গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টারে প্রথম শ্রেণির কোনো কর্মকর্তা থাকেন না। কিন্তু বরাদ্দ না নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় পরিবার নিয়ে সেখানে বসবাস করছেন দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের অনেকেই। এমনকি অন্যের নামে বরাদ্দ নিয়েও বসবাস করছেন কেউ কেউ।
অভিযোগ রয়েছে, সরকারি নিয়মানুযায়ী কোয়ার্টার বরাদ্দ না নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে প্রতি মাসে ভাড়া বাবদ ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা উৎকোচ দিয়ে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী সরকারি আবাসনে বসবাস করছেন। এতে করে সরকারি কোয়ার্টারে বসবাস করেও মূল বেতনের পাশাপাশি বাসা ভাড়া বাবদ নির্ধারিত টাকা পাচ্ছেন তাঁরা।
হাসপাতালের তথ্যমতে, হাসপাতালে নতুন-পুরোনো মিলে কোয়ার্টারের সাতটি ভবনে অন্তত ২৮টি পরিবার ভাড়া থাকতে পারবে। এ ছাড়া পুরুষ ও নারীদের জন্য দুটি ডরমিটরিতে ৭ থেকে ১০ জন থাকার ধারণক্ষমতা রয়েছে। অথচ কোয়ার্টারে ভাড়া থাকা বিভিন্ন পদের ১৫ জনের মধ্যে মাত্র তিনজন নিয়মানুযায়ী সরকারিভাবে বরাদ্দ নিয়ে নারী ডরমিটরিতে বাস করছেন।
সরকারি চাকরিবিধি মোতাবেক জেলা ও উপজেলা শহরে চাকরিরতদের জন্য ৯ হাজার ৭০০ টাকা মূল বেতন হলে ৫০ শতাংশ হারে ৪ হাজার ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া পান। এ ছাড়া ৯ হাজার ৭০১ টাকা থেকে ১৬ হাজার টাকা মূল বেতনের ৪৫ শতাংশ হারে ৪ হাজার ৮০০ টাকা; ১৬ হাজার ১ থেকে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা মূল বেতনের ৪০ শতাংশ হারে ৭ হাজার টাকা এবং ৩৫ হাজার ৫০১ থেকে এর বেশি বেতনের ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ হারে ১৩ হাজার ৮০০ টাকা বাড়িভাড়া দেয় সরকার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোয়ার্টারের শিউলি ভবনে দীর্ঘদিন ধরে বাস করছেন তিনজন নার্স। পলাশ ভবনে আছেন দ্বিতীয় শ্রেণির আরও তিনজন। এ ছাড়া অন্যান্য ভবনে নার্স, মেডিকেল সহকারী, টেকনিশিয়ানসহ আরও পাঁচজন পরিবার নিয়ে বাস করছেন। অথচ তাঁদের নামে সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ নেওয়া হয়নি। শুধু ডরমিটরিতে থাকা তিন মিডওয়াইফ নিজের নামে বরাদ্দ নিয়ে নিয়মানুযায়ী বসবাস করছেন। কিন্তু বরাদ্দ না পেয়েও কোয়ার্টারে থাকা অন্যরা মূল বেতনের সঙ্গে নির্ধারিত হারে বাসা ভাড়া পাচ্ছেন।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স শম্পা রানী সরকার বলেন, ‘সরকারি কোয়ার্টার পরিচালনার জন্য নার্সিং সুপারভাইজারসহ ৫ থেকে শুরু করে ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি থাকার কথা। কিন্তু গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোয়ার্টার পরিচালনার জন্য কোনো কমিটি নেই। এ কারণে সংশ্লিষ্টদের আর্থিক সুবিধা দিয়ে অনেকেই নিয়মবহির্ভূতভাবে কোয়ার্টারে থাকছেন। তাছাড়া আবাসিক মেডিকেল অফিসারও কোয়ার্টারে থাকেন না।’
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স শিরিন সুলতানা বলেন, ‘পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের ম্যানেজ করে আমি কোয়ার্টারে থাকি। আমার কোয়ার্টারে থাকার কথা নয়। এটি ডাক্তারদের জন্য নির্ধারিত। কোনো ডাক্তার কোয়ার্টারে থাকতে চান না, তাই আমরা এখানে থাকি। এ জন্য আমাদের অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় পরিচালনা পরিষদকে।’ তিনি একজন চিকিৎসকের নামে রুম বরাদ্দ নিয়ে থাকেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিচালনা পরিষদের সদস্য সীমান্ত হাসান বলেন, ‘সরকারি কোয়ার্টারে ডাক্তার থাকতে চান না। তাই আমরা নার্সদের কোয়ার্টারে থাকার ব্যবস্থা করে থাকি।’ এতে সরকারের রাজস্ব কিছু ক্ষতি হয় বলে স্বীকার করেন তিনি। তবে চিকিৎসকেরা নানা অজুহাতে এখানে থাকেন না বলেও উল্লেখ করেন সীমান্ত হাসান।
জানতে চাইলে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) রোকেয়া পারভিন বলেন, তিনি হাসপাতালের কোয়ার্টারে থাকেন না। একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। তাঁর নাম ব্যবহার করে হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হাসান আলী কোয়ার্টারে থাকেন।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কোয়ার্টারে নিয়মবহির্ভূতভাবে ভাড়া থাকার বিষয়টি নিয়ে নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের এই খাতকে খুব তাড়াতাড়ি রাজস্বের আওতায় আনা হবে।’ তবে ঘুষ দিয়ে ভাড়া থাকার বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টারে প্রথম শ্রেণির কোনো কর্মকর্তা থাকেন না। কিন্তু বরাদ্দ না নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় পরিবার নিয়ে সেখানে বসবাস করছেন দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের অনেকেই। এমনকি অন্যের নামে বরাদ্দ নিয়েও বসবাস করছেন কেউ কেউ।
অভিযোগ রয়েছে, সরকারি নিয়মানুযায়ী কোয়ার্টার বরাদ্দ না নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে প্রতি মাসে ভাড়া বাবদ ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা উৎকোচ দিয়ে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী সরকারি আবাসনে বসবাস করছেন। এতে করে সরকারি কোয়ার্টারে বসবাস করেও মূল বেতনের পাশাপাশি বাসা ভাড়া বাবদ নির্ধারিত টাকা পাচ্ছেন তাঁরা।
হাসপাতালের তথ্যমতে, হাসপাতালে নতুন-পুরোনো মিলে কোয়ার্টারের সাতটি ভবনে অন্তত ২৮টি পরিবার ভাড়া থাকতে পারবে। এ ছাড়া পুরুষ ও নারীদের জন্য দুটি ডরমিটরিতে ৭ থেকে ১০ জন থাকার ধারণক্ষমতা রয়েছে। অথচ কোয়ার্টারে ভাড়া থাকা বিভিন্ন পদের ১৫ জনের মধ্যে মাত্র তিনজন নিয়মানুযায়ী সরকারিভাবে বরাদ্দ নিয়ে নারী ডরমিটরিতে বাস করছেন।
সরকারি চাকরিবিধি মোতাবেক জেলা ও উপজেলা শহরে চাকরিরতদের জন্য ৯ হাজার ৭০০ টাকা মূল বেতন হলে ৫০ শতাংশ হারে ৪ হাজার ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া পান। এ ছাড়া ৯ হাজার ৭০১ টাকা থেকে ১৬ হাজার টাকা মূল বেতনের ৪৫ শতাংশ হারে ৪ হাজার ৮০০ টাকা; ১৬ হাজার ১ থেকে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা মূল বেতনের ৪০ শতাংশ হারে ৭ হাজার টাকা এবং ৩৫ হাজার ৫০১ থেকে এর বেশি বেতনের ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ হারে ১৩ হাজার ৮০০ টাকা বাড়িভাড়া দেয় সরকার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোয়ার্টারের শিউলি ভবনে দীর্ঘদিন ধরে বাস করছেন তিনজন নার্স। পলাশ ভবনে আছেন দ্বিতীয় শ্রেণির আরও তিনজন। এ ছাড়া অন্যান্য ভবনে নার্স, মেডিকেল সহকারী, টেকনিশিয়ানসহ আরও পাঁচজন পরিবার নিয়ে বাস করছেন। অথচ তাঁদের নামে সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ নেওয়া হয়নি। শুধু ডরমিটরিতে থাকা তিন মিডওয়াইফ নিজের নামে বরাদ্দ নিয়ে নিয়মানুযায়ী বসবাস করছেন। কিন্তু বরাদ্দ না পেয়েও কোয়ার্টারে থাকা অন্যরা মূল বেতনের সঙ্গে নির্ধারিত হারে বাসা ভাড়া পাচ্ছেন।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স শম্পা রানী সরকার বলেন, ‘সরকারি কোয়ার্টার পরিচালনার জন্য নার্সিং সুপারভাইজারসহ ৫ থেকে শুরু করে ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি থাকার কথা। কিন্তু গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোয়ার্টার পরিচালনার জন্য কোনো কমিটি নেই। এ কারণে সংশ্লিষ্টদের আর্থিক সুবিধা দিয়ে অনেকেই নিয়মবহির্ভূতভাবে কোয়ার্টারে থাকছেন। তাছাড়া আবাসিক মেডিকেল অফিসারও কোয়ার্টারে থাকেন না।’
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স শিরিন সুলতানা বলেন, ‘পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের ম্যানেজ করে আমি কোয়ার্টারে থাকি। আমার কোয়ার্টারে থাকার কথা নয়। এটি ডাক্তারদের জন্য নির্ধারিত। কোনো ডাক্তার কোয়ার্টারে থাকতে চান না, তাই আমরা এখানে থাকি। এ জন্য আমাদের অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় পরিচালনা পরিষদকে।’ তিনি একজন চিকিৎসকের নামে রুম বরাদ্দ নিয়ে থাকেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিচালনা পরিষদের সদস্য সীমান্ত হাসান বলেন, ‘সরকারি কোয়ার্টারে ডাক্তার থাকতে চান না। তাই আমরা নার্সদের কোয়ার্টারে থাকার ব্যবস্থা করে থাকি।’ এতে সরকারের রাজস্ব কিছু ক্ষতি হয় বলে স্বীকার করেন তিনি। তবে চিকিৎসকেরা নানা অজুহাতে এখানে থাকেন না বলেও উল্লেখ করেন সীমান্ত হাসান।
জানতে চাইলে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) রোকেয়া পারভিন বলেন, তিনি হাসপাতালের কোয়ার্টারে থাকেন না। একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। তাঁর নাম ব্যবহার করে হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হাসান আলী কোয়ার্টারে থাকেন।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কোয়ার্টারে নিয়মবহির্ভূতভাবে ভাড়া থাকার বিষয়টি নিয়ে নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের এই খাতকে খুব তাড়াতাড়ি রাজস্বের আওতায় আনা হবে।’ তবে ঘুষ দিয়ে ভাড়া থাকার বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং চোরাচালান বন্ধে বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়ে টহল শুরু করেছে বিজিবি। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে চোরাচালানের জোন বলে খ্যাত সীমান্ত সড়কের ৪২ নম্বর পিলার থেকে ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় টহল দিচ্ছেন বিজিবির
১১ মিনিট আগেবাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
২১ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
৩৯ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
১ ঘণ্টা আগে