নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল।
আগের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর কালেক্টরেট মাঠ ও মাদ্রাসা ময়দান এলাকায় সোহেল রানার ওপর দুই দফা হামলা হয়। বাঁশ ও হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয় তাঁকে। পরে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সোহেল রানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের জয়, রুহুল-আমিনসহ ২০-২৫ জন নেতা-কর্মী দুই দফায় তাকে ইচ্ছেমতো পিটিয়েছেন।’
তাঁর এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রাজশাহী নগর ছাত্রদল। সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি। তিনি বলেন, ‘এখন কেউ কেউ ভুয়া সমন্বয়ক সেজে নিজের স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে জাসদ ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানা নিজেকে সমন্বয়ক হিসেবে দাবি করে রাজশাহী কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সে নিজেকে সমন্বয়ক হিসেবে দাবি করলেও স্পষ্টত সে জাসদ ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতা।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে রাজশাহীতে নিজেদের মধ্যে দুটি গ্রুপ বিরোধে জড়ায়। একপর্যায়ে তারা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সে ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্যে চিহ্নিত জাসদ ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানা রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কুৎসা রটনা করেন, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারিত হয়। অথচ ছাত্রদলের কোনো নেতা-কর্মী এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। ছাত্রদলের সুনাম ও ঐতিহ্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে এমন ঘৃণ্য ও ন্যক্কারজনক ঘটনায় ছাত্রদলকে জড়ানো হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভ, ছাত্রদল নেতা সুলতান আহমেদ রাহি, আদিউল ইসলাম সজিব, মাহমুদুল হাসান লিমন, রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ বিন ওয়ালিদ আবির, সদস্যসচিব আহমেদ রায়হান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজশাহীতে কোনো সমন্বয়ক পরিষদ গঠিত হয়নি। তবে রাজশাহী কলেজের যেসব শিক্ষার্থী এই আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকেছেন তাদের কেউ কেউ নিজেকে ‘রাজশাহীর সমন্বয়ক’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। বৃহস্পতিবার হামলার শিকার ছাত্রনেতা সোহেল রানা তেমনই একজন। তবে আগে তিনি জাসদ ছাত্রলীগ করতেন। বর্তমানে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গেও সম্পৃক্ত তিনি।
ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলনের প্রতিক্রিয়ায় ভুক্তভোগী সোহেল রানা বলেন, ‘ওরা নিজেরাই ভুয়া, আন্দোলনের সময় ওরা ছিল না। এখন মনে করছে ওরা ক্ষমতায় চলে গিয়েছে। ওরা ছাত্রলীগের মতো পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত হচ্ছে, যার কারণে আমার ওপর হাতুড়ি নিয়ে হামলা চালিয়েছে।’
সোহেল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এক দোসরকে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আমরা সেটা আটকিয়েছি। কিন্তু ওই সময় রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলই ওই অধ্যক্ষের পক্ষ নিয়েছিল টাকা খেয়ে। তারা এখন প্রতিনিয়ত ছাত্রদের নির্যাতন করছে। সম্প্রতি আমারই এক ছোট ভাইকে ধরে নিয়ে গিয়ে ছাত্রলীগ ট্যাগ লাগিয়ে বেইজ্জতি করছিল। আমি গিয়ে রক্ষা করি। আমি যে তাদের বিরুদ্ধে একটা শক্তি, সেটা তারা মানতে পারছে না।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল।
আগের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর কালেক্টরেট মাঠ ও মাদ্রাসা ময়দান এলাকায় সোহেল রানার ওপর দুই দফা হামলা হয়। বাঁশ ও হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয় তাঁকে। পরে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সোহেল রানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের জয়, রুহুল-আমিনসহ ২০-২৫ জন নেতা-কর্মী দুই দফায় তাকে ইচ্ছেমতো পিটিয়েছেন।’
