পর স্কুলব্যাগে গাঁজা, গাঁজা কাটার সরঞ্জাম দিয়ে মোটরসাইকেল থানায় রেখে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সটকে পড়েন। ঘটনাটি পুলিশের সন্দেহ হলে থানা থেকে ছাত্রলীগের নেতাদের ডাকা হলেও তাঁরা আসেননি। পরে ওই স্কুলছাত্রের মাকে থানায় ডেকে তাঁর জিম্মায় দেওয়া হয়।
‘থানা থেকে ওই ছাত্রকে নেওয়ার সময় দেখতে পারি তার নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে। পরে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান আমার ছেলেকে দেখে বলেন তার মাথা ও নাকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসক এক্স-রে এবং সিটিস্ক্যান করার পরামর্শ দেন।’ যুক্ত করেন ভুক্তভোগী ছাত্রের মা।
এদিকে ধুনট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘ওই স্কুলছাত্র আমাদের মহল্লায় এসে গাঁজা সেবন করে। এ ছাড়াও আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় তাকে ধরে থানায় সোপর্দ করেছি। এ সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তার স্কুল ব্যাগ থেকে গাঁজা ও গাঁজা সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করে।’ ওই ছাত্রকে মারধর করা হয়নি বলে দাবি করেন ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ।
অপরদিকে ধুনট পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার খান বিজয় বলেন, গাঁজা সেবন, মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা ছাড়াও ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই স্কুলছাত্রের বিরুদ্ধে। এ কারণে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী তাকে চড়-থাপ্পড় দিয়েছেন। তার ব্যাগে গাঁজা পাওয়া যাওয়ায় থানায় সোপর্দ করা হয়।
মামলার বাদী ও স্কুলছাত্রের বাবা বলেন, ‘বুধবার রাতেই আমি থানায় মামলা করতে যাই। কিন্তু ওসি মামলা নেননি। এ কারণে আদালতে মামলা দায়ের করি। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল মমিন তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।’
ধুনট থানার ওসি রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছাত্রলীগ নেতাদের গালি দেওয়ায় ওই স্কুলছাত্রকে থানায় নিয়ে আসে। তার ব্যাগে গাঁজা কিংবা কোনো মাদক পাওয়া যায়নি। পরে তার অভিভাবকে ডেকে তাঁদের জিম্মায় দেওয়া হয়।
বগুড়ার ধুনটে এক স্কুলছাত্রকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের পর মাদকসেবী বানানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের আট নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রের বাবা রাজ্জাকুল কবীর বিদ্যুৎ বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন—ধুনট পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার খান বিজয় ও ধুনট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহানুর রহমান সোহাগ, ইবু মিয়া, সজীব হাসান, নাজমুল হাসান, রিমন হোসেন, সোহাগ মিয়া ও রতন।
ওই ছাত্রের মা বলেন, বুধবার বেলা ১২টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা বিজয় কল দিয়ে স্কুল থেকে ডেকে নেয়। পরে অন্য নেতা-কর্মীরা তাঁকে মোটরসাইকেলে তুলে মালো পাড়া এলাকার একটি ফাঁকা মাঠে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর দুই হাত পিঠ মোড়া দিয়ে বেঁধে মারধর করেন। মাদকসেবন করে মর্মে স্বীকারোক্তি আদায় করে এর ভিডিও ধারণ করেন।
ওই ছাত্রের মা আরও বলেন, ভিডিও ধারণের পর স্কুলব্যাগে গাঁজা, গাঁজা কাটার সরঞ্জাম দিয়ে মোটরসাইকেল থানায় রেখে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সটকে পড়েন। ঘটনাটি পুলিশের সন্দেহ হলে থানা থেকে ছাত্রলীগের নেতাদের ডাকা হলেও তাঁরা আসেননি। পরে ওই স্কুলছাত্রের মাকে থানায় ডেকে তাঁর জিম্মায় দেওয়া হয়।
‘থানা থেকে ওই ছাত্রকে নেওয়ার সময় দেখতে পারি তার নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে। পরে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান আমার ছেলেকে দেখে বলেন তার মাথা ও নাকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসক এক্স-রে এবং সিটিস্ক্যান করার পরামর্শ দেন।’ যুক্ত করেন ভুক্তভোগী ছাত্রের মা।
এদিকে ধুনট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘ওই স্কুলছাত্র আমাদের মহল্লায় এসে গাঁজা সেবন করে। এ ছাড়াও আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় তাকে ধরে থানায় সোপর্দ করেছি। এ সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তার স্কুল ব্যাগ থেকে গাঁজা ও গাঁজা সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করে।’ ওই ছাত্রকে মারধর করা হয়নি বলে দাবি করেন ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ।
অপরদিকে ধুনট পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার খান বিজয় বলেন, গাঁজা সেবন, মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা ছাড়াও ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই স্কুলছাত্রের বিরুদ্ধে। এ কারণে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী তাকে চড়-থাপ্পড় দিয়েছেন। তার ব্যাগে গাঁজা পাওয়া যাওয়ায় থানায় সোপর্দ করা হয়।
মামলার বাদী ও স্কুলছাত্রের বাবা বলেন, ‘বুধবার রাতেই আমি থানায় মামলা করতে যাই। কিন্তু ওসি মামলা নেননি। এ কারণে আদালতে মামলা দায়ের করি। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল মমিন তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।’
ধুনট থানার ওসি রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছাত্রলীগ নেতাদের গালি দেওয়ায় ওই স্কুলছাত্রকে থানায় নিয়ে আসে। তার ব্যাগে গাঁজা কিংবা কোনো মাদক পাওয়া যায়নি। পরে তার অভিভাবকে ডেকে তাঁদের জিম্মায় দেওয়া হয়।
গাজীপুরের শ্রীপুরের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) প্রো-ভিসি অধ্যাপক রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, ‘দুর্ঘটনা তো আর বলে-কয়ে আসে না। এটা হঠাৎ ঘটে গেছে। এখন আমি মনে করব, কাউকে দোষ দেওয়ার চেয়ে ঘটনা উত্তরণে সবাইকে কাজ করতে হবে।
৭ মিনিট আগেবিরামপুর উপজেলা থেকে বিশনী পাহান (৫৩) নামের এক সাঁওতাল নারীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে থানা-পুলিশ। আজ শনিবার সকালে কাটলা ইউনিয়নের দাউদপুর ময়নার মোড়ের অদূরে ধানখেত থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
২৭ মিনিট আগেমাহিদ হাসান শিশির বলেন, ‘পেছনের বাস থেকে হঠাৎ করে ডাক চিৎকার করে বলছে, ‘‘তোমাদের কাছে পানি আছে দ্রুত পানি দাও। আমাদের বাসে আগুন লাগছে। পানি দাও
২৯ মিনিট আগেমাছ বিক্রেতার স্ত্রী তিনি। স্বামীর মাছ বিক্রির লাভের টাকায় টেনেটুনে দিন চলত। সংসারে অভাব লেগেই থাকত। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। একটা অভাব মিটলে, নতুন করে হাজির হতো আরেকটি। ধারদেনা করেই চলতে হতো।
৪০ মিনিট আগে