পাবনা প্রতিনিধি
পাবনায় এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে না পারায় এবং এনজিওর কর্মীদের অপমানের পর রোজিনা খাতুন নামের এক নারী অ্যাসিড পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে খবর পাওয়া গেছে। প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতর অবস্থায় গত ছয় দিন ধরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
তাঁর কণ্ঠনালী পুড়ে ক্ষত সৃষ্টি হওয়ায় রোজিনা খাতুন কথা বলতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামীকাল বুধবার রোজিনা বেগমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানোর কথা জানিয়েছেন তাঁর ছেলে।
এদিকে এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ তাদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
অ্যাসিড পানের ঘটনাটি ঘটে গত ১১ জানুয়ারি (বুধবার)। গত রোববার এ ঘটনায় পাবনা সদর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর ছেলে হৃদয় হোসেন।
রোজিনা খাতুনের বাড়ি পাবনা জেলা সদরের আরিফপুর মহল্লায়। তাঁর স্বামীর নাম আমজাদ হোসেন। তিনি পেশায় ট্রাকচালক।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় গত রোববার ওই নারীর ছেলে হৃদয় হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। ঘটনার দুজনকে গ্রেপ্তার করে ৫৪ ধারায় আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তারা পলাতক রয়েছে।’
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—‘প্রতিশ্রুতি পাবনা’ এনজিওর দোগাছি শাখা ব্যবস্থাপক সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাশুরিয়া গ্রামের মৃত আহছান উল্লাহর ছেলে এহিয়া খান (৩৮) ও একই শাখার মাঠকর্মী পাবনা পৌর সদরের দক্ষিণ রাঘবপুর মহল্লার মৃত আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী শাহিদা খাতুন (৩৫)।
মামলার এজাহার ও পরিবার বলছে, ছয় মাস আগে রোজিনা খাতুন ‘প্রতিশ্রুতি পাবনা’ নামের একটি এনজিওর পাবনা সদরের দোগাছি কার্যালয় থেকে ৪৫ হাজার টাকা ঋণ নেন। এরপর তিনি সাপ্তাহিক ১ হাজার ৩০০ টাকা হারে ঋণের ২৩ কিস্তিতে ২৯ হাজার ৯০০ টাকা পরিশোধ করেন। সাংসারিক অভাব-অনটনে এরপর আর কিস্তির টাকা দিতে পারেননি। ফলে বেশ কিছুদিন বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র ছিলেন।
গত বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে রোজিনা বাড়িতে ফেরার পর মাঠকর্মী শাহিদা খাতুন লোকজন নিয়ে তাঁর বাড়িতে যান। এ সময় রোজিনা খাতুন ঋণ পরিশোধ না করতে পারায় ক্ষমা চেয়ে ঋণের কিস্তির টাকা ১ হাজার ৩০০ এর স্থলে কিছুটা কমিয়ে দিতে অনুরোধ জানান। এতে মাঠকর্মী শাহিদা খাতুন রাজি না হয়ে রোজিনা খাতুনকে তাদের কার্যালয়ে ধরে নিয়ে যান।
সেখানে গিয়ে রোজিনা খাতুন কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক এহিয়া খানের কাছেও ঋণের কিস্তি কমিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু ব্যবস্থাপক তাঁর অনুরোধ না শুনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। বিষয়টি আত্মসম্মানে আঘাত করায় রোজিনা খাতুন বাড়িতে ফিরে ওই দিন বিকেলে অ্যাসিড পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
ভুক্তভোগীর অবস্থার বিষয়ে তাঁর ছেলে হৃদয় হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভর্তির পর এখন পর্যন্ত তাঁর মায়ের অবস্থার উন্নতি নেই। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলেছে মায়ের অবস্থা ভালো নয়। তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। বুধবার মাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করাব।’
তবে অভিযোগটি পুরোপুরি সত্য নয় দাবি করে প্রতিশ্রুতি পাবনার নির্বাহী পরিচালক মমতা চাকলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই নারী ঋণ নিয়েছিলেন। তাঁর টাকা পরিশোধ করেননি। তিনি কিছুদিন পলাতকও ছিলেন। পরে বাড়িতে ফেরার পর তাঁর কাছে টাকা চাওয়া হয়। কিন্তু তাঁকে আটক বা অপমান লাঞ্ছনার কিছু ঘটেনি। মূলত ওনার স্বামীর সঙ্গে তার পারিবারিক সমস্যার কারণে অ্যাসিড পানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছি।’
মমতা চাকলাদার আরও বলেন, ‘তারপরও আমরা ওই নারীর চিকিৎসায় যতটুকু সম্ভব সহায়তা করার চেষ্টা করছি। তিনি চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ফেরার পর তাঁকে নিয়ে একটা সংবাদ সম্মেলন করে পুরো ঘটনা ও বিষয়গুলো পরিষ্কার করা হবে।’
পাবনায় এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে না পারায় এবং এনজিওর কর্মীদের অপমানের পর রোজিনা খাতুন নামের এক নারী অ্যাসিড পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে খবর পাওয়া গেছে। প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতর অবস্থায় গত ছয় দিন ধরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
তাঁর কণ্ঠনালী পুড়ে ক্ষত সৃষ্টি হওয়ায় রোজিনা খাতুন কথা বলতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামীকাল বুধবার রোজিনা বেগমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানোর কথা জানিয়েছেন তাঁর ছেলে।
এদিকে এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ তাদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
অ্যাসিড পানের ঘটনাটি ঘটে গত ১১ জানুয়ারি (বুধবার)। গত রোববার এ ঘটনায় পাবনা সদর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর ছেলে হৃদয় হোসেন।
রোজিনা খাতুনের বাড়ি পাবনা জেলা সদরের আরিফপুর মহল্লায়। তাঁর স্বামীর নাম আমজাদ হোসেন। তিনি পেশায় ট্রাকচালক।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় গত রোববার ওই নারীর ছেলে হৃদয় হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। ঘটনার দুজনকে গ্রেপ্তার করে ৫৪ ধারায় আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তারা পলাতক রয়েছে।’
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—‘প্রতিশ্রুতি পাবনা’ এনজিওর দোগাছি শাখা ব্যবস্থাপক সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাশুরিয়া গ্রামের মৃত আহছান উল্লাহর ছেলে এহিয়া খান (৩৮) ও একই শাখার মাঠকর্মী পাবনা পৌর সদরের দক্ষিণ রাঘবপুর মহল্লার মৃত আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী শাহিদা খাতুন (৩৫)।
মামলার এজাহার ও পরিবার বলছে, ছয় মাস আগে রোজিনা খাতুন ‘প্রতিশ্রুতি পাবনা’ নামের একটি এনজিওর পাবনা সদরের দোগাছি কার্যালয় থেকে ৪৫ হাজার টাকা ঋণ নেন। এরপর তিনি সাপ্তাহিক ১ হাজার ৩০০ টাকা হারে ঋণের ২৩ কিস্তিতে ২৯ হাজার ৯০০ টাকা পরিশোধ করেন। সাংসারিক অভাব-অনটনে এরপর আর কিস্তির টাকা দিতে পারেননি। ফলে বেশ কিছুদিন বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র ছিলেন।
গত বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে রোজিনা বাড়িতে ফেরার পর মাঠকর্মী শাহিদা খাতুন লোকজন নিয়ে তাঁর বাড়িতে যান। এ সময় রোজিনা খাতুন ঋণ পরিশোধ না করতে পারায় ক্ষমা চেয়ে ঋণের কিস্তির টাকা ১ হাজার ৩০০ এর স্থলে কিছুটা কমিয়ে দিতে অনুরোধ জানান। এতে মাঠকর্মী শাহিদা খাতুন রাজি না হয়ে রোজিনা খাতুনকে তাদের কার্যালয়ে ধরে নিয়ে যান।
সেখানে গিয়ে রোজিনা খাতুন কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক এহিয়া খানের কাছেও ঋণের কিস্তি কমিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু ব্যবস্থাপক তাঁর অনুরোধ না শুনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। বিষয়টি আত্মসম্মানে আঘাত করায় রোজিনা খাতুন বাড়িতে ফিরে ওই দিন বিকেলে অ্যাসিড পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
ভুক্তভোগীর অবস্থার বিষয়ে তাঁর ছেলে হৃদয় হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভর্তির পর এখন পর্যন্ত তাঁর মায়ের অবস্থার উন্নতি নেই। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলেছে মায়ের অবস্থা ভালো নয়। তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। বুধবার মাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করাব।’
তবে অভিযোগটি পুরোপুরি সত্য নয় দাবি করে প্রতিশ্রুতি পাবনার নির্বাহী পরিচালক মমতা চাকলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই নারী ঋণ নিয়েছিলেন। তাঁর টাকা পরিশোধ করেননি। তিনি কিছুদিন পলাতকও ছিলেন। পরে বাড়িতে ফেরার পর তাঁর কাছে টাকা চাওয়া হয়। কিন্তু তাঁকে আটক বা অপমান লাঞ্ছনার কিছু ঘটেনি। মূলত ওনার স্বামীর সঙ্গে তার পারিবারিক সমস্যার কারণে অ্যাসিড পানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছি।’
মমতা চাকলাদার আরও বলেন, ‘তারপরও আমরা ওই নারীর চিকিৎসায় যতটুকু সম্ভব সহায়তা করার চেষ্টা করছি। তিনি চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ফেরার পর তাঁকে নিয়ে একটা সংবাদ সম্মেলন করে পুরো ঘটনা ও বিষয়গুলো পরিষ্কার করা হবে।’
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় মাদকের টাকার জন্য মাকে মারধর করায় শাহজাহান মিয়া (২৫) নামের এক যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে শাহজাহানের মা সাজেদা খাতুন ছেলেকে থানায় সোপর্দ করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন।
১৭ মিনিট আগেঝিনাইদহ সদরের নতুন বাড়ি এলাকায় দুই ট্রাকের সংঘর্ষে আল আমিন (২৫) নামের এক ট্রাকচালকের নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরও ৩ জন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাজেদুল লস্কর (৩২) নামের এক ব্যক্তির লাঠির আঘাতে তার চাচাতো ভাই আপেল লস্করের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি লস্কর পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সাজেদুল লস্করকে আটক করেছে পুলিশ। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আউয়াল কবির বিষয়টি নিশ
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখাইজুড়ি নদী একসময় প্রবহমান ছিল। এতে এলাকার মানুষ গোসল দিত, মাছ ধরত ও হাঁস পালন করত। সেই নদী দখল করে বাঁশ ও জালের বেড়া দিয়ে ছোট ছোট ঘের তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
২ ঘণ্টা আগে