তাঁর এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রাজশাহী নগর ছাত্রদল। সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি। তিনি বলেন, ‘এখন কেউ কেউ ভুয়া সমন্বয়ক সেজে নিজের স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে জাসদ ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানা নিজেকে সমন্বয়ক হিসেবে দাবি করে রাজশাহী কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সে নিজেকে সমন্বয়ক হিসেবে দাবি করলেও স্পষ্টত সে জাসদ ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতা।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে রাজশাহীতে নিজেদের মধ্যে দুটি গ্রুপ বিরোধে জড়ায়। একপর্যায়ে তারা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সে ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্যে চিহ্নিত জাসদ ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানা রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কুৎসা রটনা করেন, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারিত হয়। অথচ ছাত্রদলের কোনো নেতা-কর্মী এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। ছাত্রদলের সুনাম ও ঐতিহ্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে এমন ঘৃণ্য ও ন্যক্কারজনক ঘটনায় ছাত্রদলকে জড়ানো হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভ, ছাত্রদল নেতা সুলতান আহমেদ রাহি, আদিউল ইসলাম সজিব, মাহমুদুল হাসান লিমন, রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ বিন ওয়ালিদ আবির, সদস্যসচিব আহমেদ রায়হান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজশাহীতে কোনো সমন্বয়ক পরিষদ গঠিত হয়নি। তবে রাজশাহী কলেজের যেসব শিক্ষার্থী এই আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকেছেন তাদের কেউ কেউ নিজেকে ‘রাজশাহীর সমন্বয়ক’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। বৃহস্পতিবার হামলার শিকার ছাত্রনেতা সোহেল রানা তেমনই একজন। তবে আগে তিনি জাসদ ছাত্রলীগ করতেন। বর্তমানে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গেও সম্পৃক্ত তিনি।
ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলনের প্রতিক্রিয়ায় ভুক্তভোগী সোহেল রানা বলেন, ‘ওরা নিজেরাই ভুয়া, আন্দোলনের সময় ওরা ছিল না। এখন মনে করছে ওরা ক্ষমতায় চলে গিয়েছে। ওরা ছাত্রলীগের মতো পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত হচ্ছে, যার কারণে আমার ওপর হাতুড়ি নিয়ে হামলা চালিয়েছে।’
সোহেল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এক দোসরকে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আমরা সেটা আটকিয়েছি। কিন্তু ওই সময় রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলই ওই অধ্যক্ষের পক্ষ নিয়েছিল টাকা খেয়ে। তারা এখন প্রতিনিয়ত ছাত্রদের নির্যাতন করছে। সম্প্রতি আমারই এক ছোট ভাইকে ধরে নিয়ে গিয়ে ছাত্রলীগ ট্যাগ লাগিয়ে বেইজ্জতি করছিল। আমি গিয়ে রক্ষা করি। আমি যে তাদের বিরুদ্ধে একটা শক্তি, সেটা তারা মানতে পারছে না।’
বরগুনার আমতলীতে একদিনে কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ ২৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্বজনেরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত ১০ জনকে পটুয়াখালী ও বরগুনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগেগত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিজের স্বামীকে ‘নিহত’ দেখিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা সেই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এ ঘটনায় জড়িত শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকেও...
১৬ মিনিট আগেসম্প্রতি নগরের বিনোদপুর বাজারের এক ভাঙারি ব্যবসায়ী আমিরুল মোমেনিনের স্টুডিও থেকে ভাস্কর্য দুটি কিনে এনেছেন। এখন বিনোদপুর বাজারে খোকন নামের ওই ব্যবসায়ীর দোকানের সামনে পড়ে আছে ভাস্কর্য দুটি। দোকানটির নাম ‘খোকন আয়রন ঘর’। খোকন আছেন ক্রেতার অপেক্ষায়। কেউ না কিনলে ভাস্কর্য দুটি ভেঙে লোহা হিসেবে বিক্রি করব
২২ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। শুক্রবার দুপুরে আরএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২৯ মিনিট আগে