নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষে রাজশাহীর বাঘা উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের মৃত্যুর জন্য বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান, বর্তমান মেয়র, রাজশাহী-৩ আসনের এমপিসহ দলের কয়েক নেতাদের দোষারপ করেছেন রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ও বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বাঘা মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বাবুলের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মরদেহ সামনে রেখে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ দোষারপ করেন।
এদিকে জানাজায় গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন দলটির জেলা কমিটির সভাপতি অনিল কুমার সরকার। বাবুলের মরদেহের পাশ থেকে টেনে নিয়ে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন; রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ এবং বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লায়েব উদ্দিন লাভলুকে দোষারোপ করে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘খুনি আক্কাস (পৌর মেয়র), খুনি মেরাজ (ইউপি চেয়ারম্যান)। তাদের পেছনে মদদদাতা আছে। দুই বছর আগে আক্কাস বহিষ্কৃত হয়েছিল আওয়ামী লীগ থেকে। খায়রুজ্জামান লিটন নিজের মুখে সেই কথা এখানে বলেছিলেন। এস এম কামাল বলেছিলেন, সে বহিষ্কৃত। এই ঘোষণার সাত দিনের মাথায় খায়রুজ্জামান লিটনের গাড়িতে আক্কাস ও মেরাজকে ঘুরতে দেখা গেছে।’
এমপি শাহরিয়ারের এমন বক্তব্যে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের একাংশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা জবাব চাই, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের কাছে। অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলুর কাছে জবাব চাই, সে কেন আজ পলাতক? খুনের মামলায় দুজন সশরীর উপস্থিত ছিল। পেছন থেকে মদদদাতা হিসেবে আসাদুজ্জামান আসাদ, এএইচএম খায়রুজ্জামান এবং লায়েব উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা হবে। তাঁদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব। আমাদেরও দায়িত্ব আছে।’
প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমি প্রশাসনকে বলব-এই যে ব্যক্তি কয়েকজনের নাম বললাম, আসামিদের টেলিফোন নম্বরের সঙ্গে, সাতদিনের টেলিফোন মিলায়ে নিবেন। তাদের সাথে যদি দিনে পাঁচবার করে কথা না হয়, আমি সংসদ সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে চলে যাব।’
শাহরিয়ার আলম যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহী-৩ আসনের সাবেক এমপি আয়েন উদ্দিন এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। শাহরিয়ারের ঠিক পেছনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকার। তখন অনিলকে হাত ধরে টেনে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দারার সঙ্গে অনিলের মতবিরোধ রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
অনিল কুমার সরকার অভিযোগ করেছেন, তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে জানাজার স্থান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নিহত বাবুলের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একটি ফুলের ডালাও নিয়ে গিয়েছিলেন। সেটিও মরদেহে দিতে দেওয়া হয়নি।
অনিল বলেন, ‘দলের একজন নেতা মারা গেছেন, আমি গিয়েছি। সেখান থেকে বের করে দেওয়া শোভনীয় নয়। বিষয়টি আমি দলকে জানাব। দলের সভানেত্রী নিশ্চয় এর বিচার করবেন।’
শাহরিয়ার আলমের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘বাবুল ত্যাগী নেতা। তাঁর খুনের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, সবার বিচার হওয়া উচিত। সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম আমাদের মদদাতা হিসেবে উল্লেখ করে সাতদিনের কলরেকর্ড তুলতে বলেছেন। আমি ডিআইজি-এসপিকে ফোন করে বলেছি, সাতদিন না, সাত মাসের কল রেকর্ড তুলে দেখেন।’
আসাদ বলেন, ‘শাহরিয়ার সাহেব যা বলেছেন, তা তাঁকে প্রমাণ করতে হবে তা না হলে তাকেও মামলার মুখোমুখি হতে হবে।’
শাহরিয়ারের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘জানাযায় আমার নাম ধরে এলাকার বর্তমান এমপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ঈর্ষাপরায়ণভাবে এ রকম উক্তি করতে পারেন, সেটা আমার বোধগম্য নয়। তাঁর কাছ থেকে এটা আশাই করিনি। কী উদ্দেশ্যে, কেন তিনি বলেছেন তা তিনিই বলতে পারবেন। যারা বিবেকসম্পন্ন মানুষ তারা এটাকে সমর্থন করবেন না।’
লিটন সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়ে বলেন, ‘আমরা যারা আওয়ামী লীগের রক্ত নিয়ে বড় হয়েছি, তাদেরকেই এখন হেনস্থা করার অপচেষ্টা করছেন নতুনেরা।’
আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষে রাজশাহীর বাঘা উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের মৃত্যুর জন্য বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান, বর্তমান মেয়র, রাজশাহী-৩ আসনের এমপিসহ দলের কয়েক নেতাদের দোষারপ করেছেন রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ও বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বাঘা মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বাবুলের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মরদেহ সামনে রেখে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ দোষারপ করেন।
এদিকে জানাজায় গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন দলটির জেলা কমিটির সভাপতি অনিল কুমার সরকার। বাবুলের মরদেহের পাশ থেকে টেনে নিয়ে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন; রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ এবং বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লায়েব উদ্দিন লাভলুকে দোষারোপ করে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘খুনি আক্কাস (পৌর মেয়র), খুনি মেরাজ (ইউপি চেয়ারম্যান)। তাদের পেছনে মদদদাতা আছে। দুই বছর আগে আক্কাস বহিষ্কৃত হয়েছিল আওয়ামী লীগ থেকে। খায়রুজ্জামান লিটন নিজের মুখে সেই কথা এখানে বলেছিলেন। এস এম কামাল বলেছিলেন, সে বহিষ্কৃত। এই ঘোষণার সাত দিনের মাথায় খায়রুজ্জামান লিটনের গাড়িতে আক্কাস ও মেরাজকে ঘুরতে দেখা গেছে।’
এমপি শাহরিয়ারের এমন বক্তব্যে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের একাংশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা জবাব চাই, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের কাছে। অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলুর কাছে জবাব চাই, সে কেন আজ পলাতক? খুনের মামলায় দুজন সশরীর উপস্থিত ছিল। পেছন থেকে মদদদাতা হিসেবে আসাদুজ্জামান আসাদ, এএইচএম খায়রুজ্জামান এবং লায়েব উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা হবে। তাঁদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব। আমাদেরও দায়িত্ব আছে।’
প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমি প্রশাসনকে বলব-এই যে ব্যক্তি কয়েকজনের নাম বললাম, আসামিদের টেলিফোন নম্বরের সঙ্গে, সাতদিনের টেলিফোন মিলায়ে নিবেন। তাদের সাথে যদি দিনে পাঁচবার করে কথা না হয়, আমি সংসদ সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে চলে যাব।’
শাহরিয়ার আলম যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহী-৩ আসনের সাবেক এমপি আয়েন উদ্দিন এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। শাহরিয়ারের ঠিক পেছনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকার। তখন অনিলকে হাত ধরে টেনে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দারার সঙ্গে অনিলের মতবিরোধ রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
অনিল কুমার সরকার অভিযোগ করেছেন, তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে জানাজার স্থান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নিহত বাবুলের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একটি ফুলের ডালাও নিয়ে গিয়েছিলেন। সেটিও মরদেহে দিতে দেওয়া হয়নি।
অনিল বলেন, ‘দলের একজন নেতা মারা গেছেন, আমি গিয়েছি। সেখান থেকে বের করে দেওয়া শোভনীয় নয়। বিষয়টি আমি দলকে জানাব। দলের সভানেত্রী নিশ্চয় এর বিচার করবেন।’
শাহরিয়ার আলমের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘বাবুল ত্যাগী নেতা। তাঁর খুনের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, সবার বিচার হওয়া উচিত। সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম আমাদের মদদাতা হিসেবে উল্লেখ করে সাতদিনের কলরেকর্ড তুলতে বলেছেন। আমি ডিআইজি-এসপিকে ফোন করে বলেছি, সাতদিন না, সাত মাসের কল রেকর্ড তুলে দেখেন।’
আসাদ বলেন, ‘শাহরিয়ার সাহেব যা বলেছেন, তা তাঁকে প্রমাণ করতে হবে তা না হলে তাকেও মামলার মুখোমুখি হতে হবে।’
শাহরিয়ারের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘জানাযায় আমার নাম ধরে এলাকার বর্তমান এমপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ঈর্ষাপরায়ণভাবে এ রকম উক্তি করতে পারেন, সেটা আমার বোধগম্য নয়। তাঁর কাছ থেকে এটা আশাই করিনি। কী উদ্দেশ্যে, কেন তিনি বলেছেন তা তিনিই বলতে পারবেন। যারা বিবেকসম্পন্ন মানুষ তারা এটাকে সমর্থন করবেন না।’
লিটন সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়ে বলেন, ‘আমরা যারা আওয়ামী লীগের রক্ত নিয়ে বড় হয়েছি, তাদেরকেই এখন হেনস্থা করার অপচেষ্টা করছেন নতুনেরা।’
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি একটা জোরের জায়গা। আমরা আগামী সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০টি প্রকল্পের জন্য টেন্ডার আহ্বান করবো। আমাদের বিদ্যুতের যে সমস্যা এটি বিদ্যুতের সমস্যা না...
১৬ মিনিট আগেক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবি, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে বহিরাগত ছাত্রদলের হামলায় তাঁদের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। আহত সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে জড়িতদের শনাক্ত করে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তাঁরা।
২১ মিনিট আগেবরগুনার আমতলীতে এক দিনে কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ ২৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্বজনেরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত ১০ জনকে পটুয়াখালী ও বরগুনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।
২৮ মিনিট আগেগত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিজের স্বামীকে ‘নিহত’ দেখিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা সেই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এ ঘটনায় জড়িত শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকেও...
৪১ মিনিট আগে