Ajker Patrika

কোটা বাতিলের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক রাবি শিক্ষার্থীদের 

রাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৯: ১৪
কোটা বাতিলের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক রাবি শিক্ষার্থীদের 

কোটা পদ্ধতির সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে আয়োজিত এক সাংস্কৃতিক প্রতিবাদী সমাবেশ থেকে তারা এই ঘোষণা দেন।  একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেবা বন্ধের হুঁশিয়ারিও দেন শিক্ষার্থীরা। 

সাংস্কৃতিক প্রতিবাদী সমাবেশের শুরুতে কোটা পদ্ধতির সংস্কার আন্দোলন রাবির অন্যতম সংগঠক রেজওয়ান গাজী মহারাজ এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগে ক্লাস পরীক্ষা চলবে না। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসের চাকাও ঘুরবে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরবো না।’ 

এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘সংগ্রাম না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, এই বাংলায় হবে না, বৈষম্যের ঠিকানা’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’ সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, পোস্টার প্রদর্শন এবং কোটা বিরোধী এসব স্লোগান দিতে শোনা যায়। 

 ৪ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো: 

 এক. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। 

রাবিতে শিক্ষার্থীদের সমাবেশদুই. যাদের কোটা আছে জীবনদ্দশায় একবারই কোটা ব্যবহার করতে পারবে। 

তিন. প্রতি ১০ বছর পর পর জনশুমারির সঙ্গে অর্থনৈতিক সমীক্ষা করতে হবে যাতে আমরা বুঝতে পারি কোটার প্রয়োজনীয়তা কেমন এবং কোটার মূল্যায়ন করা। 

চার. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। 

রাবিতে শিক্ষার্থীদের সমাবেশবিক্ষোভ কর্মসূচির মুখপাত্র ও রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্যসচিব আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার। আমরা হাইকোর্টের বিচারকদের মতো জ্ঞান রাখি না। তবে আমরা এটা জানি, এক শতাংশের কম জনসংখ্যার জন্য ৩০ শতাংশ কোটা অন্যায্য। এটা বুঝতে পৃথিবীর কোনো আইন জানা লাগে না। আমাদের দাবিগুলো স্পষ্ট, আমাদের আইন বুঝার দরকার নেই। দাবি কীভাবে আদায় করতে হয় তা বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলন চলমান থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জাতীয় নির্বাচন: ভোট কমিটির নেতৃত্বে ডিসি–ইউএনওকে না রাখার চিন্তা

মাগুরার শিশুটি এখনো অচেতন, চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

ঈদে পুলিশের সহযোগী ফোর্স হবে বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী, পাবে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা

তিন নারী আমার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: তারেক রহমান

গত দশ বছর ভিসা না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশে আসতে পারিনি: মাইলাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত