সামনে দিয়ে গেলেও সশস্ত্র ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হাতে অস্ত্র দেখেননি রাবি প্রক্টর

রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৪, ১৯: ৩৩
আপডেট : ১৪ মে ২০২৪, ২০: ৩৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে গতকাল সোমবার ফের একটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় তারা রড, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র হাতে মাদার বখ্শ হলের সামনে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অস্ত্রশস্ত্র হাতে জড়ো হওয়া ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের সামনে দিয়েই তাঁরা সোহরাওয়ার্দী হলে প্রবেশ করেন। তবে প্রক্টর এখন বলছেন, তিনি কারও হাতে কোনো অস্ত্র দেখেননি।

গতকাল দিবাগত রাত সোয়া ৩টা থেকে পৌনে ৫টা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী হলে পুলিশের তল্লাশি চালানোর পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর এ কথা বলেন।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ ও জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পাণ্ডে।

অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না— এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘আপনার চোখে হয়তো পড়েছে। কিন্তু আমি যখন ঢুকলাম তখন আমার চোখে সেটি পড়েনি। আমি খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি যেন আমার ছাত্রদের কোনো ক্ষতি না হয়। আমরা তাদের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।’

ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হাতে অস্ত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারা রামদা হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেটা হয়তো আপনি দেখছেন, আরেকজন দেখছেন। কিন্তু আমি যখন গিয়েছি তখন হয়তো তারা লুকিয়ে ফেলেছে। তবে আমরা এসব বিষয়ে অবগত আছি। আর যাদের মাধ্যমে এগুলো উদ্ধার করা যায়, আমরা তাদের বলেছি। এখানে পুলিশ প্রশাসনেরও একটা দায়িত্ব আছে।’গভীর রাতে মাদার বখশ হলের সামনে সশস্ত্র ছাত্রলীগ। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বের বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ মোবারককে একাধিকবার ফোন কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে ঘটনার শুরুর দিন মতিহার থানার উপপুলিশ কমিশনার মধুসূদন রায় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্পর্শকাতর একটি জায়গা। এখানে পুলিশ চাইলেই হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’

ছাত্রলীগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ অন্তত ১২ জন অনুসারী নিয়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে প্রবেশ করেন। এ সময় হল গেটে ওই হলের সহসভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের সঙ্গে নিয়াজের দেখা হয়। একপর্যায়ে নিয়াজ তাঁকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন আতিক। তবে হত্যার হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেন নিয়াজ।

খবরটি জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারীরা জড়ো হতে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হল থেকেও নেতা-কর্মীরা আসেন। এ সময় নেতা-কর্মীদের হাতে রামদা, রড, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও ইটপাটকেল দেখা গেছে।

খবর পেয়ে রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পাণ্ডে, সোহরাওয়ার্দী হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

ভারতের পাল্টা আক্রমণে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা কলেজে সংঘর্ষকালে বোমা বিস্ফোরণের ছিটকে পড়েন সেনাসদস্য—ভাইরাল ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা

ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের খবরে মুখ খুললেন অমিতাভ

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত