পাবনা প্রতিনিধি
বর্তমানে তিনটি ছোট ফেরি দিয়ে পাবনার কাজিরহাট-আরিচা রুটে কোনোরকমে যানবাহন পারাপার চলছে। এতে ফেরি সংকটে এই রুটে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো দুই-তিনদিন ধরে ঘাটে আটকা পড়ছে। এর ফলে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়ছেন পরিবহন চালকেরা। গত দুই দিনে নৌরুটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন। এতে ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে দীর্ঘ যানজট।
আজ শুক্রবার দুপুরে কাজিরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মাহবুবুর রহমান জানান, এই পরিস্থিতিতে জরুরি পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ঘুরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ফেরি স্বল্পতার কারণে এই রুট এখন সবার জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুরুতে চারটি ফেরি দিলেও এখন শুধু নামেমাত্র তিনটি ফেরি চলে। তিন সপ্তাহ আগে ৫টি ফেরি দিয়ে কিছুদিন চলার পর সেগুলো নিয়ে যাওয়া হয়। এখন ঘাটের সবগুলো ফেরি ছোট।
যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ঢাকায় যাওয়া-আসার পথে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকে। এ জন্য ট্রাকসহ অনেক যানবাহন কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে ফেরিতে ঢাকায় যাওয়া-আসা করছে। এতে নৌপথে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। যাত্রী বাড়লেও গত দশদিনে এই রুটে চলাচল করছে দুটি ফেরি। সবকটি পুরোনো ও ত্রুটিপূর্ণ। সেগুলো প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ছে। এতে ঘাটে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত ট্রাকের জটলা তৈরি হচ্ছে।
যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের অভিযোগ, এই নৌপথে কমপক্ষে ৮টি ফেরি দরকার। সম্প্রতি ৫টি ফেরি দিয়েছিল ঘাট কর্তৃপক্ষ। তখন অনায়াসে পারাপার হয়েছি। কিন্তু গত দশদিন ঘাটে ব্যাপক যানবাহনের চাপ থাকলেও এখান থেকে বড় ফেরি দুটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারপর আবারও যানজট শুরু হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির নাম প্রকাশে একাধিক কর্মী জানান, এই ঘাটের ফেরিগুলো পুরোনো ও ত্রুটিযুক্ত। তাই সংকট আরও বেড়েছে। দু-একদিন পরই ফেরিতে যান্ত্রিক ক্রুটি দেখা দেয়। ফেরি সকালে গিয়ে ফেরে গভীর রাতে।
সরেজমিন দেখা যায়, কাজীরহাট ট্রাক টার্মিনাল থেকে শুরু করে কাশিনাথপুর-কাজীরহাট সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার জুড়ে তিন শতাধিক ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন ফেরির অপেক্ষায় রয়েছে। অন্যদিকে আরিচা ঘাটেও একই অবস্থা। দুই ঘাট মিলে ৫ শতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী ছোট গাড়িগুলোকে ফেরিতে ওঠার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। কোনো কোনো পণ্যবাহী ট্রাককে আরিচায় যাওয়ার জন্য দুই থেকে তিনদিন ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আবার কেউ পাঁচ দিন ধরে অপেক্ষা করছে।
লালমনিরহাট থেকে আগত ট্রাকচালক মইনুল ইসলাম বলেন, ‘দুই দিনের বেশি সময় ধরে পণ্য নিয়ে এই ফেরিঘাটে আটকা আছি। মাত্র তিনটি ‘লক্কড়ঝক্কড়’ মার্কা ফেরিতে যানবাহন পারাপার চলছে। এগুলোর কোনো কোনোটি প্রায়ই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে পড়ছে। এর মধ্যে যাত্রীবাহী গাড়িগুলো ফেরিতে ওঠায় অগ্রাধিকার পাওয়ায় প্রতিটি ফেরিতে মাত্র তিন থেকে চারটি ট্রাক ওঠার সুযোগ পাচ্ছে।’
এ ছাড়া ঘাটে আটকে থাকায় খাওয়া ও শৌচাগার নিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চালকদের। রাস্তার লাইট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা না থাকায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় থাকতে হচ্ছে।
এ সময় চালকেরা ট্রাক টার্মিনাল ও আবাসিক হোটেল নির্মাণ এবং একটি নৌফাঁড়ি স্থাপনের দাবি জানান।
কাজীরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যেভাবে কাজীরহাট ফেরিঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে, তাতে প্রতিদিন ফেরিগুলোর ৩৫ থেকে ৪০টি ট্রিপের প্রয়োজন। অথচ তিনটি ফেরি দিয়ে ১০ থেকে ১২টি ট্রিপ দেওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় ঘাটে কোনো ট্রাক এলে সেটিকে ফেরিতে ওঠার জন্য কমপক্ষে দুদিন থেকে তিনদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। স্বল্প ফেরিতে ঘাটে নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।
বর্তমানে তিনটি ছোট ফেরি দিয়ে পাবনার কাজিরহাট-আরিচা রুটে কোনোরকমে যানবাহন পারাপার চলছে। এতে ফেরি সংকটে এই রুটে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো দুই-তিনদিন ধরে ঘাটে আটকা পড়ছে। এর ফলে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়ছেন পরিবহন চালকেরা। গত দুই দিনে নৌরুটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন। এতে ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে দীর্ঘ যানজট।
আজ শুক্রবার দুপুরে কাজিরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মাহবুবুর রহমান জানান, এই পরিস্থিতিতে জরুরি পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ঘুরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ফেরি স্বল্পতার কারণে এই রুট এখন সবার জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুরুতে চারটি ফেরি দিলেও এখন শুধু নামেমাত্র তিনটি ফেরি চলে। তিন সপ্তাহ আগে ৫টি ফেরি দিয়ে কিছুদিন চলার পর সেগুলো নিয়ে যাওয়া হয়। এখন ঘাটের সবগুলো ফেরি ছোট।
যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ঢাকায় যাওয়া-আসার পথে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকে। এ জন্য ট্রাকসহ অনেক যানবাহন কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে ফেরিতে ঢাকায় যাওয়া-আসা করছে। এতে নৌপথে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। যাত্রী বাড়লেও গত দশদিনে এই রুটে চলাচল করছে দুটি ফেরি। সবকটি পুরোনো ও ত্রুটিপূর্ণ। সেগুলো প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ছে। এতে ঘাটে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত ট্রাকের জটলা তৈরি হচ্ছে।
যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের অভিযোগ, এই নৌপথে কমপক্ষে ৮টি ফেরি দরকার। সম্প্রতি ৫টি ফেরি দিয়েছিল ঘাট কর্তৃপক্ষ। তখন অনায়াসে পারাপার হয়েছি। কিন্তু গত দশদিন ঘাটে ব্যাপক যানবাহনের চাপ থাকলেও এখান থেকে বড় ফেরি দুটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারপর আবারও যানজট শুরু হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির নাম প্রকাশে একাধিক কর্মী জানান, এই ঘাটের ফেরিগুলো পুরোনো ও ত্রুটিযুক্ত। তাই সংকট আরও বেড়েছে। দু-একদিন পরই ফেরিতে যান্ত্রিক ক্রুটি দেখা দেয়। ফেরি সকালে গিয়ে ফেরে গভীর রাতে।
সরেজমিন দেখা যায়, কাজীরহাট ট্রাক টার্মিনাল থেকে শুরু করে কাশিনাথপুর-কাজীরহাট সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার জুড়ে তিন শতাধিক ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন ফেরির অপেক্ষায় রয়েছে। অন্যদিকে আরিচা ঘাটেও একই অবস্থা। দুই ঘাট মিলে ৫ শতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী ছোট গাড়িগুলোকে ফেরিতে ওঠার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। কোনো কোনো পণ্যবাহী ট্রাককে আরিচায় যাওয়ার জন্য দুই থেকে তিনদিন ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আবার কেউ পাঁচ দিন ধরে অপেক্ষা করছে।
লালমনিরহাট থেকে আগত ট্রাকচালক মইনুল ইসলাম বলেন, ‘দুই দিনের বেশি সময় ধরে পণ্য নিয়ে এই ফেরিঘাটে আটকা আছি। মাত্র তিনটি ‘লক্কড়ঝক্কড়’ মার্কা ফেরিতে যানবাহন পারাপার চলছে। এগুলোর কোনো কোনোটি প্রায়ই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে পড়ছে। এর মধ্যে যাত্রীবাহী গাড়িগুলো ফেরিতে ওঠায় অগ্রাধিকার পাওয়ায় প্রতিটি ফেরিতে মাত্র তিন থেকে চারটি ট্রাক ওঠার সুযোগ পাচ্ছে।’
এ ছাড়া ঘাটে আটকে থাকায় খাওয়া ও শৌচাগার নিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চালকদের। রাস্তার লাইট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা না থাকায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় থাকতে হচ্ছে।
এ সময় চালকেরা ট্রাক টার্মিনাল ও আবাসিক হোটেল নির্মাণ এবং একটি নৌফাঁড়ি স্থাপনের দাবি জানান।
কাজীরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যেভাবে কাজীরহাট ফেরিঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে, তাতে প্রতিদিন ফেরিগুলোর ৩৫ থেকে ৪০টি ট্রিপের প্রয়োজন। অথচ তিনটি ফেরি দিয়ে ১০ থেকে ১২টি ট্রিপ দেওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় ঘাটে কোনো ট্রাক এলে সেটিকে ফেরিতে ওঠার জন্য কমপক্ষে দুদিন থেকে তিনদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। স্বল্প ফেরিতে ঘাটে নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।
সর্বনিম্ন বেতন স্কেল ৩০ হাজার টাকা করাসহ বিভিন্ন দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস পেয়ে আমরণ অনশন ভেঙেছেন দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির আউটসোর্সিং কর্মচারীরা। শ্রম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব গতকাল বৃহস্পতিবার দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে ১২ দিন পর ২৮৭ জন কর্মচারী রাত ৮টা থেকে কাজে যোগ দেন।
৭ মিনিট আগেনিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় অন্তত ১৫-২০ জন সদস্যকে আটক করা হয়।
১৫ মিনিট আগেপটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে চাঁদাবাজির মামলায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম লোটাসকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার সুবিদখালি দারুসসুন্নাত ফাজিল মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২২ মিনিট আগেপটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে চাঁদাবাজি মামলায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম লোটাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সুবিদখালী দারুসসুন্নাত ফাজিল মাদ্রাসা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। লোটাস দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের...
২৭ মিনিট আগে